খাগড়াছড়িতে ঈদ শুভেচ্ছায় ওয়াদুদ ভূইয়ার সাথে সাংবাদিকদের মিলন মেলা

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলাতে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়, ওয়াদুদ ভূইয়ার বাসভবন “বৈঠকে” সাংবাদিকদের মিলন মেলায় পরিনত হয়েছে। জেলাতে ওয়াদুদ ভূইয়ার বাসভবন “বৈঠকে” প্রাণ খুলে কথা বলেছেন স্থানীয় কর্মরত পেশাজীবি সাংবাদিকরা। জানিয়েছেন নানা অনুযোগ-অভিযোগ। ফ্যাসিষ্ট হাসিনার আমলে খাগড়াছড়িতে সাংবাদিকদের নানা প্রতিবন্ধকতার কথা উঠে আসে এই মিলন মেলায়। এই মিলন মেলায় জেলার ৯টি উপজেলা শহরের সাংবাদিকরা অংশগ্রহণ করেন।

পবিত্র ঈদ উল আযহার ৪র্থ দিন মঙ্গলবার (১০ই জুন) দুপুরে খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ওয়াদুদ ভূইয়ার খাগড়াছড়ির কলাবাগানস্থ “বৈঠকে” জেলায় কর্মরত সকল সাংবাদিকদের নিয়ে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাব, খাগড়াছড়ি সাংবাদিক ইউনিয়ন, জেলার ৯টি উপজেলার সকল প্রেসক্লাব ও পেশাজীবি সকল সাংবাদিকরা অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিল।
জেলার প্রায় দেড় শতাধিক সাংবাদিক বিএনপির নেতা ওয়াদুদ ভূইয়ার আমন্ত্রণে সাড়া দেন। এতে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক এম এন আবছার ও যুগ্ন সম্পাদক এডভোকেট আব্দুল মালেক মিন্টু।

খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক দিদারুল আলমের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মিলন মেলায় বক্তব্য রাখেন, খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবের সভাপতি তরুণ কুমার ভট্টাচার্য, সাধারণ সম্পাদক এইচ এম প্রফুল্ল, খাগড়াছড়ি সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শাহরিয়ার ইউনুছ, রামগড় প্রেসক্লাবের সভাপতি নিজাম উদ্দিন লাভলু, দীঘিনালা প্রেস ক্লাবের সভাপতি মো: আল-আমিন, গুইমারা প্রেস ক্লাবের সভাপতি মো: আব্দুল হালিম, পানছড়ি প্রেস ক্লাবের সভাপতি মনিরুল ইসলাম মাহিম, মাটিরাঙা প্রেসক্লাবের সভাপতি মো: জসিম উদ্দিন জয়নাল, ল²ীছড়ি প্রেস ক্লাবের সভাপতি মোবারক হোসেন প্রমূখ।

মিলন মেলায় সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেন, বিগত সাড়ে ১৫বছর খাগড়াছড়িতে সাংবাদিকতার পরিবেশ ছিল না। এই দীর্ঘদিন যারা খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবে দায়িত্বে ছিলেন, তারা নিজেদের স্বার্থে পুরো জেলার সাংবাদিকদের জিন্মি করে রেখেছিল। লেখার সুযোগ ছিল না, কথা বলার সুযোগ ছিল না। জুলাই-৫ই আগষ্টের পর থেকে খাগড়াছড়ির সাংবাদিকরা এখন স্বাধীন। যা দেখছে তাই লেখতে পারছে। তবে কিছু ব্যক্তি ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের নাম ভাঙ্গিয়ে পুরো খাগড়াছড়ি জেলায় চাঁদাবাজি করছে। এতে করে মহান সাংবাদিকতা পেশার সম্মান ক্ষুন্ন হচ্ছে বলে অভিযোগ করে।

খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ ওয়াদুদ ভূইয়া যা সত্য, যা দেখছে তা লেখার আহবান জানিয়ে বলেন, সাংবাদিকরা সমাজের দর্পন। তারা যা দেখবে তাই লেখবে। এর ফলে আমরা যারা রাজনীতি করি তারা শুদ্ধ হওয়ার সুযোগ পাবে। তিনি বলেন, খাগড়াছড়িতে কর্মরত সাংবাদিকরা স্বাধীন। সাংবাদিকরা তৃণমুল থেকে নানা অনাচার-অবিচারের তথ্য তুলে ধরবে এটাই প্রত্যাশা করেন।