‘কোটা সংস্কার হচ্ছে, তবে যুদ্ধাপরাধীদের সন্তানরা চাকরি পাবে না’

যুদ্ধাপরাধীদের সন্তানরা যাতে সরকারি চাকরিতে অংশ নিতে না পারে সেই বিষয়টি রেখে কোটা সংস্কারের ঘোষণা আসতে পারে। প্রধানমন্ত্রী যেভাবে সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছেন কোটা থাকবে না, সেই ঘোষণা থেকেই এবার এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।

সোমবার সচিবালয়ে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলে দ্বিতীয় চা নিলাম কেন্দ্রের কার্যক্রম উদ্ধোবনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, যারা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছে তারা কোটার সুবিধা নিয়ে চাকরি পাবে না এবং স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছে তাদের সন্তানরাও চাকরি পাবে না। তাদের এভাবে চাকরি পাওয়া সম্ভব হবে না। কোটার সংস্কারে এ ধরনের পরিষ্কার কোনো ঘোষণা আসবে। তবে এ ঘোষণার বিষয়ে বলা আমার কোনো এখতিয়ারে পড়ে না।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, দেখেন, কোটা বিষয়ে আজ কেবিনেট মিটিংয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা বাস্তবসম্মত সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছি। তার মানে, প্রধানমন্ত্রী সংসদে দাঁড়িয়ে যে কথা বলেছেন এটার বাস্তবায়ন হবে।

মন্ত্রী বলেন, তবে দেশ স্বাধীনের পর বঙ্গবন্ধু যে কথা বলে ক্ষমা ঘোষণা করেছিলেন। যেমন, ক্ষমা করে দেওয়া হলো তাদেরকে যারা হত্যা, নারী ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ এবং লুটপাটের সাথে জড়িত ছিল না। কোটায় যাতে যুদ্ধাপরাধীদের সন্তানরা চাকরি না পায় সেই ঘোষণাও বঙ্গবন্ধুর সেই একই ভাষায় আসতে পারে।

তিনি বলেন, কোটা বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। আমরাও ছাত্র রাজনীতি করেছি, আমি মনে করি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার জনবান্ধব সরকার। ছাত্ররা আমাদের প্রিয়। প্রকৃত যারা ছাত্র আমরা তাদের পক্ষে কাজ করব। যারা ভিসির বাসভবনে আক্রমণ করেছিল তারা ছাত্র ছিল না। সেখানে দেখা গেছে, অনেকে বহিরাগত আছেন। কেউ দোকানদারি করে এ রকমও আছে।

মন্ত্রী বলেন, অত্যন্ত সতর্কতার সাথে ছাত্র বন্ধুদের বলব ধৈর্য্য ধারণ করার জন্য। তারা নিরাশ হবেন না। বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা, তিনি যখন পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে ঘোষণা করেছেন তখন বুঝতে হবে এটা বাস্তবায়ন হবেই।