খাগড়াছড়িতে বৃষ্টিতে পাহাড় ধস, কয়েকটি এলাকার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার ৯টি উপজেলাতে টানা ৫ দিন ধরে চলছে ভারী বৃষ্টিতে পাহাড় ধস নিয়মিত হচ্ছে। ফলে জেলার শালবন, গুগড়াছড়ি, নেন্সী বাজার, পুঙ্খিমুড়া, ভুয়াছড়িসহ বিভিন্ন এলাকায় ইতিমধ্যে একাধিক স্থানে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। বিভিন্ন এলাকায় বাড়িঘর, দোকানপাট ভেঙ্গে গেছে। পাহাড় ধসে কয়েকটি জায়গায় রাস্তাঘাট সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায়। পাহাড় ধস, কয়েকটি এলাকার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এতে সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা সড়ক যোগাযোগ সচল করতে কাজ করছে।
টানা ভারী বর্ষণে খাগড়াছড়ির বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধস দেখা দিয়েছে। গত রোববার(১লা মে) ভোরে সিন্দুকছড়ি আন্ত: প্রধান সড়ক ধুমনীঘাট এলাকায় পাহাড় ধসে মহালছড়ির সাথে জালিয়াপাড়া ও রাজশাহীটিলা এলাকায় পাহাড় ধসে পড়ায় খাগড়াছড়ির সাথে ভুয়াছড়ির সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
পরে খবর পেয়ে স্থানীয় প্রশাসন, সেনাবাহিনী, পুলিশ, আনসার ভিডিপি ও রেডক্রিসেন্টের সদস্যদের সহযোগিতায় রাস্তার চলাচল সচল হয়ে যায়। বিভিন্ন ধরনের হতাহতের ঘটনা ঘটছে। এছাড়াও লাগাতার বৃষ্টির ফলে নদী-খাল উপচে পানি বাড়ছে, যার কারণে জেলার নিম্নাঞ্চলগুলোতে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে সতর্কতা জারি করা অব্যাহত রয়েছে। খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নেতৃত্বে একটি বিশেষ টিম বিভিন্ন ইউনিয়নে গিয়ে মাইকিং করে স্থানীয়দের সতর্ক করছেন।
খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সুজন চন্দ্র রায় সোমবার পর্যন্ত শালবন, কুমিল্লাটিলা ও আশপাশের পাহাড়ি বসতিগুলো বার বার পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেন, “আমরা লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বলছি। যেসব পরিবার ঝুঁকিতে আছে, তাদের দ্রæুত সরিয়ে আনার প্রক্রিয়া চলছে।”
খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক এ বি এম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার সার্বিকভাবে পরিস্থিতি মনিটর করছেন। তিনি জানিয়েছেন, ৯টি প্রতিটি উপজেলায় জরুরি সাড়া দিতে প্রস্তুুত রয়েছে ফায়ার সার্ভিস, স্বাস্থ্য ও স্থানীয় প্রশাসনের টিম। সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা সড়ক সচল করতে কাজ করছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, খাগড়াছড়ি অঞ্চলে আগামী দুই দিন বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে। এতে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে স্থানীয় প্রশাসন। পাহাড়ধসের ঝুঁকিতে থাকা পরিবারগুলোর জন্য অস্থায়ী আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুুত রাখা হয়েছে। পাশাপাশি শুকনো খাবার ও ওষুধ সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ।
এদিকে টানা ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকায় খাগড়াছড়ির বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধস দেখা দিয়েছে। সকাল থেকে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শালবনসহ শহরের বিভিন্ন স্থানে পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিতে শুরু করে প্রশাসন। সাধারণ মানুষের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। খাগড়াছড়ি জেলাতে পাহাড় ধসের আশঙ্কায় প্রশাসনের সতর্কতা জারি কওে আব্যাহত রেখেছে।
এর আগে প্রবল ¯্রােতে ২টি উপজেলা নিখোঁজে ল²ীছড়ি উক্রাচিং মারমার লাশ উদ্ধারের পর দীঘিনালা উপজেলার মাইনী নদীতে লাকড়ি ধরতে গিয়ে নিখোঁজ হওয়া তরিৎ চাকমা(৫৫)–এর মরদেহ নিখোঁজের ২৪ঘণ্টা পর উদ্ধার করা হয়েছে। গত শনিবার(৩১শে মে) সকালে উপজেলার নোয়াপাড়া গ্রামসংলগ্ন নদী এলাকা থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। নিহত তরিৎ চাকমা দীঘিনালার বাবুছড়া ইউনিয়নের কেতুচন্দ্র কার্বারী পাড়ার বাসিন্দা ও মৃত নন্দলাল চাকমার ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার(৩০শে মে) সকাল সাড়ে আটটার দিকে নদীতে ভেসে আসা লাকড়ি ধরতে গিয়ে পাহাড়ি পানির প্রবল ¯্রােতে পড়ে যান তরিৎ চাকমা। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। দীঘিনালায় প্রশিক্ষিত ডুবুরি না থাকায় প্রাথমিকভাবে স্থানীয়দের সহায়তায় উদ্ধারকাজ চালানো হয়। পরে শনিবার সকালে রাঙামাটি থেকে আসা ফায়ার সার্ভিসের সাত সদস্যের একটি ডুবুরি দল সকাল সাড়ে সাতটায় অভিযান শুরু করে। দেড় ঘণ্টার তল্লাশির পর ঘটনাস্থল থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দক্ষিণে নোয়াপাড়া এলাকার মাইনী নদীর তলদেশ থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
দীঘিনালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মো: জাকারিয়া জানান, মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগে মাইনী নদীর ¯্রােতে নিখোঁজ তরিৎ চাকমা-উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রাখা হয়। ল²ীছড়ি উপজেলাতে নদীর পানির ¯্রােতে ভেসে গিয়ে ১জন নিখোঁজ রয়েছে। একজনের লাশ উদ্ধার করেছে। জেলার ল²ীছড়িতে নদীর পানির ¯্রােতে ভেসে গিয়ে এখনও ১জন নিখোঁজ রয়েছে।
বাবুছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গগন বিকাশ চাকমা জানান, গত শুক্রবার(৩০শে মে) সকালে উপজেলার বাবুছড়া ইউনিয়নের কেতুচন্দ্র কার্বারী পাড়ার বাসিন্দা তরিৎ চাকমা(৫৫) মাইনী নদীতে নেমে নিখোঁজ হন। “ঘটনার পরপরই বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। স্থানীয়দের সহযোগিতায় উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।” স্থানীয়রা ইঞ্জিনচালিত নৌকা ব্যবহার করে তরিৎ চাকমাকে খোঁজার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। একই সঙ্গে উপজেলা প্রশাসন নিখোঁজ ব্যক্তির পরিবারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে এবং প্রয়োজনীয় সহায়তার আশ্বাস দিয়েছিল।
দীঘিনালা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা পংকজ বড়ুয়া বলেন, স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস কর্মী সহযোগীতায় শনিবার সকালে রাঙামাটি থেকে আসা ফায়ার সার্ভিসের সাত সদস্যের একটি ডুবুরি দল সকাল সাড়ে সাতটায় অভিযান শুরু করে। দেড় ঘণ্টার তল্লাশির পর ঘটনাস্থল থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দক্ষিণে নোয়াপাড়া এলাকার মাইনী নদীর তলদেশ থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) অমিত কুমার সাহা বলেন, ‘টানা পাহাড়ি বৃষ্টির কারণে নদীতে পাহাড়ি প্রবল ¯্রােতের সৃষ্টি হয়েছিল, যা উদ্ধারকাজে বিঘ্ন ঘটায়। তবে থেমে না থেকে উদ্ধার অভিযান চালানো হয়েছে। নিহতের পরিবারকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২৫ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান অব্যাহত রয়েছে।’
তিনি আরো জানান, “টানা পাহাড়ি বৃষ্টির কারণে নদীর পাহাড়ি ¯্রােত অত্যন্ত তীব্র। এজন্য উদ্ধার কার্যক্রমে বেগ পেতে হচ্ছে। তবে নিখোঁজ ব্যক্তি উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত ছিল। শনিবার রাঙামাটি থেকে আসা ফায়ার সার্ভিসের সাত সদস্যের একটি ডুবুরি দল উদ্ধারকাজে যুক্ত হয়ে মরদেহ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে।”
এর আগে ল²ীছড়িতে নিখোঁজ উক্রাচিং মারমার লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সর্ভিস। প্রায় আড়াই ঘন্টা উদ্ধার অভিযান চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে আনুমানিক ৫০ফুট দূরুত্বে তার লাশ পাওয়া যায় বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এখনও নাম না জানা এক ব্যক্তি নিখোঁজ রয়েছে। জানা যায়, খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসকের পক্ষ হতে ল²ীছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার সেটু কুার বড়ুয়া লাশ সৎকার করতে পরিবারকে ২০হাজার টাকা অনুদান প্রদান করেন। এই নিহতের দুর্ঘটনায় ২টি উপজেলা এলাকাবাসীর মধ্যে উদ্বেগ ও শোকের ছায়া নেমে এসেছে। উদ্ধার তৎপরতায় দ্রæুত অগ্রগতি আশা করছেন তারা।
ভারী বর্ষণ অব্যাহত, পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে বসবাস করছে প্রায় ৩সহ¯্রাধিক পরিবার, পাহাড়ে ধসের শঙ্কা ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের ধস এড়াতে প্রশাসনের মাইকিং অব্যাহত রয়েছে। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে খাগড়াছড়িতে থেমে থেমে চলছে মাঝাড়ি মাত্রার বর্ষণ। এতে দেখা দিয়েছে পাহাড় ধসের শঙ্কার। দুর্যোগ মোকাবেলায় নেয়া হয়েছে প্রস্তুুতি রাখা হয়েছে। সাধারণ মানুষের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে নিরাপদ আশ্রয়ে অবস্থান নিতে সচেতনতামূলক মাইকিং মাধ্যমে প্রচারণা চালাচ্ছে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসন। পার্বত্য খাগড়াছড়িতে টানা বৃষ্টিপাত ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে পাহাড় ধসের ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। গত চার দিন ধরে জেলার আকাশ মেঘাচ্ছন্ন এবং আবহাওয়া গুমোট থাকায় বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকায় ধসের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
গত শুক্রবার(৩০শে মে) সকালেও থেমে থেমে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া বয়ে যায়। জেলার প্রধান দুই নদী চেঙ্গী ও মাইনি-কাচলং নদীর পাশাপাশি শহরের আশপাশের ছড়া ও খালে পানির চাপ বাড়ছে। এতে করে সদর উপজেলার কলাবাগান, সবুজবাগ, কুমিল্লাটিলা ও শালবন এলাকাকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
গত শনিবার(৩১শে মে) সকালে খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুজন চন্দ্র রায় ও সদর থানার ওসি মো: আব্দুল বাতেন মৃধা মাইকিংয়ের মাধ্যমে স্থানীয়দের সতর্ক করেন এবং জরুরি প্রয়োজনে আশ্রয় কেন্দ্রে সরে যেতে বলেন। জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, ফায়ার সার্ভিস এবং স্বেচ্ছাসেবক দলগুলোকে প্রস্তুুত রাখা হয়েছে। প্রশাসন ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসকারী নাগরিকদের সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বনের অনুরোধ জানিয়েছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার(২৯শে মে) ও শুক্রবার(৩০শে মে) সকাল থেকে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শালবনসহ শহরের বিভিন্ন স্থানে পাহাড়ের পাদদেশে ঝুকিপুনভাবে বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিতে শুরু করে জেলা প্রশাসন। মাঠে রয়েছে সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, যুব রেডক্রিসেন্ট কর্মীরা।
খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মো: আরেফিন জুয়েল জানান, গত শনিবার(৩১শে মে) সকালে দেড় ঘণ্টার তল্লাশির পর ঘটনাস্থল থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দক্ষিণে নোয়াপাড়া এলাকার মাইনী নদীর তলদেশ থেকে তরিৎ চাকমা মরদেহ উদ্ধার করা হয়। রাঙামাটি থেকে আসা ফায়ার সার্ভিসের সাত সদস্যের একটি ডুবুরি দল সকাল সাড়ে সাতটায় অভিযান শুরু করে। এর আগে শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে লক্ষীছড়ি ইউনিয়নের বিজয় কার্বারী পাড়াস্থ লক্ষীছড়ি খালে মাছ ধরতে গিয়ে উক্রাচিং মারমা(১৭) নামে একজন পানির ¯্রােতে ভেসে গেলে পরে লাশ পাওয়া যায়।
খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার জানান, ভারী বর্ষণের ফলে খাগড়াছড়ির ৯টি উপজেলাতে পাহাড় ধসের সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি পাহাড়ের ওপরে, পাহাড়ের পাদদেশে ও পাহাড়ের নিচে বসবাসকারী লোকজনকে সতর্ক থাকার অনুরোধ করেছেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। ঝুঁকিতে থাকা এলাকাগুলোর বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে এবং সচেতন করতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর অংশ হিসেবে বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিনে পরিদর্শন ও মাইকিংয়ের মাধ্যমে সতর্কতা জারি করা অব্যাহত রয়েছে।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সম্ভাব্য দুর্ঘটনা এড়াতে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন, সেজন্য ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে না থেকে নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে চলে যেতে হবে। অতি বৃষ্টির সময় পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থান না করা, স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশনা মেনে চলা, জরুরি প্রয়োজনে ৯৯৯ বা স্থানীয় প্রশাসনের হেল্পলাইনে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেয়া হয়।
খাগড়াছড়ি আবহাওয়া অফিস জানায়, গত ২৪ঘণ্টায় জেলায় ৬৭মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে পাহাড় ধস ও জলাবদ্ধতার পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়।
গত বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত গত ২৪ঘণ্টায় ২৮৫মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। গভীর নিম্নচাপের কারণে আরও বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। উপকূলীয় এলাকায় ৩নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত বলবৎ রয়েছে।
উল্লেখ্য, খাগড়াছড়ি জেলায় পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিতে রয়েছে প্রায় সহস্রাধিক পরিবার। বর্ষা মৌসুম আসায় পাহাড়ে বসবাসকারী এ সব পরিবারের মাঝে দেখা দিয়েছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা।

এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন