খাগড়াছড়িতে কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ইস্যুতে উত্তপ্ত, ধর্ষিতার পরিবারের পাশে দাড়ালো বিএনপি

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলাতে কিশোরী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। জড়িতদের শাস্তি নিশ্চিতে দাবী করে ধর্ষিতার চিকিৎসা সহায়তা নিয়ে পরিবারের পাশে দাড়ালো জেলা বিএনপি। ধর্ষিতার আত্মহত্যার চেষ্টা, আটক চার। ভুক্তভোগী কিশোরী বর্তমানে খাগড়াছড়ি আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ সমাবেশ অব্যাহত রযেছে। বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ, ভাইবোনছড়ায় উত্তেজনা, সড়ক অবরোধের চেষ্টায় ফুঁসে উঠছে স্থানীয়রা। খাগড়াছড়ির ভাইবোনছড়ায় ত্রিপুরা কিশোরীকে ৬জন মিলে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ করেছে সাধারন শিক্ষার্থীরা। সমাবেশ থেকে ধর্ষকদের গ্রেপ্তার দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী জানান।
এদিকে-ধর্ষকরা কোন দলের হতে পারেনা মন্তব্য করে জড়িতদের শাস্তির দাবী জানিয়ে ধর্ষিতার চিকিৎসায় তার পরিবারের পাশে আর্থিক সহায়তা নিয়ে দাঁড়িয়েছে খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপি।
গত বৃহস্পতিবার (১৭ই জুলাই ২০২৫) দুপুরে খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান ওয়াদুদ ভূইয়ার নির্দেশে খাগড়াছড়ি আধুনিক জেলা সদর হাসপাতলে ছুটে যান খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক এমএন আবছার।
সেখানে আত্মহত্যার চেষ্টাকারী ধর্ষিতার পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিয়ে তার চিকিৎসা নিশ্চিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেন। একই সময় উন্নত চিকিৎসা সহায়তা দিয়ে বিএনপির পাশে আছে বলেও জানান দলটির সাধারন সম্পাদক এমএন আবছার।
ধর্ষকরা কোন দলের নয়, বিএনপির সাথে সাথে কোন সম্পৃক্ততা নেই বলে উল্লেখ করে অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের প্রতি আহŸান জানান। এ সময় তিনি কিছু কিছু দল সুযোগ বুঝে বিএনপির উপর অপবাদ লেপনে ব্যস্ত বলেও উল্লেখ করেন।
এ সময় খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ক্ষেত্র মোহন রোওয়াজা, যুগ্ম সম্পাদক অনিমেষ চাকমা রিংকু, মোশাররফ হোসেন, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাসেম ভূঁইয়া, বাংলাদেশ ত্রিপুরা কল্যাণ সংসদ সভাপতি কমল বিকাশ ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ি জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি আনিসুল আলম আনিকসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে খাগড়াছড়িতে কিশোরী ধর্ষণ ইস্যুতে উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। জেলাতে ত্রিপুরা কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের প্রতিবাদে সাধারণ শিক্ষার্থীর ব্যানারে একটি বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার (১৭ই জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টায় খাগড়াছড়ি জেলা সদরের সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শিক্ষার্থীরা আদালত সড়ক, ভাঙ্গাব্রীজ ঘুরে শাপলা চত্বর মুক্ত মঞ্চে গিয়ে সমাবেশে করে।
মিছিলটি আদালত সড়ক, ভাঙ্গাব্রীজ ঘুরে শাপলা চত্বর মুক্তমঞ্চে গিয়ে সমাবেশে করে শেষ হয়। সমাবেশে ওয়াপাইং মারমার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সাধারণ-শিক্ষার্থী উক্যনু মারমা, কবিতা চাকমা, নিশি ত্রিপুরা, দেবাশীষ চাকমা, তুষাণ চাকমা ও উজ্জ্বল মারমা প্রমূখ। এ সময় সাধারন শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
এসময় পাহাড়ি স¤প্রদায়ের উপর এমন নিন্দনীয় সংঘবদ্ধ ধর্ষণের প্রতিবাদ জানিয়ে বক্তারা আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। নয়তো পাহাড়ে আগুণ জ্বলবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তারা।
অপরদিকে মিছিল করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ খাগড়াছড়ি জেলার নেতাকর্মীরাও। ধর্ষণের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিলে পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ তারা এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘৃণাত্মক প্রচারণা ও উষ্কানীমূলক কর্মসূচী গ্রহণ করেছে।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় জেলা সদরের সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীর ব্যানারে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। পরিস্থিতি যাতে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে না যায় সেজন্য শুরুতেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সজাগ থাকার জন্য অনুরোধ করেছেন সাধারণ পার্বত্যবাসী।
সমাবেশ থেকে বক্তারা, পাহাড়ে যথাযথ বিচারহীনতার জন্য ধর্ষণের সংস্কৃতি চালু হয়েছে মন্তব্য করে পাহাড়ি স¤প্রদায়ের উপর এমন নিন্দানীয় সংঘবদ্ধ ধর্ষণের প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, অভিলম্বে সকল ধর্ষকদের গ্রেপ্তার করে যথাযথ শাস্তির আওতায় এনে বিচার করা না হলে পাহাড়ে আগুণ জ্বলবে।
ধর্ষণের এমন ঘটনা পাহাড়ে নতুন নয় উল্লেখ করে নারী শিশু ও শিক্ষার্থীদের যৌণ নিপীড়ন বন্ধ,ধর্ষকদের শাস্তির আওতায় আনার নিশ্চয়তা, ধর্ষণ প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণসহ অনৈতিক কাজের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহŸান জানিয়ে বক্তারা দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রæুত ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবী করেন।
এ ঘটনার জের ধরে পাহাড়ের বিভিন্ন আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল ফুঁসে উঠছে। মিছিল, মিটিং, বিক্ষোভের ডাক দিচ্ছে। এর আগেও খাগড়াছড়িতে ধর্ষণের অভিযোগে সংঘাত, অপ্রীতিকর, দ্বন্ধের রেশ কাটতে না কাটতেই এ ধরনের ঘটনায় খাগড়াছড়িতে আবারো অশনি সংকেত দেখা দিচ্ছে বলে মনে করছে স্থানীয় বাঙালীরা।
সংঘবদ্ধ ধর্ষণের তরুণী আত্মহত্যা ও জড়িতরা আটক: খাগড়াছড়ি ভাইবোনছড়ার লতিবান এলাকার ঐ ত্রিপুরা কিশোরী স¤প্রতি রথযাত্রা উৎসব দেখতে গিয়ে ভাইবোনছড়ায় মেলায় যায়। রাত হয়ে যাওয়ায় গাড়ি না পাওয়ার ফলে ভাইবোনছড়া তার কাকার বাড়িতে রাত যাপন করেন।
সেখানেই রাতের অন্ধকারে ধর্ষণকারীরা ওই বাড়িতে ঢুকে জোর করে কিশোরীকে পালাক্রমে সংঘবদ্ধ ভাবে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ উঠে। এ ঘটনার পর ঐ কিশোরী বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে।
সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষকদের একটি জাতীয় রাজনৈতিক দল বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মী বলে অভিযোগ উঠলেও তার দায় স্বীকার করছে না কেউ। ধর্ষকরা বিএনপির কোন রাজনীতির সাথে জড়িত নয় বলে জানান সংগঠনটির সাধারন সম্পাদক এমএন আবছার।
এ ঘটনায় গত বুধবার রাতে ৪জন ধর্ষককে আটক করে পুলিশ প্রশাসন। গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছে- খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার ভাইবোনছড়া ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মো: আরমান হোসেন(৩২), সদস্য মো: ইমন হোসেন(২৫), মো: এনায়েত হোসেন(৩৫), শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক মো: সাদ্দাম হোসেন(৩২)। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে ৬জনকে আসামী করে মামলা করা হয়েছে।
মামলার বাকি দুই আসামি হলেন একই ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অপর অভিযুক্ত মো: মুনির ইসলাম(২৯) ও ছাত্রদলের সহসাংগঠনিক সম্পাদক মো: সোহেল ইসলাম(২৩)। তাঁরা পলাতক বলে পুলিশ জানিয়েছে।
ধর্ষণ ইস্যুকে কেন্দ্র করে পাহাড়ী-বাঙালি সা¤প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টির অপচেষ্টা ইউপিডিএফের অভিযোগ। খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার ভাইবোনছড়া এলাকায় ত্রিপুরা কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে চার যুবককে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে সেনাবাহিনী। অভিযুক্ত আরও দুইজন খুঁজছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: আব্দুল বাতেন মৃধা (ওসি) বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ পেয়েই পুলিশ বিষয়টি আমলে নিয়ে মামলা নেয়। গ্রেফতারকৃতদের আদালতে পাঠানোর পাশাপাশি পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছেন। মামলা হওয়ার পরপরই অভিযুক্ত চারজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে বলে জানা গেছে।
গত বুধবার (১৬ই জুলাই) রাতে খাগড়াছড়ি সদর থানায় ধর্ষণের অভিযোগে একটি মামলা দায়ের হলে বিষয়টি জানাজানি হয়। থানায় ছয়জনকে অভিযুক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন ভুক্তভোগীর বাবা। মামলার পরপরই ওই দিন দিবাগত রাত ৩টার দিকে চারজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে সেনাবাহিনী।
মামলার এজাহার ও ভিকটিমের পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ২৭শে জুন রথযাত্রার মেলা শেষে এক আত্মীয়ের বাড়িতে রাত্রিযাপন করে ওই কিশোরী। রাতেই অভিযুক্ত ছয় যুবক ওই বাড়িতে ঢুকে কিশোরী এবং ঘরে থাকা এক যুবকের বিরুদ্ধে অনৈতিক সম্পকের অভিযোগ তোলেন। এর পর ওই যুবককে বেঁধে রেখে কিশোরীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন। সেখানে গভীর রাতে ছয়জন ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন। এ সময় ছাত্রীর আত্মীয়কে বেঁধে রাখা হয়েছিল।
পরবর্তীতে ভয় ও লজ্জায় ঘটনাটি চেপে যায় ভুক্তভোগী কিশোরী। তবে স¤প্রতি ওই কিশোরী বিষপান করার পর তাকে খাগড়াছড়ি আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। জ্ঞান ফেরার পর সে পরিবারকে ঘটনাটি বিবরন বিস্তারিত জানায়। এর পর বুধবার রাতে তার বাবা ছয় যুবকের নাম উল্লেখ করে থানায় ধর্ষণ মামলা করেন।
ভুক্তভোগীর পরিবারের লোকজন জানান, সামাজিক লজ্জা ও ভয়ভীতির কারণে মেয়েটি প্রথমে কিছু প্রকাশ করেনি। এর আগেই ওই ত্রিপুরা কিশোরী সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়। সেখানেও ধর্ষণের কথা বলেন। কিন্তু হাসপাতালের চিকিৎসকরা ধর্ষণের আলামত পরীক্ষার কথা জানালে তারা সদর হাসপাতাল থেকে গোপনে বাড়িতে চলে আসে একটি স্থানীয় সূত্রে নিশ্চিত করে।
এদিকে অভিযুক্তদের পরিবারের সদস্যরা বলছে ভিন্ন কথা, তাদের দাবি অভিযুক্তরা মেয়েটিকে ধর্ষণ করেনি। মূলত ওই রাতে অন্য এক যুবকের সাথে বদ্ধ ঘরে আপত্তিকর কাজে লিপ্ত থাকা অবস্থায় অভিযুক্তরা ওই কিশোরীকে হাতে-নাতে ধরে ফেলেছিলো। ঘটনাটিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে অথবা পরিবারের ভয়ে কিশোরীটি গণধর্ষণের নাটক সাজিয়েছে।
তাদের দাবী, একটি অপ্রাপ্ত বয়স্ক শিশুকে ছয়জন যুবক মিলে গণধর্ষণ করলে তার পক্ষে সুস্থ থাকার কথা নয় এবং হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার কথা। অথচ মেয়েটি ১সপ্তাহ পরে বিষপান করে অসুস্থ হওয়ার পর সুস্থতার জন্য তার পরিবার তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে। তবে এ ঘটনায় মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে গত শনিবার বিষ পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করতে চেয়েছিল মেয়েটি। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর মেয়েটি পরিবারের লোকজনকে বিষয়টি জানায়।
খাগড়াছড়ি আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা রিপল বাপ্পি চাকমা বলেন, কিশোরী শিক্ষার্থীর অবস্থা গুরুতর। সে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার আরোফিন জুয়েল বলেন, শিক্ষার্থীর বাবার মামলা হওয়ার পরপরই চার আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি দুজনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। ধর্ষণের শিকার কিশোরী এখন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বৃহষ্পতিবার (১৭ই জুলাই) তার জবানবন্দি নেওয়া হচ্ছে।
ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়ার পরই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী দ্রæুত ব্যবস্থা নিয়ে অভিযুক্তদের আটক করেছে। বিষয়টি যখন আইনী গতিতে দ্রæুত অগ্রসর হচ্ছে তখন এই ইস্যুকে অজুহাত হিসেবে দাঁড় করিয়ে পাহাড়ি-বাঙালি স¤প্রদায়িক দাঙ্গা, অস্থিরতা ও বাঙালি বিরোধী ঘৃণা ছড়িয়ে দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে পাহাড়ের গনতান্ত্রিক প্রক্রিয়া আন্দোলনকারী কিছু সংগঠন।
এর আগেও খাগড়াছড়িতে ধর্ষণের অভিযোগে সংঘাত, অপ্রীতিকর, দ্বন্ধের রেশ কাটতে না কাটতেই এ ধরনের ঘটনায় আবারও অশনি সংকেত দেখা দিচ্ছে বলে মনে করছেন স্থানীয় বাঙালীরা।
উল্লেখ্য খাগড়াছড়ির সদর উপজেলা ভাইবোনছড়ায় ১৪বছরের পাহাড়ি কিশোরীকে (৮ম শ্রেণির ছাত্রী) দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। গতকাল বুধবার (১৫ই জুলাই) রাত ১২টার দিকে ওই মেয়ের বাবা বাদী হয়ে ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। খাগড়াছড়ি আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন