ক্রীড়াঙ্গনেও বাংলাদেশের ছেলেমেয়েরা সাফল্যের সাক্ষর রেখেছে : এনামুল হক শামীম
পানি সম্পদ উপ-মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম বলেছেন, স্বাধীনতার ৫০ বছরে ক্রীড়াঙ্গনেও অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে বাংলাদেশ। ফুটবল, দাবা,শুটিং,সাঁতার, গলফ ও আর্চাতিরে অনন্য উচ্চতায় বাংলাদেশ।
আন্তর্জাতিক ক্রীড়াঙ্গনেও বাংলাদেশের ছেলেমেয়েরা সাফল্যের সাক্ষর রেখেছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিয়মিতভাবে ক্রীড়া পৃষ্ঠপোষকতা, খেলোয়াড়, ক্রীড়াবিদ ও সংগঠকদের উৎসাহিত করার মাধ্যমে ক্রীড়াচর্চাকে আরো সচল করার পাশাপাশি খেলার টেকসই মানোন্নয়নের জন্য অর্থবহ উদ্যোগ নিয়ে ক্রীড়াঙ্গনে বিশেষ অবদান রাখছেন।
শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) শরীয়তপুরের সখিপুর ইসলামিয়া স্কুল মাঠে সখিপুর স্পোর্টস এ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত সখিপুর সুপার লীগের গ্রান্ড ফাইনালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
উপ-মন্ত্রী শামীম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্রীড়াপ্রীতি, ক্রীড়াঙ্গন সংশ্লিষ্ট মানুষের প্রতি দুর্বলতা, তাদের পাশে দাঁড়ানো, তাদের জন্য কিছু করার আকূলতা, এই চত্বরের সান্নিধ্য উপভোগ—এ সবই তাঁর ‘জেনেটিক’। দাদা, বাবা ও ভাইয়েরা ছিলেন মনেপ্রাণে ক্রীড়ানুরাগী। মাঠে খেলোয়াড়। মাঠের বাইরে সাংগঠনিক দায়িত্ব পালনকারী সংগঠক। শেখ হাসিনা নিজেও ছোটবেলায় খেলাধুলা করেছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবার তো একটি খাঁটি ক্রীড়ানুরাগী পরিবার।
এনামুল হক শামীম বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সরকার ক্রীড়াবান্ধব। যখনই ক্ষমতায় এসেছে দেশের ক্রীড়াচর্চায় গৃহীত উদ্যোগে এই খাত হয়েছে বেগবান। স্বাধীন বাংলাদেশের ৫০ বছরে ক্রীড়াক্ষেত্রে বিভিন্ন খেলায় সামান্য অর্জন, ঘরোয়া ক্রীড়াঙ্গনে নতুন নতুন আধুনিক ক্রীড়াকাঠামো নির্মাণ, সবার খেলার সুযোগ সৃষ্টির জন্য উপজেলা পর্যায়ে মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণের পাশাপাশি বিদেশে বিভিন্ন খেলার আন্তর্জাতিক গেমস টুর্নামেন্ট ও চ্যাম্পিয়নশিপে অংশগ্রহণের সবচেয়ে বেশি সুযোগ মিলেছে। খেলোয়াড়দের স্বাবলম্বী এবং তাঁদের আর্থিক নিরাপত্তার জন্য বিভিন্ন সার্ভিস দল, সরকারি প্রতিষ্ঠান, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে কয়েক হাজার নারী ও পুরুষ ক্রীড়াবিদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, বিএনপি এবং তার সহযোগীরা ষড়যন্ত্র করে ২০০৭ সালে ব্যর্থ হয়েছে। ২০০৮ এর নির্বাচনে নিরঙ্কুশ ভাবে পরাজিত হয়েছে। তারা ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারি নির্বাচন, গণতন্ত্র ও সংবিধানকে প্রতিহত করার লক্ষ্যে অগ্নি সন্ত্রাসের মাধ্যমে সর্বশক্তি নিয়োগ করেও পরাস্ত হয়েছে। ২০১৮ সালের নির্বাচনেও দেশি-বিদেশি নানা ষড়যন্ত্র সত্বেও নিরঙ্কুশভাবে পরাজিত হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাই আগামী নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় লাভ করে ক্ষমতায় থাকবেন। বিএনপি এবং তার দোসররা দেশে-বিদেশে যতই ষড়যন্ত্র করুক না কেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাই পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়বেন।
সখিপুর থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান মানিক সরদারের সভাপতিত্বে ও সুপার লীগের প্রধান উদ্যোক্তা মাসুক কবির রুমেলের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছাবেদুর রহমান খোকা সিকদার, উপদেষ্টা কামাল বেপারী, ভেদরগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান ও সখিপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি হুমায়ুন কবির মোল্যা, উপদেষ্টা মাস্টার মোয়াজ্জেম হোসেন সরদার, সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান মানিক সরকার। এসময় ২০ হাজার দর্শক মাঠের আশপাশ কানায় কানায় পরিপূর্ণ করেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন