খাগড়াছড়ির গুইমারায় সেনাবাহিনীর উপর হামলা, নিহত-৪, সাংবাদিকসহ আহত-৫০

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় এক স্কুল শিক্ষার্থীকে ধর্ষনের প্রতিবাদ ও ধর্ষনকারীদের গ্রেপ্তার করে শাস্তির দাবীতে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় ২৮শে সেপ্টেম্বর থেকে জুম্ম ছাত্র-জনতার ডাকা অনির্দিষ্ট কালের জন্য ডাকা সড়ক অবরোধে সেনাবাহিনী সেটেলার-পাহাড়ির সাথে দাওয়া-পাল্টা দাওয়ায় হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।

এই ঘটনায় সেনাবাহিনীর গুলিতে ১০জনের অধিক নিহত ও গুলিবিদ্ব ২৫জনের আহতের খবর পেলে প্রশাসন ৩জনের কথা নিশ্চিত করেছে। নিহতরা হলেন, রামসেুবাজার বাসিন্দা মংচিং মারমা(৪০), বটতলা বাসিন্দা থোয়াইচিং মারমা(২২), সাচিংনু মারমা(১৪) থুইপ্রæু মারমা(৩৮)সহ ১০জনের অধিক।

পাল্টা-পাল্টি ঘটনার সেনাবাহিনী তাড়া খেয়ে, পরে আদিবাসী পাহাড়িরা এলাকা সরে গেলে গুইমারা রামেসু বাজার এলাকায় ১০০টি অধিক দোকান ঘঁর পুড়িয়ে দেয় পাল্টা হামলাকারি সেটেলারা। অপৃতিকর ঝামেলা এরাতে গুইমারা উপজেলা প্রশাসন ২৭শে সেপ্টম্বর বিকেল তিনটা থেকে অনির্দিস্ট সময়ের জন্য থেকে ১৪৪ জরুরি ধারা জারি করলেও জরুরী আইন উপেক্ষাকরে ২৮শে সেপ্টেম্বর সকাল ১১ঘটিকায় গুইমারা উপজেলার খাদ্য গুদামের সামনে অবরোধ কারীরা রাস্তায় জড়ো হয়ে টায়ার জালিয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে।

খবর পেয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে হাজির হলে উত্তেজিত অবরোধ কারীদের পক্ষ থেকে ইট-পাটকেল ছুঁরে গুইমারা রিজিয়নের আওতাধীন সিন্দোকছড়ি জোন উপ-অধিনায়ক মেজর মো: মাজহার হোসেন রাব্বানীসহ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১১সদস্যকে আহত করা হয়। এসময় দায়িত্বরত সাংবাদিকের উপর হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। এতে বিজয় টিভির জেলা প্রতিনিধি এম সাইফুর রহমান গুরুতর আহত হন। সে বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

রামেসুবাজার মেম্বার কংহ্লাপ্রæু মারমা জানান, আমাদের এলাকা সব শেষ হয়ে গেছে। হতাহত সংখ্যা আদিবাসী বেশী হয়েছে। ২০-৩০জনের অধিক নিহত খবর ফেলেও ১০জনের অধিক নিশ্চিত হতে পেরেছি। আহত ৫০এর অধিক ঘটনার শিকার হয়েছেন।

গুইমারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মংশ্যি চৌধুরী জানান, সাম্প্রদায়িক হামলা দাওয়া-পাল্টা-দাওয়া ঘটনায় ২০থেকে ৩০জনের অধিক গুলিতে নিহত খবর পেলেও ১০জনের মত চিন্নিত করতে পেরেছে। অনেক গুলিবিদ্ধ অহাতদেরকে আগুনের লেলি হানে ফেলে দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আমার ঘরসহ ১০০টি ঘর ও দোকান হামলাকারিরা সম্পুর্ন পুড়ে দেওয়া হয়েছে। আমি নিরুপায় হয়ে গেলাম।

