ক্রীড়াঙ্গনেও বাংলাদেশের ছেলে-মেয়েরা সাফল্য অর্জন করেছে : এনামুল হক শামীম
পানি সম্পদ উপ-মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম বলেছেন, স্বাধীনতার ৫০ বছরে ক্রীড়াঙ্গনেও অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে বালাদেশ। আন্তর্জাতিক ক্রীড়াঙ্গনেও বাংলাদেশের ছেলে-মেয়েরা সাফল্যের স্বাক্ষর রেখেছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিয়মিতভাবে ক্রীড়ায় পৃষ্ঠপোষকতা করছেন। ক্রীড়ায় টেকসই মানোন্নয়নের জন্য অর্থবহ উদ্যোগ নিয়ে ক্রীড়াঙ্গনে বিশেষ অবদান রাখছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবসময়ই ক্রীড়াপ্রেমী।জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবার তো একটি খাঁটি ক্রীড়ানুরাগী পরিবার।
রবিবার (১৩ নভেম্বর) ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটি (ডিআরও) আয়োজিত নগদ-ডিআরইউ মিডিয়া ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
উপমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সরকার ক্রীড়াবান্ধব। যখনই ক্ষমতায় এসেছে দেশের ক্রীড়া চর্চায় গৃহীত উদ্যোগে এই খাত হয়েছে বেগবান। স্বাধীন বাংলাদেশের ৫০ বছরে ক্রীড়াক্ষেত্রে বিভিন্ন খেলায় সামান্য অর্জন, ঘরোয়া ক্রীড়াঙ্গনে নতুন নতুন আধুনিক ক্রীড়াকাঠামো নির্মাণ, সবার খেলার সুযোগ সৃষ্টির জন্য উপজেলা পর্যায়ে মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণের পাশাপাশি বিদেশে বিভিন্ন খেলার আন্তর্জাতিক গেমস টুর্নামেন্ট ও চ্যাম্পিয়নশিপে অংশগ্রহণের সবচেয়ে বেশি সুযোগ মিলেছে। খেলোয়াড়দের স্বাবলম্বী এবং তাঁদের আর্থিক নিরাপত্তার জন্য বিভিন্ন সার্ভিস দল, সরকারি প্রতিষ্ঠান, স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে কয়েক হাজার নারী ও পুরুষ ক্রীড়াবিদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে।
এনামুল হক শামীম বলেন, বিএনপি এবং তার সহযোগীরা ষড়যন্ত্র করে ২০০৭ সালে ব্যর্থ হয়েছে। ২০০৮ এর নির্বাচনে নিরঙ্কুশভাবে পরাজিত হয়েছে। তারা ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারি নির্বাচন, গণতন্ত্র ও সংবিধানকে প্রতিহত করার লক্ষ্যে অগ্নি সন্ত্রাসের মাধ্যমে সর্বশক্তি নিয়োগ করেও পরাস্ত হয়েছে। ২০১৮ সালের নির্বাচনেও দেশি-বিদেশি নানা ষড়যন্ত্র সত্বেও নিরঙ্কুশভাবে পরাজিত হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাই আগামী নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় লাভ করে ক্ষমতায় থাকবেন। বিএনপি এবং তার দোসররা দেশে-বিদেশে যতই ষড়যন্ত্র করুক না কেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাই পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়বেন।
উপমন্ত্রী সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য বলেন, আমি একজন রাজনৈতিক কর্মী। সাংবাদিকদের সাথে আমাদের সম্পর্ক আত্মার। আমরা উভয়ই মূলত দেশ ও মানুষের কল্যাণের জন্য কাজ করি। একে অপরের পূরিপূরক। আমাদের সম্পর্কের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, ডিআরও’র সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু, সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম হাসিব, নগদের নির্বাহী পরিচালক নিয়াজ মোর্শেদ এলিট, ফুটবলার শেখ আসলাম, ডিআরও’র ক্রীড়া সম্পাদক মাকসুদা লিজা প্রমূখ। এই টূর্নামেন্টে ৫১টি টিম অংশগ্রহণ করেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন