কোটার বহালের দাবিতে ফের শাহবাগে অবস্থান
সরকারি চাকরির প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে কোটা বহালের দাবিতে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ও প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের পর এবার শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছে আদিবাসী শিক্ষার্থীরা।
বুধবার সকাল ১০টায় অবরোধ কর্মসূচি শুরু করেন তারা। শাহবাগে অবস্থান নেয়া শিক্ষার্থীরা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সড়ক ছাড়বেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকেই মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ৩০ শতাংশসহ নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা রাখা হয় মোট ৮০ শতাংশ। পরে তা ধীরে ধীরে কমিয়ে এনে ৫৬ শতাংশ করা হয়। এর মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জন্য ৩০ শতাংশ, জেলা ও নারী কোটা ১০ শতাংশ করে, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কোটা পাঁচ শতাংশ এবং এক শতাংশ ছিল প্রতিবন্ধী কোটা।
১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে মুক্তিযোদ্ধা কোটার সুবিধা তাদের সন্তানদেরকেও দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এরপর থেকেই স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াতপন্থীরা নানা সময় আন্দোলনের চেষ্টা করেছে। তবে তারা ব্যর্থ হয়।
তবে গত ফেব্রুয়ারিতে কোটা সব মিলিয়ে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনার দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়। আর নানা ঘটনাপ্রবাহের পর মন্ত্রিসভা প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে কোটা পুরোপুরি তুলে দিয়ে সাধারণ মেধা তালিকার ভিত্তিতে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়। পরদিন জারি হয় প্রজ্ঞাপন।
কোটা বাতিলে মন্ত্রিসভা সিদ্ধান্ত জানানোর পর মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহালের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ অবরোধ করে বিক্ষোভ। মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের পাশাপাশি এই কর্মসূচিতে যোগ দেয় প্রতিবন্ধীরাও। টানা ছয় দিন অবরোধের পর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের নেতাকর্মীরা ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত তাদের কর্মসূচি স্থগিত করেন।
প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে ‘পাঁচ শতাংশ’ কোটা বহালের দাবিতে ‘আদিবাসী কোটা সংরক্ষণ পরিষদের’ ব্যানারে শতাধিক শিক্ষার্থীরা বুধবার শাহবাগে অবস্থান নেয়। কোটার দাবিতে তারা নানা ধরনের শ্লোগান দিতে থাকেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা শাহবাগ না ছাড়ার ঘোষণা দেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন