কোয়ারেন্টাইন থেকে পালিয়ে যাওয়া সেই ১০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা
যশোর জেনারেল হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যাওয়া সেই ১০ করোনা রোগীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। এর মধ্যে ৭জনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়ার পর (১০ মে) সোমবার সকালে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এর আগে শনিবার (০৮ মে) ওই ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার প্রতাপপাড়া গ্রামের জালাল হোসেনের ছেলে মিলন হোসেন (৩২), যশোর সদর উপজেলার পশ্চিম বারান্দিপাড়া এলাকার বিশ্বনাথ দত্তের স্ত্রী মনিমালা দত্ত (৪৯), রাজবাড়ী সদরের রামকান্তপুর গ্রামের গোলাম রব্বানীর স্ত্রী নাসিমা আক্তার (৫০), খুলনার পাইকগাছা উপজেলার ডামরাইল গ্রামের আহম্মদ সানার ছেলে আমিরুল সানা (৫২), খুলনা শহরের নতুন বাজার খ্রিস্টান গলির শের আলীর ছেলে সোহেল সরদার (১৭), খুলনা শহরের বিকে মেইন রোড এলাকার পুলিন কৃষ্ণ সরকারের ছেলে বিবেকানন্দ সরকার (৫২) ও যশোর সদরের পাঁচবাড়িয়া এলাকার রবিউল ইসলামের স্ত্রী ফাতেমা (১৯)। এর মধ্যে ফাতেমা ছাড়া সবাই ভারতফেরত।
এ ছাড়া যাদের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে- সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার সোনাতলা দক্ষিণ শ্রীপুরের মনোতাষ সরদারের স্ত্রী শেফালি রাণী সরদার (৪০), যশোর সদরের পাঁচবাড়িয়া এলাকার একরামুল কবীরের স্ত্রী রুমা (৩০) ও শহরের ওয়াপদা গ্যারেজ এলাকার মৃত ভদ্র বিশ্বাসের ছেলে প্রদীপ বিশ্বাসের (৩৭) নামে। এদের মধ্যে রুমা ও প্রদীপ স্থানীয় রোগী।
পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত ২৩ ও ২৪ এপ্রিল ভারত থেকে ফিরে আসা ৭ করোনা রোগী ও স্থানীয় ৩ করোনা রোগী যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের রেড জোন থেকে পালিয়ে যায়। রেড জোন থেকে ১০ করোনা রোগী পালিয়ে যাওয়ার খবর জানাজানি হলে এ নিয়ে সারাদেশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। ২৬ এপ্রিল পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় এদের বাড়ি থেকে ধরে এনে আবার যশোর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পরবর্তীতে যশোর কোতোয়ালি থানা পুলিশ এই ১০ জনের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে নন এফআইআর প্রসিকিউশন নং-৬১, তারিখ ০৮.০৫.২১ সংক্রমণ রোগ (প্রতিরোধ নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন ২০১৮ এর ২৫(২) ধারায় মামলা দাখিল করে। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আদালত ওই ১০জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে।
যশোর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলাম জানান, আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকায় সোমবার ৭জনকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। দুই বারের পরীক্ষায় করোনা নেগেটিভ আসায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ছাড়পত্র দেওয়ার পর তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। বাকী তিনজনকেও হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পাওয়া সাপেক্ষে আদালতে সোপর্দ করা হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন