ক্রমেই খালেদার স্বাস্থ্যের অবনতি হচ্ছে : মির্জা ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, কারাগারে ক্রমেই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য অবনতির দিকে যাচ্ছে। এতে জাতি উৎকণ্ঠিত। শনিবার সকালে নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, ‘শুক্রবার পরিবারের সদস্যরা গিয়ে বেগম জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারেননি। বুধবার মির্জা আব্বাস ও নজরুল ইসলাম খানকে সঙ্গে নিয়ে আমি গিয়েও দেখা করার অনুমতি পাইনি। সুস্পষ্টভাবে কারণ না দেখিয়ে আমাদের ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে। প্রায় ১০ দিন পরিবারের সদস্যরা তার সাক্ষাতের সুযোগ না পাওয়ায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন।’

তিনি বলেন, ‘আমরা সংবাদপত্রের মাধ্যমে জানতে পেরেছি- সরকারের একটি মেডিকেল টিম তাকে পরীক্ষা করতে গিয়েছিল। পরে অধ্যাপক মালিহা রশীদের নেতৃত্বে দুই সদস্যের একটি মেডিকেল টিম তাকে দেখতে কারাগারে যান। বেগম জিয়া বেশ কিছু ব্যাধিতে আক্রান্ত। এর মধ্যে এক্যুইট রিউমেটিক আর্থারাইটিস তাকে বেশ কষ্ট দিচ্ছে। চিকিৎসকরা অবিলম্বে তার পছন্দনীয় ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসার সুপারিশ করেছেন।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে বেগম জিয়াকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর মূল উদ্দেশ্য তাকে এবং তার দলকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখা। ২০১৪ সালের মত একতরফা নির্বাচন করে আবারও ক্ষমতা দখল করে রাখা।’

‘হায়াত-মউত আল্লাহর হাতে। খালেদার স্বাস্থ্য নিয়ে বিএনপি রাজনীতি করছে’- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এ বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করেন মির্জা ফখরুল।

তিনি বলেন, ‘এটা স্পষ্ট তারা দেশনেত্রীর স্বাস্থ্য বিষয়ে ধূম্রজাল সৃষ্টি করে জনগণকে বিভ্রান্ত করতে চায়। তাকে রাজনীতি ও আসন্ন নির্বাচন থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে চায়।’

সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এখনও সময় আছে, অবিলম্বে দেশনেত্রীকে মুক্তি দিন, সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করুন। অন্যথায় তার স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটলে, দায় সরকারকেই বহন করতে হবে। নোংরা রাজনীতি না করে সোজা পথে বেগম জিয়াকে মুক্তি দিন।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রমুখ।