খাগড়াছড়িতে ম্যালেরিয়ার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ডেঙ্গুও! আক্রান্ত শতাধিক

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলাতে ম্যালেরিয়ার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ডেঙ্গুও, এতে আক্রান্ত শতাধিক বিভিন্নন স্তরের মানুষ। এক সময়ের ম্যালেরিয়ার হটস্পট ছিল খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা। সা¤প্রতিক বছরগুলোতে সেই অবস্থার অনেক উন্নতিও ঘটে।

কিন্তু হটাৎ করেই পাহাড়ি জেলা খাগড়াছড়িতে মশার কামড়ে রোগ বালাই বৃদ্ধি পেয়েছে। ম্যালেরিয়ার সাথে অনেকটা পাল্লা দিয়েই বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যাও। গেলো এক মাসে পাহাড়ি এই জেলায় দুই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন শতাধিক মানুষ। জেলার দুই উপজেলায় দ্রæুত বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী।

পরিস্থিতিকে ঝুঁকিপূর্ণ আখ্যা দিয়ে জনগণকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।

বিগত জুন ও চলতি মাসের এই পর্যন্ত প্রাণঘাতি ম্যালেরিয়া এবং ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন শতাধিক মানুষ।
স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, ম্যালেরিয়ার প্রাদুর্ভাব পুরো জেলর ৯টি উপজেলাজুড়ে থাকলেও ডেঙ্গু আক্রান্তদের বেশির ভাগই মাটিরাঙ্গা পৌরসভা এবং গুইমারা উপজেলার জালিয়াপাড়া এলাকায়। তাই মাটিরাঙ্গা পৌরসভা এলাকাকে ডেঙ্গুর হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে চিকিৎসার পাশাপাশি অনেকে যাচ্ছেন আধুনিক জেলা সদর হাসপাতাল এবং চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।
স্বাস্থ্য বিভাগের মতে, বর্ষার এই সময়ে ম্যালেরিয়া কিছুটা বৃদ্ধি পায়।

অন্যদিকে ঈদে ঢাকা ফেরত লোকজন থেকে ডেঙ্গু ছড়িয়েছে বেশি।

স্থানীয়দের অভিযোগ, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাব ও মশক নিধন কার্যক্রম না থাকায় এমন অবস্থা। মশা নিধনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস স্থানীয় পৌর মেয়রের।

খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র নির্মলেন্ধু চৌধুরী মশার বাড়ার কথা স্বীকার করে বলেন, অচিরে মশা নিধন কার্যক্রম হাতে নেওয়া হচ্ছে। আশাকরি পৌরবাসী নিজ আংগিনায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা রেখে পৌর কর্তৃপক্ষকে সহযোগীতার বাড়িয়ে আসবে।

পরিস্থিতি মোকাবেলায় পর্যাপ্ত প্রস্তুুতির কথা বলছে স্বাস্থ্য বিভাগ।

খাগড়াছড়ি সিভিল সার্জন জানান, মশার বিস্তার ঠেকাতে মশক নিধন কার্যক্রম জোড়ালো করতে হবে। বর্তমানে খাগড়াছড়ি আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে ডেঙ্গুতে ৭জন রোগী চিকিৎসাধীন থাকলেও ম্যালেরিয়া রোগি ভর্তি নেই।