খাগড়াছড়ির গুইমারাতে তিন শহীদের স্মরণে জেলাতে প্রদীপ প্রজ্বলন, নতুন কর্মসূচি ঘোষণা

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার গুইমারা উপজেলাতে তিন শহীদের স্মরণে জেলাতে প্রদীপ প্রজ্বলন, নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। গুইমারায় গত ২৮শে সেপ্টেম্বর সেনা-সেটলার হামলায় নিহত তিন শহীদ আখ্রক মারমা, আথুইপ্রæু মারমা ও থোয়াইচিং মারমার স্মরণে খাগড়াড়ি সদরে প্রদীপ প্রজ্বলন কর্মসূচি পালন করেছে শহীদ স্মৃতি সংরক্ষণ সংসদ।

বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৫টায় খাগড়াছড়ি সদরের নারাঙহিয়া রেড স্কোয়ারে সাইরেন বাজিয়ে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন কর্মসূচি শুরু করা হয়। এছাড়া একই সময় একযোগে পেরাছড়া, গাছবান এলাকায় ও প্রদীপ প্রজ্বলন করা হয।

রেড স্কোয়ারে আয়োজিত প্রদীপ প্রজ্বলন অনুষ্ঠানে শহীদ জুনান চাকমার মাতা ও ‘শহীদ স্মৃতি সংরক্ষণ সংসদ’ আহ্বায়ক রুপসা চাকমার নতুন কর্মসূচি ঘোষণার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হয়।

ঘোষিত নতুন কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে-৪ঠা নভেম্বর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কাল ব্যাজ ধারণ। ৫ই নভেম্বর তিন বীর শহীদ পরিবারের সদস্য ও হামলায় আহতদের সাথে একাত্মতা প্রকাশের লক্ষ্যে গুইমারার প্রধান কিয়্যঙে ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান সম্পাদন।

পাহাড়ে অব্যাহত ধর্ষণ, খুন, সেনা অভিযানের নামে নিরীহ লোকজনকে হয়রানি-তল্লাশি, দমন-পীড়ন, সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ সৃষ্টি ও সংঘাত বাঁধানোর উস্কানির বিরুদ্ধে গণসচেতনা সৃষ্টির লক্ষ্যে নভেম্বর মাসব্যাপী কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- দেয়াল লিখন, গ্রাফিতি অঙ্কন; পথসভা, পাড়া-মহল্লায় উঠোন বৈঠক ও ইউনিয়ন-উপজেলা ভিত্তিক সম্মেলন; পাহাড়ে পরিচালিত দমন-পীড়ন ও প্রতিবাদী আন্দোলনের ওপর চিত্র প্রদর্শনী-ভিডিও প্রামাণ্য প্রদর্শন; পার্বত্য চট্টগ্রামের অবস্থা তুলে ধরার জন্য মিডিয়া ও মানবতাবাদী সংস্থাসমূহের নিকট আহ্বান জানানো।

৯ই ডিসেম্বর গুইমারা রামসু বাজারে তিন শহীদের নামে উৎসর্গিত সড়কের নাম ফলক উন্মোচন ও বৃক্ষ রোপন।
উল্লেখ্য, গত ১৫ই অক্টোবর গুইমারা শহীদদের সম্মানে আয়োজিত স্মরণসভা থেকে ৩’শহীদ স্মৃতি সংরক্ষণ সংসদ’ আজকের এই প্রদীপ প্রজ্বলন কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছিল।