খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় ৩দিনব্যাপি জাতীয় ফল মেলা উদ্বোধন

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার দীঘিনালা উপজেলায় ৩দিনব্যাপি জাতীয় ফল মেলা উদ্বোধন করা হয়েছে। দেশি ফল বেশি খাই, আসুন ফলের গাছ লাগাই প্রতিপাদ্য ধারন করে জেলার দীঘিনালায় জাতীয় ফল মেলা উদ্বোধন করা হয়।

বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) সকাল সাড়ে ১০টায় দীঘিনালা উপজেলায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আয়োজনে উপজেলা প্রশাসনে সহযোগিতায় জাতীয় ফল মেলা উদ্বোধন করেন দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত কুমার সাহা।

এসময় উপস্থিত ছিলেন দীঘিনালা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মো: কামরুজ্জামান সুমন, দীঘিনালা উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা পরেশ চাকমা, উপ-সহকারী কৃষি অফিসার সুপন চাকমা, সিনিয়র সাংবাদিক মো: সোহেল রানা প্রমূখ।

জাতীয় ফল মেলা উদ্বোধন শেষে দেশীয় বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত কুমার সাহা। পরে স্থানীয় দর্শনার্থীরা ফল মেলা দেখার জন্য ভির করে। ফলের স্টলগুলোতে চিরকুটে লেখা আছে দেশীয় নাম বৈজ্ঞানিক নাম ও ফলের মধ্যে থাকা ভিটামিনের নাম।

ছেলে নিয়ে ফলমেলা দেখতে এসে হোসনারা আক্তার বলেন, ফল মেলায় দেশীও অনেক ফল দেখলাম অনেক ফলগুলো আগে দেখি নাই, আমার ছেলে দেখে অনেক খুশি হয়েছে। এখন থেকে বেশি বেশি দেশীয় ফল খাবে বলছে। আর একটা আর্শ্চায বিয়ষ প্রতিটি ফলের পাশে লেখা আছে ফলের নাম ও কোন কোন ভিটামিন আছে।

দীঘিনালা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মো: কামরুজ্জামান সুমন বলেন, দেশীয় ফল মেলার মূল্য লক্ষ হলো দেশীয় ফলের পুষ্টিগুন সর্ম্পকে স্থানীয়দেরকে ধারনা দেয়া ও চাষিদের উদ্ধুক্ত বাগান করতে করা। দেশীয় ফলের প্রচুর চাহিদা রয়েছে।

দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, দেশী ফলের পুষ্টির গুন বেশী দামেও কম। তাই বেশি বেশি করে দেশীয় ফল খেতে হবে। বিশেষ করে শিশুদেরকে বেশী ফল খাওয়া দরকার। ফল মেলার মাধ্যমে সরকার উদ্যেশ বেশি ফলের পরিচিত করা, স্থানীয়দের মাঝে দেশীয় ফলের পুষ্টিগুন সম্পর্কে ধারন দেয়া এবং দেশীয় ফলের বাগান সৃজন করা।

জাতীয় ফল মেলা আগামী ২১শে জুন তারিখ পর্যন্ত চলবে এবং সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।