কোকের সেই বিজ্ঞাপন নিয়ে যা বললেন মিজানুর রহমান আজহারী

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলের তেলআবিবের হামলার জেরে বিশ্বব্যাপী ইসরাইলি ও মার্কিন পণ্য বয়কট চলছে।

কয়েক মাস আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কোমল পানীয় কোকাকোলা বয়কটের ডাক ওঠে। বয়কটের মুখে বিক্রি কমে যায় এক সময়ের জনপ্রিয় কোমল পানীয় কোকাকোলার।
তবে সময়ের সঙ্গে ধীরে ধীরে যখন মানুষ ভুলতে বসেছে বয়কটের কথা; ঠিক তখনই কোকাকোলা বাংলাদেশের একটি বিজ্ঞাপন যেন ফের উস্কে দিয়েছে সবকিছুকে।

সম্প্রতি কোকাকোলার একটি বিজ্ঞাপন প্রচারের পর থেকেই নতুন করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয়েছে তুমুল হইচই। নতুন করে ফের বয়কটের ডাক দেয়া হয়েছে কোকাকোলাসহ ইসরাইলি পণ্য।

এমন পরিস্থিতিতে কোকাকোলার সেই বিজ্ঞাপনের কড়া সমালোচনা করেছেন জনপ্রিয় ইসলামী বক্তা ড. মিজানুর রহমান আজহারী।

মঙ্গলবার বেলা ১১টা ৫৮ মিনিটে ভারিফায়েড ফেসবুক পেজে আজহারি তার পোস্টে কোকাকোলার নাম সরাসরি উল্লেখ না করে লেখেন—
“কুরবানির আগে আগে ওদের বিজ্ঞাপনটা অনেকটা পাগলকে সাঁকো না নাড়ানোর অনুরোধের মতোই হয়েছে। পণ্য বয়কটের মুভমেন্ট খানিকটা ঝিমিয়ে পড়েছিল। এবার নতুন করে আরো চাঙা হবে।
যেকোনো আগ্রাসনের বিপক্ষে অবস্থান নিন। যার যতটুকু সম্ভব ইসলাম বিদ্বেষী ও জালিমদের পণ্য কেনা থেকে দূরে থাকুন। ধীরে ধীরে এটা অভ্যাসে পরিণত করুন। পণ্য বর্জন কতটা শক্তিশালী তা বলার অপেক্ষা রাখে না। মালয়েশিয়াতে তা স্বচক্ষে অবলোকন করছি। এখানে ম্যাকডোনাল্ড এবং স্টারবাকস অনেকটা আইসিউতে।
বর্জন এবং জনসচেতনতা চলবে একইসঙ্গে। শুধু পণ্যই নয়, ইসলামবিদ্বেষী সবকিছুকেই বর্জন করতে হবে। এবারের ঈদ হোক ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত, হোক চিহ্নিত সব ইসলাম বিদ্বেষী পণ্যমুক্ত।”

মিজানুর রহমান আজহারী এই পোস্টের পর কমেন্ট বেশিরভাগ ফেসবুক ব্যবহারকারীই সম্মতি জানান।

এদিকে, সমালোচনার মুখে বিজ্ঞাপনটি সরিয়ে নিয়েছে কোকাকোলা। একই সঙ্গে বিজ্ঞাপনে অভিনয় করা অভিনেতা শরাফ আহমেদ জীবন ও শিমুল শর্মা তারা নিজেদের ফেসবুকে পোস্ট করে ক্ষমা চান এবং ভুল স্বীকার করেছেন।