বর্তমাণে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার গুইমারা উপজেলায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

খাগড়াছড়িতে ১৪৪ ধারা, পরিস্থিতি থমথমে, বন্ধ দোকানপাট আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে খাগড়াছড়ি জেলা সদর ও পৌরসভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করেছে জেলা প্রশাসন। আজ রোববার সকালে জানমালের নিরাপত্তায় খাগড়াছড়ি পৌর শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে মোতায়েন রয়েছে সেনাবাহিনী ও পুলিশ।

এছাড়া খাগড়াছড়িতে জেলা সদরে মোতায়েন করা হয়েছে সাত প্লাটুন বিজিবি। সকাল থেকে বিভিন্ন পয়েন্টে চলাচলকারীদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। বন্ধ রয়েছে শহরের দোকানপাট। সকাল থেকে জেলার কোথাও অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। গতরাতে সাজেকে আটকা পরা ২ হাজারের বেশি পর্যটককে সেনা নিরাপত্তায় গন্তব্যে পৌছে দেওয়া হয়।

গতকাল জুম্ম ছাত্র-জনতার ডাকে সড়ক অবরোধ চলাকালে খাগড়াছড়ির মহাজন পাড়া ও উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন এলাকায় দুই পক্ষে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও মুখোমুখী অবস্থান তৈরি হয়। দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত হয় ২৩জন। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ১৪৪ ধারা জারি করেছে জেলা প্রশাসন।

খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল সন্ধ্যায় বলেন, ‘শনিবার দুপুরের পর উপজেলা ইউএনও সংলগ্ন এলাকায় বিশৃঙখল পরিস্থিতি হয়। পরে ইট-পাটকেল ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশ নিরাপত্তায় যৌথভাবে কাজ করছে। পরে সাউন্ড গ্রেনেড দিয়ে উত্তেজিত দুই পক্ষকে আমরা সরিয়ে দিই।

নতুন করে যাতে সহিংসতার ঘটনা না ঘটে সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে খাগড়াছড়ি সদর উপজেলায় সাত প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। বিজিবি খাগড়াছড়ি ব্যাটালিয়নের সহকারী পরিচালক মো.হাসনুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

খাগড়াছড়িতে ৭ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন: আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে খাগড়াছড়িতে ৭ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। ২৭ সেপ্টেম্বর শনিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এদিকে শনিবার দুপুরে খাগড়াছড়ি সদর ও পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে জেলা প্রশাসন। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এ আদেশ জারি থাকবে বলে জানানো হয়।

জেলা প্রশাসনের পরিপত্রে বলা হয়, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ও জনগণের জানমালের ক্ষতি সাধনের আশংকা থাকায় এ ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। শনিবার দুপুর ২টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এ আদেশ বলবৎ থাকবে।

সকাল থেকে পাহাড়ে নারী নিপীড়ন বন্ধ ও জড়িতদের শাস্তির দাবিতে খাগড়াছড়িতে জুম্ম ছাত্র-জনতার ব্যানারে সকাল-সন্ধ্যা সড়ক অবরোধ শুরু করে সমর্থকরা। এতে সাজেকে অবস্থান করা প্রায় দুই হাজার পর্যটক আটকা পড়ে। এছাড়া খাগড়াছড়িতে আটকা পড়ে সাজেকগামী প্রায় হাজার খানেক পর্যটক। তবে সাজেকে আটকে পড়াদের যথাযথ নিরাপত্তা দিয়ে ফেরত আনার চেষ্টা করছে সেনাবাহিনী।

অবরোধের শুরু থেকেই খাগড়াছড়ি জেলা সদরের চেঙ্গী ব্রীজ ও চেঙ্গী স্কোয়ার ও মহাজন পাড়াসহ কয়েকটি স্থানে পিকেটিং ও সড়কে টায়ার জ্বালায় সমর্থকরা। জেলার আঞ্চলিক মহাসড়ক এবং অভ্যন্তরীণ সড়কেও চোরাগোপ্তা পিকেটিং এবং গাছের গুড়িও ফেলে অবরোধকারীরা।

অবরোধের কারণে ঢাকাসহ বিভিন্নস্থান থেকে ছেড়ে আসা খাগড়াছড়িগামী নৈশ কোচগুলোও আটকে পড়ে। এতে পর্যটকসহ যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েন। এছাড়াও অবরোধের কারণে শহর থেকে দূরপাল্লার যানবাহন ছেড়ে যায়নি। অভ্যন্তরীণ রুটের পরিবহনও বন্ধ রয়েছে।

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার খাগড়াছড়ি সদরের সিঙ্গিনালা এলাকায় মারমা স্কুলছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে তিনজনকে অজ্ঞাত আসামি করে থানায় মামলা হয়। এ ঘটনায় সন্দেহভাজক একজনকে গ্রেফতার দেখানো হয়। পরে তাকে ৬ দিনের রিমান্ডে পাঠায় আদালত।

এই ধর্ষণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ও জড়িতদের শাস্তির দাবিতে বুধবার থেকে জুম্ম ছাত্র-জনতার ব্যানারে বিক্ষোভ শুরু হয়। একই দাবিতে বৃহস্পতিবার আধাবেলা সড়ক অবরোধ কর্মসূচি ও শুক্রবারে মহাসমাবেশ করে আন্দোলনরতরা থেকে। সেই সমাবেশ থেকে শনিবার সকাল-সন্ধ্যা সড়ক অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করে বিক্ষোভকারীরা।

জুম্ম ছাত্র-জনতার এই আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করে ইউপিডিএফ সমর্থিত পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ, হিল উইমেন্স ফেডারেশন ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম।

খাগড়াছড়িতে ধর্ষণকান্ডে উত্তাল পরিস্থিতি, টানা অবরোধে স্থবির জনজীবন পাহাড়ি এক কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের প্রতিবাদে টানা কয়েক দিনের অবরোধ, মিছিল ও সমাবেশে খাগড়াছড়ি জেলা এখন থমথমে পরিবেশে বিরাজ করঝছ। ‘জুম্ম ছাত্র-জনতা’র ডাকে রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে নতুন করে সড়ক অবরোধ শুরু হয়।

এতে শহরে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে, অধিকাংশ দোকানপাটও বন্ধ রয়েছে। শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী টহল দিচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ৭ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

এর আগে শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) অবরোধ চলাকালে পাহাড়ি ও বাঙালিদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। দুপুরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সদর উপজেলা, পৌরসভা এলাকা ও গুইমারা উপজেলায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ধারা জারি করে প্রশাসন। তবে পাহাড়িদের অভিযোগ, ১৪৪ ধারা জারির পরও তাদের ওপর হামলা হয়েছে।

এ ঘটনার প্রতিবাদে চার দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের অবরোধ ঘোষণা করা হয়।

শনিবার দুপুরে সদর উপজেলা পরিষদ এলাকা, মহাজনপাড়া, নারিকেলবাগান, চেঙ্গী স্কোয়ার ও শহীদ কাদের সড়কে সংঘর্ষ বাঁধে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ফাঁকা গুলি ও টিয়ারশেল ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় স্বনির্ভর ও নারিকেলবাগান এলাকায় কয়েকটি দোকানে হামলা হয়। সহিংসতায় অন্তত ২৫জন আহত হয়েছেন, গুরুতর আহত একজনকে চট্টগ্রামে পাঠানো হয়েছে। অবরোধ চলাকালে বিভিন্ন স্থানে গাছের গুড়ি ফেলে ও টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে সড়কে ব্যারিকেড দেওয়া হয়।

আলুটিলায় একটি অ্যাম্বুলেন্স ও নারানখাইয়া এলাকায় একটি অটোরিকশা ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে। এতে সাজেক ভ্রমণে যাওয়া প্রায় দুই হাজার পর্যটক আটকা পড়েন। পরে বিশেষ নিরাপত্তায় তারা খাগড়াছড়ি হয়ে নিজ নিজ গন্তব্যে ফিরে যান।

এদিকে খাগড়াছড়ি জেলা শহরে আপার পেড়াছড়া এলাকার রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চলমান সংঘাতময় পরিস্থিতি নিয়ে মারমা সম্প্রদায়ের ২সংগঠনের যৌথ বিবৃতি দিয়েছে। বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদ সদর উপজেলা কমিটির সভাপতি মংখই মারমা ও মারমা উন্নয়ন সংসদ সদর উপজেলা কমিটির সাধরন সম্পাদক নিয়ং মারমা স্বাক্ষরিত যৌথভাবে বলেন গত ২৩শে সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ি জেলা সদরে সিংগীনালা এলাকায় মারমা বিশোরীকে ধর্ষনের ঘটনায় গভীরভাবে মর্মাহত ব্যক্ত করেছেন।

একইসাথে এ ঘটনার প্রতিবাদে ’জুম্ম ছাত্র জনতা’ এর ব্যানাওে ঘোষিত অবরোধ কর্মসুচির প্রেক্ষিতে গত ২৬ ২৭শে সেপ্টেম্বও যে সংঘাত ও সহিসতা সংঘটিত হয়েছে তাতে আমরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি এবং তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। ষ্পস্টভাবে জানাতে চাই-মারমা জনগোষ্ঠী কিংবা আমাদের দুই সংগঠন মারমা উন্নয়ন সংসদ ও বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদ কোনো ভাবে এই সহিংস ঘটনার সংগে জড়িত নয় এবং সাম্প্রদায়িক সংঘাতকে আমরা কোনো ভাবে সমর্থন করি না।

মূলত: ’জুম্ম ছাত্র জনতা-এর ব্যানরের আড়ালে একটি বিশেষ স্বার্থনেষী মহল পাহাড়ি জনগনকে ব্যবহার করে পার্বত্য চট্টগ্রামে অস্থিতিশীলতা তৈরি করছে। এই ষড়যন্ত্রে ফাদে পা না দিয়ে আমরা মারমা জনগোষ্ঠীসহ পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত পাহাড়ি-বাংগালি সকল নাগরিককে সজাগ থাকার আহবান জানিায়েছেন।

খাগড়াছড়ি সিভিল সার্জন মো. ছাবের বলেন, ‘দুই পক্ষের উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যে মোট ২৩জন আহত হয়। এদের মধ্যে ২১জন প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরে গেছে। দুই জন খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো: আরেফিন জুয়েল বলেন, “বর্তমানে সার্বিক পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। সবাইকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানাচ্ছি।”

খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার জানিয়েছেন, পরিস্থিতি উন্নত না হওয়া পর্যন্ত ১৪৪ ধারা বহাল থাকবে।

শনিবার রাতে খাগড়াছড়ির একটি বৌদ্ধবিহারে নাশকতার প্রস্তুতিকালে ৩যুবককে আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। অন্যদিকে রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একাধিকবার অনির্দিষ্টকালের অবরোধ কর্মসূচির ঘোষণা ও প্রত্যাহারের খবর ছড়িয়ে পড়ে, যা জনমনে আরও আতঙ্ক বাড়ায়।

উল্লেখ্য, গত ২৩শে সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার সিঙ্গিনালা এলাকায় অষ্টম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়। এ ঘটনায় শয়ন শীল (১৯) নামে একজনকে সেনাবাহিনীর সহায়তায় গ্রেপ্তার করে পুলিশ। অপর আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়।

এদিকে রোববার থেকে শারদীয় দুর্গোৎসব শুরু হওয়ায় সা¤প্রদায়িক স¤প্রীতি ও সামগ্রিক নিরাপত্তা নিয়ে হিন্দু স¤প্রদায়ের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে।