খাগড়াছড়িতে পার্বত্য চট্টগ্রামে বৈষম্য দুর করে অধিকার নিশ্চিতে পিসিএনপি’র স্মারকলিপি প্রদান

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় পার্বত্য চট্টগ্রামে বৈষম্য দুর করে অধিকার নিশ্চিতে পিসিএনপি’র স্মারকলিপি প্রদান করেছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে “আদিবাসী” স্বীকৃতির মাধ্যমে দেশ বিভক্তির ষড়যন্ত্র এবং অন্যান্য বৈষম্যমূলক কার্যক্রমের বিরোধিতা করে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠীর অধিকার রক্ষায় পিসিএনপি’র পক্ষ থেকে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

রোববার (২৬ জানুয়ারি ২০২৫) সকাল জেলা পিসিএনপি’র নেতৃবৃন্দ খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসকের কাছে ৭টি দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি প্রদান করেন।

পিসিএনপি’র নেতারা দাবী করেন, “আদিবাসী” শব্দটি একটি বিভেদ মূলক ধারণা, যা দেশের সার্বভৌমত্ব এবং অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি স্বরূপ। এই স্বীকৃতির অন্তরালে দেশের বিভক্তির ষড়যন্ত্র হতে পারে। আদিবাসী স্বীকৃতির অপব্যবহারের ফলে উপজাতীয় জনগোষ্ঠীর নামে বিশেষ সুবিধা প্রদান করা হলেও, বাঙালি জনগোষ্ঠী বিভিন্ন ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার হচ্ছে।

স্মারকলিপি প্রদানকালে পিসিএনপি নেতারা নিম্নলিখিত দাবি উত্থাপন করেন:
১. “আদিবাসী” স্বীকৃতির আড়ালে দেশ বিভক্তির ষড়যন্ত্র বন্ধ করা।

২. উপজাতীয় জনগোষ্ঠীর মতো বাঙালি জনগোষ্ঠীর ব্যবসা ক্ষেত্রে ট্যাক্স মওকুফ করা।

৩. ভূমি বন্দোবস্ত পুনরায় চালু করা।

৪. বাজার ফান্ড লোন চালু করা।

৫. বাঙ্গালী জনগোষ্ঠীর ভোটার তালিকা প্রণয়নের ক্ষেত্রে হয়রানি বন্ধ করা।

৬. এলআর ফান্ডে গুচ্ছ গ্রামের জমাকৃত টাকা দিয়ে কর্ম সংস্থানের ব্যবস্থা করা।

৭. পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে সকল অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা।

স্মারকলিপি প্রদানের সময় উপস্থিত ছিলেন পিসিএনপি’র সভাপতি লোকমান হোসেন, সাধারণ সম্পাদক এসএম মাসুম, কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক মো: নিজাম উদ্দিন, মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি সালমা আক্তার মৌ, জেলা সভাপতি হাসিনা আক্তার, জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক মোকতাদের হোসেনসহ জলা ও উপজেলা নেতৃবৃন্দ।
এ বিষয়ে সংগঠনের কেন্দ্রীয় মহাসচিব মো: আলমগীর কবির বলেন, “আদিবাসী স্বীকৃতির দাবী একটি বিভ্রান্তিকর ধারণা।

এর ফলে উপজাতীয়দের নামে পার্বত্য চট্টগ্রামে বৈষম্যমূলক সুবিধা দেওয়া হচ্ছে, যা বাঙালি জনগোষ্ঠীর অধিকার ক্ষুণ্ণ করছে। আদিবাসী স্বীকৃতির আড়ালে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র হতে পারে, যা আমাদের সার্বভৌমত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।”