কোরবানির মাংস তেরশ ভাগ, পাঠানো হলো প্রতি বাড়ি
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা সামাজিক কোরবানিতে এক হাজার তিনশত বাড়িতে মাংস পাঠানো হয়েছে। সোমবার পশু কোরবানির পর বিকেল থেকে চলে এ মাংসের ভাগাভাগি। পৌর শহরের ঈশ্বরগ্রামে দীর্ঘদিন ধরে চলছে এই সামাজিক কোরবানির মাংস তৈরি ও বিতরণ। স্থানীয় ধনী-গরিব সবাই এই মাংসের অংশীদার। কোরবানি দেওয়া পশুর মাংস সোমবার সন্ধ্যায় তেরশ ভাগ তৈরি করে সন্ধ্যায় বিতরণ করা হয়।
আয়োজকরা জানান, ঈশ্বরগ্রাম এবং সংলগ্ন এলাকায় যারা পশু কোরবানি দেন, তারা প্রতিটি পশুর মাংসের তিন ভাগের এক ভাগ জমা দেন এই সামাজিক ভাগ-বণ্টনে। এই সমাজভুক্ত প্রত্যেকের বাড়ির জন্য একজন করে ভাগীদার ধরে মাংস ভাগ করা হয়। এবার দুই হাজার ভাগ করা হয়েছে সামাজিক কোরবানির মাংস। স্থানীয় মসজিদ থেকে মাইকিং করে আওতাভুক্ত মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষদের ডেকে এনে মাংস বিতরণ করা হয়।
জানা যায়, বাংলাদেশে অনেক গ্রাম আছে, যেখানে কোরবানি হয় মসজিদ কমিটির মাধ্যমে। কোরবানির মাংস যাতে সমাজের সবার ঘরে পৌঁছায়, সে জন্য কোরবানির মাংস তিন ভাগের এক ভাগ মসজিদ চত্বরে জমা করতে বলা হয়। কেউ এই নিয়মের ব্যতিক্রম করলে তাকে সমাজের কমিটির কাছে জবাবদিহি করতে হয়।
জমাকৃত মাংস মসজিদের আওতাভুক্ত প্রতিটি পরিবারকে একক ধরে ভাগ করা হয়। ধনী-গরিব সবাই সমান হারে ভাগ পায়। এই নিয়মে কোরবানির মাংস বণ্টন করার ফলে কোরবানির দিন কেউ মাংস থেকে বাদ যায় না। তবে হালে একান্নবর্তী পরিবার গুলো ভাগ হয়ে ছোট পরিবার হয়ে যাওয়ায় সামাজিক কোরবানির এই মাংস ভাগের প্রথা দিন দিন কমে আসছে।
ঈশ্বরগ্রামের বাসিন্দা পৌরসভার কাউন্সিলর মীর্জা আবুল কালাম জানান, এ বছর মুসলিম সম্প্রদায়ের এক হাজার তিনশত বাড়িতে কোরবানির মাংস পাঠানো হয়েছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন