খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় গৌতম বুদ্ধের ত্রি-স্মৃতি উপলক্ষে মঙ্গল শোভাযাত্রা র্যালী

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার দীঘিনালা উপজেলায় গৌতম বুদ্ধের জন্মদিন উপলক্ষে মঙ্গল শোভাযাত্রা র্যালী-আলোচনা করেছে। অহিংসা পরম ধর্ম গৌতম বুদ্ধের বানী ধারন করে বৌদ্ধ ধর্ম্বালম্বী সম্প্রদায়ের জনগোষ্ঠি ধর্মীগুরু সর্বস্তরের দায়ক-দায়িকা গৌতম বুদ্ধের জনদিন্ম উপলক্ষে মঙ্গল শোভাযাত্রা র্যালী ও আলোচনা সভার মাধ্যমে বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করেছে।
একই দিন একই সময় গৌতম বুদ্ধের জন্ম, বুদ্ধত্ব লাভ ও মহাপরিনির্বাণ এই ত্রি-স্মৃতি বিজড়িত মহান স্বর্গীয় লাভ অধিকারী।
শনিবার (১০ মে) খাগড়াছড়ি দীঘিনালায় সকাল সাড়ে ৭টায় পার্বত্য ভিক্ষু সংঘ বাংলাদেশ দীঘিনালা শাখার আয়োজনে গৌতম বুদ্ধের জন্ম, বুদ্ধত্ব লাভ ও মহাপরিনির্বাণ ত্রি-স্মৃতি বিজড়িত শুভ বৈশাখী/বুদ্ধ পূর্ণিমা-২৫৬৯ বুদ্ধাব্দ উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্ব শান্তি ও মঙ্গল কামনায় বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা র্যালীটি বেলুন উড়িয়ে উদ্বোধন করেন শুভ বর্ধন মহাথেরো ও বিশুদ্ধানন্দ মহাথেরো।
দীঘিনালা মাইনী ব্রীজ হতে র্যালীটি কবাখালী শান্তিপুর কালোবলি সাধনা মৈত্রী বৌদ্ধ বিহারে গিয়ে শেষ হয়। র্যালিতে অংশ নেয় পার্বত্য ভিক্ষু সংঘ বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কমিটি সাধারণ সম্পাদক লোকমিত্র থেরো, সহ-তথ্য ও প্রচার সম্পাদক করুণা বংশ থেরো, পার্বত্য ভিক্ষু সংঘ দীঘিনালা উপজেলা সাধারণ সম্পাদক নন্দশ্রী থেরো, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যন নলেজ চাকমা, গগন বিকাশ চাকমা, চন্দ্র রঞ্জন চাকমা, বিশিষ্ট অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক দীপুলাক্ষ্য চাকমা, সর্বস্তরের ভিক্ষু ও বৌদ্ধ ধর্মের সকল দায়ক-দায়িকা প্রমূখ।
এছাড়া শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে দিনব্যাপী নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। তাছাড়া সন্ধ্যায় বিহারগুলোতে পঞ্চশীল গ্রহণ, প্রবজ্যা গ্রহণ, প্রদীপ পূজা ও ফানুস বাতি উড়ানোর কথা রয়েছে।
মঙ্গল শোভাযাত্র বর্নাঢ্য র্যালী উদ্বোধনকালে পার্বত্য ভিক্ষু সংঘ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক লৌকমিত্র থেরো বলেন, এই দিনেই জন্মগ্রহণ করেছিলেন গৌতম বুদ্ধ। পাশাপাশি এই দিনেই তিনি বুদ্ধত্ব ও মহাপরিনির্বাণ লাভ করেন। সে কারণেই বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কাছে এ দিনটি খুবই পবিত্র।
এই দিনে ভগবান বুদ্ধ জম্ম গ্রহণ বুদ্ধত্ব এবং নির্বান লাভ করেন। বুদ্ধের বাণী পৃথিবীতে ছড়িয়ে দিতে পারলে দেশে হিংসা হানাহানি যুদ্ধ থেকে আমরা মুক্তি লাভ করতে পারবে। আজকের এই দিনে আমরা বিশ্বে সকল মানুষের মঙ্গল ও শান্তিময় পৃথিবীর কামনা করছি।
পরে কবাখালী শান্তিপুর কালোবলি সাধনা মৈত্রী বৌদ্ধ বিহারে সংক্ষিপ্ত ধর্মসভা ও দেশনা করা হয়। সভাশেষে পার্বত্য ভিক্ষু সংঘ বাংলাদেশের উদ্যোগে হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের উন্নত খাবার গ্রদান ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।

এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন