খাগড়াছড়িতে আওয়ামীলীগ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মী সহ আটক ১৪

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার আওয়ামীলীগ ও সহযোগি সংগঠনের দীঘিনালায় ডেভিল হান্ট: আটক ৬জনসহ নেতাকর্মী আটক বেড়ে-১৪জন হয়েছে। ৯টি উপজেলায় বিভিন্ন এলাকায় পুলিশের মহড়া অব্যাহত রয়েছে।
অপারেশন ডেভিল হান্ট-এর আওতায় খাগড়াছড়ি দীঘিনালায় যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের ৬জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছেন।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, দীঘিনালা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য আফজাল হোসেন, যুবলীগের নেতা মো: হাসেম, আনোয়ারুল হক, আলী আকবর, হেলাল উদ্দিন।

পুলিশের সূত্র জানায়, নাশকতা সৃষ্টির জন্য প্রস্তুুতির সময় রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫) রাতে উপজেলার মেরুং ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা অভিযানে আটক করা হয়। তারা আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত নাশকতা ও অরাজগতা সৃষ্টির অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।

এ ছাড়াও সোমবার(১০ ফেব্রুয়ারী) সকালে অপারেশন ডেভিল হান্ট এর উপজেলার বোয়ালখালী নতুন বাজার, কবাখালী বাজার, জামতলী বাজার ও লারমা স্কোয়ার এলাকায় মূল সড়কে যানবাহন তল্লাশি ও মহড়া দিয়ে দীঘিনালা থানা পুলিশ।

দীঘিনালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মো: জাকারিয়া বলেন, ‘অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি প্রতিরোধে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে অরাজকতা সৃষ্ঠিকারীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, ‘জেলা পুলিশের বিশেষ নির্দেশনায় নাশকতা ও অরাজকতা সৃষ্টি কারীদের নির্মূল না করা পর্যন্ত অভিযান অব্যহত থাকবে।’

এর আগে অপারেশন ডেভিল হান্ট-এর আওতায় জেলাতে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের আরো ৪নেতাকর্মীকে গ্রেফতার হয়েছে।

এ নিয়ে গত ২৪ঘণ্টায় ৮জনকে গ্রেফতার করা হলো। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে, নিষিদ্ধ ঘোষিত চট্টগ্রাম মহসিন কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক ও মহালছড়ি উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি অভি দে, দীঘিনালা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য আফজাল হোসেন, ভাইবোনছড়া ইউনিয়ন যুবলীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মো: আব্দুর রহমান জীবন এবং গুইমারার বড়পিলাক ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি সোহাগ মিয়া, মো: সেলিম, আব্দুর রহিম ও মো: আজিজুল।
পুলিশের দাবি, ছাত্রলীগ নেতা অভি দে-কে নাশকতা সৃষ্টির জন্য প্রস্তুুতির সময় রোববার(৯ই ফেব্রæয়ারী) রাতে মহালছড়ির ২৪মাইল এলাকা থেকে আটক করা হয়।

সে মহালছড়ি টিলা পাড়ার মৃত সূধীর দের ছেলে। তার বিরুদ্ধে জুলাই-আগষ্ট বিপ্লবে চট্টগ্রামে ছাত্র জনতার আন্দোলনে সরাসরি হামলার অভিযোগ রয়েছে।
খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মো: আরেফিন জুয়েল জানান. অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি প্রতিরোধে জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। সন্ত্রাসীদের নির্মূল না করা পর্যন্ত অভিযান চলবে।