কোম্পানীগঞ্জে কলেজ ছাত্রীকে গণধর্ষণ, গ্রেফতার-২
এইচ.এম আয়াত উল্যা, নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চাপরাশিরহাট ইসমাইল ডিগ্রী কলেজের এইচএসসি ২য় বর্ষের ছাত্রী জেসমিন আক্তার শিল্পী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। সোমবার চরকাঁকড়া ১নং ওয়ার্ডে উক্ত ঘটনা ঘটে। ধর্ষনের ঘটনায় পুলিশ দুই ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে। ধর্ষিতা চাপরাশির হাট ইসমাইল ডিগ্রী কলেজের ২য় বর্ষের ছাত্রী। সে কবিরহাট উপজেলার রামেশ্বপুর গ্রামের ননা মিয়ার বাড়ির মোঃ ইসমাইলের মেয়ে। সোমবার বিকেলে ধর্ষিতা কলেজ ছাত্রী বাদি হয়ে দুই ধর্ষকের বিরুদ্ধে থানায় গণধর্ষণের মামলা দিয়েছে। গ্রেফতারকৃত ধর্ষকরা হল, সিরাজপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড ছোট রাজাপুর এলাকার জুবলিওয়ালার বাড়ির আব্দুল মুনাফের ছেলে মোঃ ইউছুপ (২৪) ও চরকাঁকড়া ১ নং ওয়ার্ডের ছুকানী বাড়ির মৃত আবুল হোসেনের ছেলে সেলিম (৩০)। ধর্ষিতা কলেজ ছাত্রী জানান, শনিবার ভোর রাতে সে সেহেরী খেয়ে ফেনীতে খালা বিয়াধনীর বাসায় যায়। পরে রোববার ভোর রাতে সেহেরী খেয়ে বাস যোগে বসুরহাট জিরো পয়েন্টে আসে। বসুরহাট জিরো পয়েন্ট নিজ বাড়িতে যাওয়ার জন্য ব্যাটারী চালিত রিক্সা চালক মোঃ ইউছুপের গাড়িতে ওঠে। রিক্সাচালক তাকে তার নিজ বাড়ির রাস্তায় না নিয়ে ওল্টো চরকাঁকড়া ১ নং ওয়ার্ডে আবু নাছের শেখর এর আঁখ ক্ষেতের ভেতরে নিয়ে যায়। এ সময় ধর্ষক মোঃ ইউছুপ ও সেলিম কলেজ ছাত্রীকে জোরপূর্বক পালাক্রমে গণধর্ষণ করে। পরে আঁখ ক্ষেতের মধ্যে নিয়ে মুখ চেপে ধরে হত্যার চেষ্টা করে। কলেজ ছাত্রী শোরচিৎকার করলে স্থানীয় লোকজন বের হয়ে ধর্ষকদেরকে আটক করে। এলাকার লোকজন পুলিশকে সংবাদ দিলে পুলিশ কলেজ ছাত্রীকে উদ্ধার করে। দুই ধর্ষককে গ্রেফতার করে কোম্পানীগঞ্জ থানায় নিয়ে যায়। কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ মোঃ ফজলে রাব্বী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, কলেজ ছাত্রী বাদি হয়ে থানায় গণধর্ষণের মামলা দিয়েছে। চিকিৎসার জন্য ধর্ষিতা কলেজ ছাত্রীকে সোমবার বিকেলে নোয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন