কেশবপুরের ভরতভায়না এবিজিকে ফাজিল মাদ্রাসার ঝুঁকিপূর্ণ ভবনেই চলছে সাড়ে তিনশত শিক্ষার্থীর ক্লাস

যশোরের কেশবপুর উপজেলার ভরতভায়না এবিজিকে ফাজিল মাদ্রাসার ঝুঁকিপূর্ণ ভবনেই চলছে সাড়ে তিনশত শিক্ষার্থীর ক্লাশ। যে কোন সময়ে ভবন ধ্বষে শিক্ষক—শিক্ষার্থীরা দূর্ঘটনার শিকার হতে পারে। তবে মাদ্রাসাটি থেকে প্রতিবছর দাখিল, আলিম ও ফাজিল পরীক্ষায় সাফল্যের সাথে শিক্ষার্থীরা কৃতকার্য হয়। যে কারেণে প্রতিষ্ঠানটির ব্যাপক সুনাম রয়েছে।

২৬ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে সরেজমিন পরিদর্শনে জানাগেছে, কেশবপুর উপজেলা ভরতভায়না এবিজিকে ফাজিল মাদ্রাসা দক্ষিণ—পূর্ব অঞ্চলের একমাত্র ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। মাদ্রাসাটি ১৯৬২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। মাদ্রাসাটি ১ম শ্রেণী থেকে ফজিল পর্যন্ত পাঠদান করা হয়। বর্তমানে ভরতভায়না এবিজিকে ফাজিল মাদ্রাসায় ৩ শত ৪৩ জন শিক্ষার্থী শিক্ষা গ্রহণ করছে। ১৬টি শ্রেণী কক্ষ থাকলেও ১০ টি কক্ষ খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। ওই ১০ টি শ্রেণী কক্ষে ফাটল ধরেছে, পালাষ্টার খসে পড়ছে, কড়ে—বর্গা ভেঙ্গে যচ্ছে, টিনের চালা ভেঙ্গে যাচ্ছে। মাদ্রাসার ৩ শত ৪৩ জন শিক্ষার্থী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস করছে। যে কোন সময় শিক্ষক—শিক্ষার্থীরা দূর্ঘটনার শিকার হতে পারে। তবে মাদ্রাসাটি থেকে প্রতিবছর দাখিল, আলিম ও ফাজিল পরীক্ষায় সাফল্যের সাথে শিক্ষার্থীরা কৃতকার্য হয়। যে কারেণে প্রতিষ্ঠানটির ব্যাপক সুনাম রয়েছে।

এব্যাপারে ভরতভায়না এবিজিকে ফাজিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মুহম্মদ সাইদ হোসেন বলেন, মাদ্রাসার ১৬টি শ্রেণী কক্ষ থাকলেও ১০টি শ্রেণীকক্ষ খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। ১৬টি কক্ষের মধ্যে ১টি কক্ষ ও ১টি সেমিনার কক্ষে ছাদ রয়েছে। বাকী কক্ষগুলি টিনের ছাউনি দেওয়া। টিনির চাল খুবই দূর্বল হয়ে পড়েছে। ভেঙ্গে যাচ্ছে। গত আমফান ঝড়ে মাদ্রাসা ভবনের টিনের চাল উড়ে গিয়েছিল। অনেক কষ্টে চালগুলি মেরামত করা হলেও বর্তমানের নাজুক হয়ে পড়েছে। তিনি—সহ শিক্ষকদের রুমের অবস্থাও খুব খারাপ। জরুরী ভিত্তিতে নতুন ভবন করার জন্য সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কতৃর্পক্ষের নিকট তিনি জোর দাবী জানান।

অপরদিকে, ভরতভায়না এবিজিকে ফাজিল মাদ্রাসা পরিচালনা পরিষদের সভাপতি গৌরীঘোনা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মান্নান মুন্না বলেন, মাদ্রাসার ৩ শত ৪৩ জন শিক্ষার্থী অত্যান্ত ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস করছে। ১৬টি শ্রেণী কক্ষের মধ্যে ১০টি শ্রেণীকক্ষ খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। যে কোন সময়ে বড় ধরণের দূর্ঘটনা ঘটার আশংকা রয়েছে। তিনি জরুরী ভিত্তিতে মাদ্রাসাটির একটি বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কতৃর্পক্ষের নিকট জোর দাবী জানান।