কোচ পেতে দেরি হচ্ছে কেন বাংলাদেশের?
অক্টোবরে চন্ডিকা হাথুরুসিংহ পদত্যাগের পর থেকেই একজন কোচ খুঁজছে বিসিবি। ডিসেম্বরে মাশরাফি-সাকিবদের কোচ হতে সাক্ষাৎকারও দিয়ে গেলেন দুজন। দুজনই যদিও বিসিবির অপেক্ষায় না থেকে যুক্ত হয়েছেন অন্য বোর্ডের সঙ্গে। গত পাঁচ মাসে সম্ভাব্য কয়েকজনের নাম শোনা গেলেও দলের প্রধান কোচ হিসেবে এখনো কাউকে চূড়ান্ত করতে পারেনি বিসিবি। কিন্তু কেন দেরি হচ্ছে একজন কোচ পেতে?
‘টেকনিক্যাল ডিরেক্টরে’র মোড়কে খালেদ মাহমুদকে দেওয়া হয়েছিল জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে ত্রিদেশীয় সিরিজ ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট, টি-টোয়েন্টি সিরিজে। কিন্তু এতে দলের একজন অভিভাবকের প্রয়োজনীয়তা দূর তো হয়ইনি, আরও বেড়েছে। মাহমুদ নিদারুণ ব্যর্থ হওয়ায় সেটি এখন বর্তেছে কোর্টনি ওয়ালশের কাঁধে। চলতি মাসে কলম্বোয় নিদাহাস ট্রফিতেও বাংলাদেশকে খেলতে হবে প্রধান কোচ ছাড়াই। হাথুরুর বিদায়ের পর বিসিবি সভাপতি জানিয়েছিলেন, অনেক হাইপ্রোফাইল কোচ আগ্রহ দেখিয়েছেন বাংলাদেশের কোচ হতে। কিন্তু বিসিবি কেন কোচ নিয়োগের বিষয়টি চূড়ান্ত করতে পারছে না এখনো?
কোচ নিয়ে বিসিবির পরিচালনা বিভাগের প্রধান আকরাম খান বললেন, ‘আমরা অনেক চিন্তাভাবনা করে সিদ্ধান্ত নিই। কোচ নিয়োগের আর্থিক বিষয়টি নিয়ে আমাদের বোর্ড সভাপতির কোনো কার্পণ্য নেই। আমাদের বিদ্যমান কোচিং স্টাফ দেখলেই বুঝতে পারবেন। হাথুরুকেও উচ্চ বেতনেই আনা হয়েছিল।’
তবুও কেন দেরি হচ্ছে, সেটির কিছু ব্যাখ্যা দিয়েছেন আকরাম, ‘এখানে দুই-তিনটি বিষয় আছে। হাথুরুর আসার আগেও ভালো কোচ বাংলাদেশ পেয়েছে। কিন্তু বেশির ভাগ কোচ চুক্তি শেষের আগেই চলে গেছে। ওদের (বিদেশি কোচ) সঙ্গে আমাদের সংস্কৃতির কিছু পার্থক্য আছে। হাথুরুর ক্ষেত্রে এ সমস্যাটা ছিল না, সে যেহেতু উপমহাদেশের। এটাও আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। এখন যত বড় নামীদামি কোচ আছে, বেশির ভাগই ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে যুক্ত। একটা জাতীয় দলে বছরে যে বেতন পাবে, সেটা তারা এক-দুই মাসেই পেয়ে যায়। এসব নিয়ে আমরা চিন্তাভাবনা করছি। হয়তো নামীদামি পাব না, তবে মাঝারি ধরনের কোচ খুঁজছি, যার কোচিংয়ে বাংলাদেশ উপকৃত হবে। তার ভাবনা, আমাদের সংস্কৃতি, ক্রিকেটের মান সবকিছু মেলাতে গিয়েই একটু দেরি হচ্ছে।’
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন