খাগড়াছড়িতে নিরাপত্তা বাহিনীর তৎপরতায় অপহরনকারী ৪জন শিক্ষার্থীকে মুক্তি দিতে বাধ্য হলো

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা নিরাপত্তা বাহিনীর তৎপরতায় অপহরনকারী ৪জন শিক্ষার্থীকে মুক্তি দিতে বাধ্য হলো, এতে এলাকার পরিবেশ স্বস্তি ফিরে পেয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনীর অবিরাম প্রচেষ্টা ও কৌশলগত অভিযানের ফলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অপহৃত ৫জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৪জন মুক্তি পেয়েছেন।

গত ১৬ই এপ্রিল খাগড়াছড়ি জেলার গিরিফুল এলাকা থেকে ইউপিডিএফ(মূল) সশস্ত্র কর্মীদের হাতে অপহৃত অভিযোগ হন এই শিক্ষার্থীরা। তবে বরাবর ইউপিডিএফ অপহরনে বিষয়ে অস্বীকার করে সাজানো নাটক বলে মন্তব্য করেছে। অপহৃত চবি’র পাঁচ শিক্ষার্থী মুক্ত, কাউখালীর ‘জীবতলি মইন’ এলাকা থেকে শিক্ষার্থী ‘দিব্যি চাকমা’কে ছেড়ে দেয়ার তথ্য কাল্পনিক, মিথ্যা ও বানোয়াট বলে ইউপিডিএফ’র মন্তব্য করে।

অপহরণের পর থেকেই নিরাপত্তা বাহিনী তৎপরতার সঙ্গে উদ্ধার অভিযান শুরু করে, যা শেষ পর্যন্ত সফলতার মুখ দেখেছে।

গত ২১শে এপ্রিল ভোরে খাগড়াছড়ির ভাইবোনছড়া এলাকায় সেনাবাহিনী ইউপিডিএফ-এর শীর্ষ সন্ত্রাসীদের একটি গোপন আস্তানার সন্ধান পায়। অভিযানে গোলাবারুদ ও সরঞ্জাম উদ্ধারের পাশাপাশি আস্তানাটি ধ্বংস করা হয়। নিরাপত্তা বাহিনীর ক্রমবর্ধমান চাপে গ্রেফতারের ভয়ে ইউপিডিএফ বাধ্য হয়ে ৪জন শিক্ষার্থীকে মুক্তি দেয়।

তবে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী রিশন চাকমা এখনো মুক্তি পাননি বলে জানা গেছে।

সূত্র জানায়, গতকাল ২২শে এপ্রিল কাউখালীর নাকশাছড়িতে ইউপিডিএফ দিব্যি চাকমাকে এনে রাখে।
পরবর্তীতে সন্ধ্যা ৭টায় জীবতলি মইনে এলাকায় ইউপিডিএফ নেতা উদয় চাকমার মাধ্যমে শিক্ষার্থী দিব্যি চাকমাকে তার পিতা ধনঞ্জয় চাকমার কাছে হস্তান্তর করা হয়। নিরাপত্তার কারণে তারা দ্রুত নিজ বাড়ির দিকে রওনা হন। অন্য ৩জন শিক্ষার্থীর অবস্থান ও যোগাযোগের তথ্য নিরাপত্তার স্বার্থে গোপন রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে।

বিশ্বস্ত সূত্রে আরো জানা গেছে, মুক্তির আগে ইউপিডিএফ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে জোরপূর্বক জবানবন্দি রেকর্ড করে এবং ভয়ভীতি প্রদর্শন করে যাতে তারা মুক্তির পর সংগঠনের বিরুদ্ধে মুখ না খোলে। মূলত তার জন্যেই তাদের পরিবার অনেকটাই গোপনীয়তা বজায় রাখছে।

এই সফল অভিযানে নিরাপত্তা বাহিনীর পেশাদারিত্ব, সাহসিকতা এবং নিষ্ঠার প্রশংসা করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাদের এই তৎপরতা অঞ্চলের নিরাপত্তা ও শান্তি-সম্প্রীতি রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এ বিষয়ে সরাসরি মন্তব্য না করলেও, তাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানা গেছে। এ ঘটনা নিরাপত্তা বাহিনীর দৃঢ়তা ও দক্ষতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।

এদিকে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলাতে অপহৃত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থী, যারা খাগড়াছড়ি থেকে অপহৃত হয়েছিলেন, অপহরণের নয় দিন পর মুক্তি পেয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার(২৪শে এপ্রিল) বিকেলে এই তথ্য নিশ্চিত করেন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি নিপন ত্রিপুরা।

তবে ইউপিডিএফ’র কাউখালীর ‘জীবতলি মইন’ এলাকা থেকে শিক্ষার্থী ‘দিব্যি চাকমা’কে ছেড়ে দেয়ার তথ্য কাল্পনিক, মিথ্যা ও বানোয়াট বলে মন্তব্য করেছেন। পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মুক্তির বিষয়টি জানায় এবং সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, গত ১৬ই এপ্রিল সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে খাগড়াছড়ি সদরের গিরিফুল এলাকা থেকে অপহরণ করা হয় চবি পিসিপি সদস্য রিশন চাকমা, চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী অলড্রিন ত্রিপুরা ও মৈত্রীময় চাকমা, নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী দিব্যি চাকমা এবং প্রাণীবিদ্যার শিক্ষার্থী লংঙি ম্রোকে।

ঘটনার পর থেকেই পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি-সমর্থিত পিসিপি ইউপিডিএফকে এ ঘটনার জন্য দায়ী করে আসছিল, যদিও ইউপিডিএফ এসব অভিযোগ অস্বীকার করে। শিক্ষার্থীদের উদ্ধারের দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থী, বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক বিভাগ আন্দোলনে যুক্ত হয়। জনচাপের মুখে অপহরণকারীরা ধাপে ধাপে শিক্ষার্থীদের ছেড়ে দেয়।

মুক্তি পাওয়া শিক্ষার্থীদের পক্ষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং আন্দোলনে সক্রিয় সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে পিসিপি চবি শাখা।

এদিকে কাউখালীর ‘জীবতলি মইন’ এলাকা থেকে শিক্ষার্থী ‘দিব্যি চাকমা’কে ছেড়ে দেয়ার তথ্য কাল্পনিক, মিথ্যা ও বানোয়াট বলে ইউপিডিএফ মনে করেন। রাষ্ট্রীয় বিশেষ মহলের পৃষ্ঠপোষিত কিছু মিডিয়ায় “নিরাপত্তা বাহিনীর তৎপরতায় ইউপিডিএফ ৪জন শিক্ষার্থীকে মুক্তি দিতে বাধ্য হলো” শিরোনামে একটি খবর প্রকাশিত হয়েছে।

উক্ত খবরে “রাঙামাটির কাউখালী উপজেলার জীবতলি মইন এলাকায় ইউপিডিএফ নেতা উদয় চাকমার মাধ্যমে শিক্ষার্থী দিব্যি চাকমাকে তার পিতা ধনঞ্জয় চাকমার কাছে হস্তান্তর করা হয়” মর্মে যে রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ কাল্পনিক, মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট(ইউপিডিএফ)।

গত বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) সংবাদ মাধ্যমে প্রদত্ত এক বিবৃতিতে ইউপিডিএফের রাঙামাটি জেলা ইউনিটের সংগঠক সচল চাকমা বলেন, শুধুমাত্র পিসিজেএসএস সন্তুু‘ গ্রæুপের ছাত্র সংগঠনের নেতা-কর্মীদের কাল্পনিক অভিযোগের ভিত্তিতে খাগড়াছড়িতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫জন শিক্ষার্থীকে কথিত অপহরণ ঘটনায় ইউপিডিএফকে জড়ানো উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও ষড়যন্ত্রমূলক।

ইউপিডিএফ সংগঠক অংগ্য মারমা ইতিমধ্যে মিডিয়ায় বিবৃতি দিয়ে উক্ত কথিত অপহরণ ঘটনার সাথে ইউপিডিএফের জড়িত থাকার অভিযোগ দ্ব্যর্থহীনভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন। এরপরও কথিত ঘটনার সাথে ইউপিডিএফকে জড়িয়ে রাষ্ট্রীয় বিশেষ মহল ও পিসিজেএসএস সন্তুু‘ গ্রæুপ যেভাবে হীনস্বার্থ চরিতার্থ করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে তা অত্যন্ত নিন্দনীয়।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘কাউখালীর জীবতলি মইন এলাকা থেকে শিক্ষার্থী দিব্যি চাকমাকে ইউপিডিএফ নেতার মাধ্যমে তার পিতা ধনঞ্জয় চাকমার নিকট হস্তান্তর করার তথ্যটি সম্পূর্ণ কাল্পনিক, মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। ইউপিডিএফ ৫জন শিক্ষার্থীর কথিত অপহরণ কিংবা তাদের মুক্তির সাথে আদৌ সংশ্লিষ্ট নয়।

ইউপিডিএফের রাজনৈতিক ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে এভাবে ষড়যন্ত্রমূলক কাল্পনিক তথ্য সাজিয়ে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।’

বিবৃতিতে তিনি রাষ্ট্রীয় বিশেষ মহলের সরবরাহকৃত মনগড়া মিথ্যা, বানোয়াট খবর প্রকাশ না করে সঠিক ও ববস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের জন্য সকল সংবাদ মাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানান। ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট(ইউপিডিএফ)’র প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগের নিরন চাকমা স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

অপহৃত যৌথ বাহিনীর অভিযানে ইউপিডিএফ’র আন্তানার সন্ধান, প্রশিক্ষণ সরঞ্জাম ও গুলি উদ্ধার করেছে নিরাপত্তাবাহিনী। জেলাতে অপহৃত শিক্ষার্থীদের উদ্বারে যৌথ বাহিনীর ইউপিডিএফ’র প্রসিত গ্রæুপের জেলা সংগঠক অংগ্য মারমার গোপন আস্তানায় অভিযানে বিপুল পরিমাণ প্রশিক্ষণ সরঞ্জাম, গুলি ও দলিল উদ্ধার করেছে।

গত সোমবার (২১শে এপ্রিল) অপহরনকৃত ৫জন শিক্ষার্থীর সন্ধানে ভোর ৫টার দিকে ভাইবোনছড়া ইউনিয়নের পূর্ণ চন্দ্র কার্বারী পাড়ায় যৌথবাহিনী অভিযান চলাকালে ইউপিডিএফ’র এ গোপন আস্তানার সন্ধান পায়। খবর পেয়ে খাগড়াছড়ি ২০৩ব্রিগেডের রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনালে শরীফ মো: আমান হাসান ঘটনা¯’ল পরিদর্শন করেছেন।

অভিযানে নেতৃত্ব নিরাপত্তা বাহিনীর এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না শর্তে জানান, অপহৃত শিক্ষার্থীদের উদ্ধারে প্রয়োজনে প্রতিটি ইঞ্চি জমি তল্লাশী করা হবে এবং অভিযান অব্যাহত থাকবে।

এ সময় তারা একটি বাড়ি থেকে বইপত্র, ইউপিডিএফের পতাকা, পোস্টার-ব্যানারসহ ইত্যাদি উদ্ধার করেছে মর্মে “এটাকে ইউপিডিএফের গোপন আস্তানা” উল্লেখ করে সাংবাদিক ডেকে নিয়ে বিভিন্ন মিডিয়ায় অপপ্রচার চালায়।

সেনারা বাড়িটিতে ভাঙচুর করে, জিনিসপত্র তছনছ ও বইপত্রসহ বিভিন্ন জিনিস পুড়িয়ে দেয়। চলে যাবার সময় সেনারা গ্রামবাসীদের রোপনের জন্য রাখা আদা, হলুদ, কচুসহ ধান কাটার কাঁচি, কম্বল, কাপড়-চোপড়, চাল, হাড়িপাতিল, চেয়ার-টেবিল, খাট, বাদ্যবাজনার সরঞ্জাম ইত্যাদি লুট করে নিয়ে যায়।

একটি বিশ্বস্ত সূত্র মতে, পিসিজেএসএস সন্তুু‘ গ্রæুপ রাষ্ট্রীয় একটি বিশেষ মহলের সাথে বোঝাপড়ার ভিত্তিতে খাগড়াছড়িতে কার্যক্রম শুরুর চেষ্টা করছে। এ লক্ষ্যেই শিক্ষার্থী ‘অপহরণ’ ঘটনা সাজানো হয়েছে কি-না সে প্রশ্ন উঠছে সচেতন মহলে।

সচেতন মহল বলছেন, অতীতে স্বনিভর বাজারের মতো জনসমাগম স্থানে প্রকাশ্যে দিবালোকে ব্রাশফায়ারে ছাত্র-যুব নেতাসহ ৬জন জনকে হত্যার ঘটনায় রাষ্ট্রীয় কোন বাহিনীর তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়। অপরাধীরা প্রশাসনের নাকের ডগায় ঘুরলেও তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়নি। কিš‘ এখন একটি পক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে রাষ্ট্রীয় যৌথ বাহিনী যেভাবে তৎপরতা শুরু করেছে, অভিযান পরিচালনা করছে তা রীতিমত সন্দেহজনক।

খাগড়াছড়ি সদর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মো: আব্দুল বাতেন মৃধা বলেন, “ঘটনার পর এখনো পর্যন্ত থানায় অপহরনকারীরা মুক্ত হলেও কোনো মামলা দায়ের করা হয়নি। পরিবারে কেউ মামলা রুজু বা অভিযোগ আসলে নথিভুক্ত করা হবে।

খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মো: আরেফিন জুয়েল জানান, চবি’র ৫জন শিক্ষার্থীসহ ৬জনকে অপহরনের ঘটনায় পাহাড়ের আঞ্চলিক একটি সংগঠন জড়িত থাকতে পারে। আমরা মোবাইল প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাদের অবস্থন সনাক্ত করে উদ্ধারের চেষ্টা করেছি। অপহৃতদের উদ্ধারে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ অভিযান করেছে। আমার অপহৃতদদের উদ্বারে সব ধরনের চেষ্টা করা পর শুনেছি অপহৃতদের উদ্ধার করেছে, সাধারন মানুষের স্বস্তিদায়ক হয়েছে। সে সাথে বিভিন্ন সড়কে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, বৈসাবি উৎসব শেষে ফেরার পথে গত বুধবার (১৬ই এপ্রিল) সকালে খাগড়াছড়ি-পানছড়ি সড়কের ভোর সাড়ে ৬টার সময় খাগড়াছড়ি থেকে চট্টগ্রামে ফেরার পথে জেলা সদরের গিরিফুল এলাকা থেকে সন্তুু‘ লারমা সমর্থিত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সদস্য চবি শাখার রিশান চাকমাসহ ৫জন শিক্ষার্থীসহ ৬(ছয়) জনকে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করা হয়।

৫ শিক্ষার্থী অপহৃতরা হলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি(পিসিজেএসএস) সমর্থিত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ(পিসিপি) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্য রিশান চাকমা এবং তার চার বন্ধু চারুকলা বিভাগের মৈত্রীময় চাকমা ও অলড্রিন ত্রিপুরা, নাট্যকলা বিভাগের দিব্যি চাকমা এবং প্রাণিবিদ্যা বিভাগের লংঙি। তাঁরা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী। রিশান চাকমা চবি’র আন্তজাতিক সর্ম্পক বিভাগের শিক্ষার্থী। অপহৃতরা সকলে রাঙামাটি ও বান্দরবানের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।