কেমন ‘বিশ্রাম’ পেলেন সাকিব?

আর পাঁচদিন পর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ শেষ হয়ে যাচ্ছে; তার সাথে শেষ হয়ে যাচ্ছে সাকিব আল হাসানের ছুটিও। ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি খেলতে আফ্রিকার বিমানে উঠতে হবে তাকে।
টানা খেলার ক্লান্তির কারণ দেখিয়ে টেস্ট ক্রিকেট থেকে ৬ মাসের ছুটি চেয়েছিলেন বিসিবির কাছ থেকে। মঞ্জুর হয়েছে ৩ মাসের ছুটি। এই ৩ মাস এখনও পূর্ণ হয়নি। কিন্তু গত এক মাস কেমন বিশ্রাম পেলেন বিশ্বসেরা অল-রাউন্ডার? শোনা যাক তার নিজের মুখেই।

বিপিএল দল ঢাকা ডায়নামাইটের নতুন লোগো এবং জার্সির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হতে হলো সাকিবকে। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন আসল বিশ্রাম নিয়ে। জবাবে সাকিব বললেন, ‘ভালো একটা বিশ্রাম ছিল। ব্যস্ত সময় কেটেছে অনেক। তবে আমার কাছে মনে হয় এই বিরতিটা অনেক সহায়তা করবে ভবিষ্যতে ভালো খেলতে।

এই ছুটিতে সাকিব বসে থাকেননি। ইউনিসেফের হয়ে ছুটে গেছেন কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে। এর আগে অবশ্য রাজনৈতিক নেতাদের আহ্বানে রংপুর-মানিকগঞ্জে গিয়েছেন। যা নিয়ে বেশ বিতর্কও সৃষ্টি হয়েছে ক্রিকেট মহলে। অন্যদিকে দক্ষিণ আফ্রিকা সফররত বাংলাদেশ দল প্রচণ্ডভাবে অনুভব করছে সাকিবকে। সাকিব না থাকা মানে একজন বোলার এবং একজন ব্যাটসম্যান না থাকা। বিকল্প ক্রিকেটার থাকলেও সাকিবের মত তো নয়। প্রথম টেস্টে ৩৩৩ রানের বড় পরাজয়ের ক্ষত নিয়ে শুক্রবার দ্বিতীয় টেস্টে নামতে যাচ্ছে মুশফিকরা।

এই টেস্ট সিরিজ নিয়ে সাকিব খুব কৌশলে বললেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকা যেকোনো দলের জন্যই চ্যালেঞ্জিং। আমাদের জন্য সেটা আরও বেশি। আমরা সর্বশেষ ওখানে গিয়েছি ২০০৮ সালে। দলের বেশির ভাগ খেলোয়াড়ের সেখানে খেলার অভিজ্ঞতা নেই। সমস্যা হবে, সেটাই স্বাভাবিক। তবে আমাদের খেলোয়াড়দের ঘুরে দাঁড়ানোর সামর্থ্য আছে। আশা করি ভালোভাবে তারা ঘুরে দাঁড়াবে। দ্বিতীয় টেস্টে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ক্রিকেট আমরা দেখতে পাব। ‘

দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজেই টি-টোয়েন্টি ক্যাপ্টেন হিসেবে অভিষেক হতে যাচ্ছে সাকিবের। নভেম্বরে আছে বিপিএল। ঢাকাকে আবারও চ্যাম্পিয়ন করার দায়িত্ব। এরপর ডিসেম্বরে দুবাইয়ে অনুষ্ঠিতব্য নতুন ফরম্যাটের ক্রিকেট টি-১০ এ আইকন ক্রিকেটার হয়েছেন তিনি। এরই মধ্যে মনোনীত হয়েছেন এমসিসির সদস্য হিসেবে।