খাগড়াছড়িতে ঐতিহাসিক জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলাতে পাজেপ’র উৎসবমুখর প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঐতিহাসিক জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের উদ্যোগে রোববার (২৭ জুলাই) বিকেলে খাগড়াছড়ি জেলা স্টেডিয়ামে জমজমাট ফুটবল প্রীতি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়।

প্রাণবন্ত ও উৎসবমুখর এই প্রীতি ফুটবল ম্যাচ উদ্বোধন করেন পার্বত্য জেলা পরিষদের অস্থায়ী চেয়ারম্যান শেফালিকা ত্রিপুরা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর খাগড়াছড়ি জোন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল খাদেমুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মো: আরেফিন জুয়েল, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক ও পৌর প্রশাসক নাজমুন আরা সুলতানা, রিজিয়নের স্টাফ অফিসার (জিটুআই) মেজর কাজী মোস্তফা আরেফিন, পার্বত্য জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) রুমানা আক্তার, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমএন আবছার, জেলা ক্রীড়া অফিসার হারুণ অর রশিদ, জেলা ক্রীড়া সংস্থার এডহক কমিটির সদস্য মো: নজরুল ইসলাম, জেলা পরিষদের অন্যান্য সদস্য এবং জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ।

খাগড়াছড়ি জেলা ক্রীড়া সংস্থার বাস্তবায়নে আয়োজিত এই প্রীতি ফুটবল ম্যাচ শুধু খেলাধুলাই নয়, বরং জেলার মানুষের মধ্যে স¤প্রীতি, বন্ধন ও ঐক্যের বার্তা পৌঁছে দেয়ার এক অনন্য দৃষ্টান্ত হয়ে ওঠে। স্টেডিয়াম জুড়ে তখন দর্শনার্থীদের উচ্ছ¡াস, করতালি ও খেলোয়াড়দের মাঠ দাপানো পারফরম্যান্সে জমে ওঠে প্রাণের মেলা।

পার্বত্য জেলা পরিষদের অস্থায়ী চেয়ারম্যান শেফালিকা ত্রিপুরা উদ্বোধনী ভাষণে বলেন “জুলাই গণঅভ্যুত্থান আমাদের গণতন্ত্রের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। তরুণ সমাজকে এর চেতনায় অনুপ্রাণিত করতে খেলাধুলার মাধ্যমে আমরা একটি শক্তিশালী বার্তা পৌঁছে দিতে চাই।”

চ্যাম্পিয়ন খাগড়াছড়ি সদর, দারুণ প্রতিদ্বন্ধিতা পানছড়ির:- দুই শক্তিশালী দলের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত বিজয়ের মুকুট পড়ে খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার মাথায়। তারা ২-০গোলের ব্যবধানে পরাজিত করে পানছড়ি উপজেলা ফুটবল একাদশকে। খেলার শুরু থেকেই সদর একাদশ তাদের গতি, টেকনিক ও সমন্বয়ের দক্ষতা দেখিয়ে ম্যাচে প্রভাব বিস্তার করে। দুই অর্ধেই তারা একটি করে গোল করে, যা ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতেই রেখে দেয়।

লটারি ড্র ও পুরস্কার বিতরণ ছিল বাড়তি আনন্দ:-
খেলা শেষে অনুষ্ঠিত হয় লটারি ড্র, যা উপস্থিত দর্শকদের মধ্যে তৈরি করে বাড়তি আগ্রহ ও আনন্দের আবহ। পরে বিজয়ী ও রানারআপ দলের খেলোয়াড়দের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন আমন্ত্রিত অতিথিরা।

এই প্রীতি ফুটবল ম্যাচ যেন শুধু একটি ক্রীড়া আয়োজন নয়, বরং পাহাড়ের মানুষের একতা, স¤প্রীতি ও গণচেতনাকে নতুন করে জাগিয়ে তোলার একটি সাহসী প্রয়াস। খাগড়াছড়ির মাঠ জুড়ে এই দিনটি ইতিহাস হয়ে থাকবে, যেখানে ক্রীড়ার ভাষায় উদযাপিত হলো গণঅভ্যুত্থানের চেতনাকে।