কোটা আন্দোলন সংঘর্ষে রংপুরে-১, চট্টগ্রামে-২, রাজধানীতে-১জন নিহত

পুলিশ ও ছাত্রলীগের সাথে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে রংপুরে একজন, চট্টগ্রামে দুইজন ও রাজধানীর সাইন্সল্যাব মোড় এলাকায় একজন নিহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

রাজধানীর সাইন্সল্যাব মোড়ে একজন নিহত
জানা গেছে, রাজধানীর সায়েন্সল্যাব মোড়ে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের সংঘর্ষের ঘটনায় এক যুবক নিহত হয়েছেন।

আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে এতথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া।

তিনি জানান, নিহতের আনুমানিক বয়স ২৫ বছর হবে। তিনি একজন হকার।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত লোকজন জানান, রাজধানীর সায়েন্সল্যাব মোড়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের সংঘর্ষ চলছিল। এমন সময় ওই ব্যক্তি কোটা আন্দোলনকারীদের সামনে পড়ে যাওয়ায় হামলার শিকার হন। এরপর তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

চট্টগ্রামে কোটা আন্দোলনে দুজন নিহত
এদিকে চলমান কোটা আন্দোলনে চট্টগ্রামে দুজন নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার বিকেলে দুপক্ষের সংঘর্ষে নিহতের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। এর মধ্যে একজন চট্টগ্রাম কলেজের ছাত্র একরাম। অন্যজন পথচারী।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শৃঙ্খলার দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা (এসআই) নুরুল আলম দু’জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন।

অন্যদিকে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তসলিম উদ্দীন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, মৃত দুজনের মরদেহ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে।

দুজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় দুজন মারা গেছেন। এছাড়া ১৫ জনের মতো আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ৭ থেকে ৮ জন গুলিবিদ্ধ।

রংপুরে কোটা আন্দোলনকারী এক শিক্ষার্থী নিহত
এদিকে, রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়েও (বেরোবি) কোটা আন্দোলনকারী এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দুপুর আড়াইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের নাম আবু সাঈদ। তিনি বেরোবির ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। নিহত আবু সাইদ রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বাবনপুরের বাসিন্দা মকবুল হোসেনের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর ২টার দিকে রংপুর খামার মোড় থেকে শিক্ষার্থীরা বিশাল মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১নং ফটকের সামনে যায় এবং বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। একপর্যায়ে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে প্রবেশের চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। এতে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ শুরু হয়। একপর্যায়ে পুলিশ প্রায় ২০০ রাউন্ড রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল ছোড়ে। এরই একপর্যায়ে টিয়ারশেলের সময় আবু সাইদ নিহত হন।
সূত্র: কালবেলা

রংপুরের পর এবার চট্টগ্রামে কোটা আন্দোলনে দু’জন নিহত

রংপুরে সংঘর্ষে কোটা আন্দোলনকারী বেরোবি শিক্ষার্থী নিহত