কোটা বাতিলের দাবিতে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়ক অবরোধ

কোটা বাতিলের দাবিতে এবার চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়ক অবরোধ করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে প্রায় এক ঘণ্টা এ সড়ক অবরোধ করে রাখেন তারা। এতে দুদিকে কয়েক কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়। তবে অ্যাম্বুলেন্স ও রোগীবাহী গাড়ি ছেড়ে দিতে দেখা যায়।

এর আগে বেলা ১১টায় চবির শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে অবস্থান নেন তারা। পরে চবির মূল ফটক থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে সড়কটি অবরোধ করেন। এতে প্রায় তিন শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন।

কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন- আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী মাসুম তালুকদার, সমাজতত্ত্ব বিভাগের ফাতেমা বেগম, বাংলা বিভাগের রিয়াদ উদ্দিন, নাট্যকলা বিভাগের খান তালাত মোহাম্মদ রাফি প্রমুখ।

এ সময় বিভিন্ন স্লোগানে মুখরিত হয় সড়কটি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি ও হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।

প্রক্টর ড. অহিদুল আলম বলেন, তাদের দাবির যৌক্তিকতা থাকতে পারে। এটি কোর্টের বিষয়, তারা যদি উপাচার্যের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেয়, আমরা ডিসি অফিসের মাধ্যমে পাঠিয়ে দিব।

ওসি মো. মনিরুজ্জামান বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এর আগে বুধবার একই সড়ক অবরোধ ও সোম ও মঙ্গলবার ক্যাম্পাসে মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীরা ৪টি দাবি জানিয়ে আসছেন। দাবিগুলো হলো-

১. ২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখতে হবে।

২. পরিপত্র বহালসাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরিতে (সব গ্রেডে) কোটা বাদ দিতে হবে এবং সংবিধান অনুযায়ী কেবল অনগ্রসর ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করা যেতে পারে।

৩. সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে।

৪. দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।