ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা ত্রুটি সমাধানের দাবি জানিয়েছে যবিপ্রবির উন্নত মম শির

বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তীরণ রাস্তা সংস্কার, পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা ও ত্রিমুখী সড়কে দর্পণ স্থাপনসহ ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে নিরাপত্তা ত্রুটিগুলো সমাধানের দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সামাজিক সংগঠন ‘উন্নত মম শির’।

গতকাল শনিবার (১৯ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও প্রকৌশল দপ্তরে লিখিত পত্রে এ দাবি জানান উন্নত মম শিরের প্রতিনিধি দল।

পত্রে তারা লেখেন, ক্যাম্পাসের অধিকাংশ রাস্তার বেহাল দশা, একপ্রকার চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এগুলো দ্রুত সংস্কার প্রয়োজন। ক্যাম্পাসের কিছু জায়গায় আলোক স্বল্পতা রয়েছে বিশেষ করে প্রধান ফটক থেকে কেন্দ্রীয় মসজিদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একাডেমিক ভবনের পিছনের রাস্তা ও দ্বিতীয় ফটক থেকে ভিসি বাংলো রোড।

বৃষ্টির দিনে ও রাতের বেলা আলোক স্বল্পতার জন্য অনাকাঙ্ক্ষিত দূর্ঘনার সম্ভবনা রয়েছে। ক্যাম্পাসের ভিতরের রাস্তাগুলোতে ১০ কি.মি. সর্বোচ্চ গতিসীমা নির্ধারণ করে সাইনবোর্ড দেওয়া প্রয়োজন। ক্যাম্পাসের কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনের মোড়ের রাস্তাগুলো ৯০° কোণে অবস্থান ও গাছ থাকায় মোড়টা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।

সামনের দিক থেকে আসা গাড়িগুলো দেখতে না পাওয়াই দূর্ঘটনার সম্ভবনা রয়েছে। উক্ত মোড়ে দর্পন স্থাপন করলে দূর্ঘটনার সম্ভবনা কমে যাবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে এসকল সমস্যার দ্রুত সমাধান চেয়েছেন তাঁরা।

এবিষয়ে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের শিক্ষার্থী ও সংগঠনটির সদস্য সচিব বলেন, ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ পথগুলোতে আমরা বহুদিন যাবৎ আলোকস্বল্পতায় চলাফেরা করছি। পথে বিভিন্ন সময় সাপ, বিচ্ছু ইত্যাদি কর্তৃক ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে, এমনকি পথগুলোর বিভিন্ন অংশ ভঙ্গুর অবস্থায় রয়েছে যাতে পা আটকে বড় ধরনের দুর্ঘটনার সম্ভাবনা থাকে।

তাছাড়া, কেন্দ্রীয় মসজিদ-শেখ হাসিনা হল-লাইব্রেরি ভবন কেন্দ্রীক তিন রাস্তার মোড়ে ৯০° কোণে রাস্তার বাঁক থাকায় বড় ধরনের দূর্ঘটনা হতে পারে। তাই আমরা ‘উন্নত মম শির’ উপরোক্ত নিরাপত্তা ত্রুটিগুলো সমাধানের জন্য স্থানগুলোর ছবি প্রিন্ট করে সংশ্লিষ্ট প্রক্টর অফিস ও ইঞ্জিনিয়ারিং দপ্তরে দুটি আবেদন করেছি।

আমরা উক্ত গুরুত্বপূর্ণ পথসমূহে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করা, তিন রাস্তা মোড়ের দুর্ঘটনা রোধে দর্পণ (Mirror) স্থাপন ও দ্রুত সময়ে রাস্তাগুলোর যথাযথ সংস্কারের জোর দাবি জানাচ্ছি।

এবিষয়ে প্রকৌশল দপ্তরের ডেপুটি চিফ ইঞ্জিনিয়ার বলেন, গতকাল একটি লিখিত আবেদন পেয়েছি। পর্যাপ্ত আলোক বাতির বিষয়ে ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলে দিয়েছি এবং সিভিল ইঞ্জিনিয়ারকেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। খুব দ্রুত সমস্যাগুলোর সমাধান হয়ে যাবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তীরণ নিরাপত্তা ত্রুটি সমাধানের দাবির বিষয়ে যবিপ্রবির প্রক্টর মো: আমজাদ হোসেন ড. ইঞ্জ. বলেন, উন্নত মম শির নামক সংগঠনের একটি লিখিত আবেদন আমি পেয়েছি। এরপরই আমি রেজিস্ট্রার দপ্তরে চিঠি দিয়েছি এবং উপাচার্য স্যারের সাথে এবিষয়ে মৌখিকভাবেও কথা বলেছি। আশা করি প্রকৌশল দপ্তর দ্রুত সময়ের মধ্যে সমাধান করবে এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা পূর্ণভাবে নিশ্চিত হবে।

সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: আব্দুল মজিদ বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি ও সমস্যা গুলো সম্পর্কে আমি অবগত আছি। সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে এগুলো সমাধান হবে এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।