কেন পিরিয়ডের সময়ে স্মুদি খাবেন?
নারীদের প্রজনন প্রক্রিয়ায় প্রভাবকারী একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া হচ্ছে পিরিয়ড, যাকে বাংলায় মাসিক বলা হয়। নারীদের প্রজনন প্রক্রিয়ার কার্যক্রম শুরু হয় সাধারণত ১০-১৬ বছরের মাঝামাঝি সময়ে। তবে বেশিরভাগ মেয়েদেরই ১২ বছর বয়সে মাসিক শুরু হয়। সাধারণত ৫০ বছর বা তার অধিক বয়সে মাসিক বন্ধ হয়ে যায়।
পিরিয়ড কী
প্রতি চন্দ্র মাস পরপর হরমোনের প্রভাবে পরিণত মেয়েদের জরায়ু চক্রাকারে যে পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যায় এবং রক্ত ও জরায়ু নিঃসৃত অংশ যোনিপথে বের হয়ে আসে, তাকেই পিরিয়ড বা ঋতুচক্র বলে। মাসিক চলাকালীন পেটব্যথা, পিঠব্যথা ও বমি বমি ভাব হতে পারে। পিরিয়ডে ভালো মানের ন্যাপকিন ব্যবহার করা জরুরি। এছাড়া কোনোভাবেই একই কাপড় পরিষ্কার করে একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না। পিরিয়ডের সময় শরীর থেকে যে রক্ত প্রবাহিত হয়, তার মধ্যে ব্যাকটেরিয়া থাকে।
কেন পিরিয়ডের সময়ে স্মুদি খাবেন?
পিরিয়ড চলাকালীন প্রায় সব নারীকেই ক্লান্তি এবং ব্যথা সহ্য করতে হয়। কেউ কেউ এর জন্য ওষুধও গ্রহণ করেন। তবে খাদ্যভ্যাসে কিছু পরিবর্তন আনতে পারলে এসব সমস্যা কিছুটা কমানো যায়।
ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন ও ট্রিপটোফ্যানে ভরপুর এই স্মুদি তৈরি করতে পারবেন ঘরেই।
ম্যাগনেসিয়াম পিরিয়ড চলাকালীন পেটব্যথা কমায়। রক্তপাতের পর শরীরে পুনরায় রক্ত তৈরি করতে কাজে আসে আয়রন। এছাড়া মেজাজ ভালো রাখতে সাহায্য করে ট্রিপটোফ্যান।
এই স্মুদিতে কোনো চিনি ব্যবহার করা হয় না বলে তা আপনার ব্লাড সুগার হুট করে বাড়িয়ে দেবে না । আসুন জেনে নেই কীভাবে তৈরি করবেন স্মুদি।
স্মুদি তৈরির উপাদান
ওট ও তিসি, কাজুবাদাম, কলা, খেজুর, কোকো পাউডার
উপকরণ
২০ গ্রাম কাজুবাদাম (সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রাখা), ২টি বড় খেজুর, ১ টেবিল চামচ কোকো পাউডার ১টি কলা, ৩০ গ্রাম ওটস, ১ চা চামচ তিসি, ১০০ মিলি দুধ।
যেভাবে তৈরি করবেন
ভিজিয়ে রাখা কাজুবাদাম, কুচি করা খেজুর, তিসি, কলা, কোকো পাউডার, ওটস এবং দুধ একসাথে ব্লেন্ড করে স্মুদি তৈরি করে নিন। কিছু ওটস তাওয়ায় টেলে গার্নিশের জন্য ওপরে দিতে পারেন।
টিপস
এই রেসিপিতে গরুর দুধের বদলে সয়া মিল্ক, আমন্ড মিল্ক, রাইস মিল্ক, ওট মিল্ক বা কোকোনাট মিল্ক ব্যবহার করতে পারেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন