কোটাবিরোধী আন্দোলনে শিক্ষকদের সংহতি

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা সংস্কারের আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি জানিয়েছেন। তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে মতামত জানান।

বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শেখ মাজেদুল হল লিখেন, “আমার মরহুম বাবা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান, তিনি মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন দেশের স্বাধীনতার জন্য, তার বিনিময়ে আমার সন্তানকে সুবিধা দেওেয়াটা অযৌক্তিক। ৫৩ বছর বয়সী বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে হবে মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে।

বেরোবির বাংলা বিভাগের অধ্যাপক তুহিন ওয়াদুদ লিখেন, কোটা পদ্ধতি বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি সম্মান দেখানোর একমাত্র কিংবা উপযুক্ত পথ নয়। বরং যে উদ্দেশ্যে মহান মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল সেই বৈষম্য দূর করলে তাদের প্রতি যথাযথ সম্মান দেখানো হবে”।

সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এ বি এম নুরুল্লাহ লিখেন, “পেনশন নিয়ে যাদের কথা চিন্তা করছি তারাতো একটা চাকরিতে যোগদান করবে, তার পরে পেনশন, ততদিনে তারা নিজেদের স্বপ্নের লালনপালন শিখে যাবে। আর যারা ৫৬ শতাংশ কোটার জালে আটকে যাবে, তারা আজই আটকে যাবে, তাজা স্বপ্নের সমাপ্তি এখনি হবে। এদের জন্য কিছু করার, কিছু বলার দায় আমাদের নাই? কখনো বলেছেন? প্রেস রিলিজ দিয়েছেন কোনো সন্তান বা জনমানুষের স্বার্থরক্ষায়?

আমার দৃঢ় বিশ্বাস, এই পেনশন স্কিম শুধুই পরবর্তী প্রজন্মের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট হলে, শুধুই পরবর্তী প্রজন্মের শিক্ষকদের সম্মানের প্রশ্ন হলে, আমরা বর্তমানের শিক্ষকরা আনুষ্ঠানিকভাবে একটি বাক্য বা শব্দও ব্যয় করতাম না “

বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক উমর ফারুক লিখেন, “একটি পুরো প্রজন্মকে মুক্তিযোদ্ধাদের বিপক্ষে দাঁড় করিয়ে দিলাম! মুক্তির এত বছর পরও বৈষম্যের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই করতে হয়! এ আমাদের কেমন দেশপ্রেম!!প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে মেধার কোনো বিকল্প নাই। কোটা বিলুপ্ত হোক। নির্মিত হোক মেধাভিত্তিক বাংলাদেশ।”

ম্যানেজমেন্ট স্ট্যাডিজ বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ রফিউল আজম খান বলেন, “কে কোথায় ঢুকেছে সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়, দাবি যৌক্তিক কিনা সেটা গুরুত্বপূর্ণ।