খাগড়াছড়ির পর্যটনকেন্দ্র গুলোতে পর্যটকদের আনাগোনা চোখে পড়ার মতো

খাগড়াছড়ি রাঙামাটি বান্দরবানসহ তিন পার্বত্য জেলায় পাহাড়—ঝরনা—অরণ্য—বৃষ্টি আর মেঘের মিতালি একসাথে দেখার জন্য দারুন এক গন্তব্যস্থান অন্যতম খাগড়াছড়ি। তার ওপর এই জেলার ওপর দিয়ে যেতে হয়, বাংলাদেশের ভূ—স্বর্গ নামে খ্যাত রাঙামাটির সাজেক। এরপর এক লাইনে ঘুড়ার পর রাঙামাটি হয়ে বান্দরবান ঘুড়ে কক্্রবাজার পর্যন্ত একটানা পর্যটন উপভোগ করে যাওয়া যায়।

সাধারনত বর্ষা মৌসুমে পাহাড় ঘেরা খাগড়াছড়িতে পর্যটকের দেখা মিললেও এবারের ঈদের এই লম্বা ছুটিতেও আশানুরুপ পর্যটকের দেখা নেই। খাগড়াছড়ির অধিকাংশ আবাসিক হোটেল—মোটেল খালি পড়ে আছে। তবে আবাসিক হোটেলগুলোতে তেমন ভিড় না থাকলেও খাবারের দোকান, রেস্তোরাঁ ও পর্যটনকেন্দ্র গুলোতে পর্যটকদের আনাগোনা চোখে পড়ার মতো।

পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত ৯টি উপজেলা শহর, উপ—শহর। ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে উচ্ছ্বাস, ঈদ মানে পরিবারের সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করে নেয়া আর প্রিয়জনের সাথে বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে ঘুরে বেড়ানো। প্রতি বছরের ন্যায় এবার পবিত্র ঈদ—উল আজহার ছুটিতে এবারও জেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে পর্যটকদের ঢল নেমেছে। পর্যটকরা ঈদের বাড়তি আনন্দ উপভোগ করতে বেড়াতে ছুটে এসেছেন পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে।
বিশেষ করে খাগড়াছড়ির আলুটিলা পর্যটন, যেখান থেকে দেখা যায় খাগড়াছড়ির পুরো শহরটাকে, দেখা যায় মনমুগ্ধকর আঁকা বাঁকা চেঙ্গী নদী। আরো কতকিছু। সবকিছুকে ছাপিয়ে পর্যটকদের অপার আকর্ষনে টানে বদলে যাওয়া আলুটিলা ও আলুটিলার ব্যতিক্রমী ব্রিজ। এছাড়াও রহস্যময় গুহা ও রিছাং ঝর্ণায় প্রাণ জুড়ে যায় পর্যটকদের।

শহরের অদূরে পার্বত্য জেলা পরিষদ পরিচালিত জেলা পরিষদ হটিকালচার পার্ক, ঝুলন্ত সেতু, নয়াভিরাম মায়াবিনী লেক পর্যটকদের আকৃষ্ট করে। এছাড়া খাগড়াছড়িতে দেখার মতো রয়েছে মায়বিনী লেক, হাতি মাথা পাহাড়, দেবতাপুকুর, তৈদু ছড়া ঝর্ণা, পাহাড়ী কৃষি গবেষণা কেন্দ্র ও পানছড়ির অরণ্য কুঠির।
গত শনিবার(৩০শে জুন) ঈদের দ্বিতীয় দিনে খাগড়াছড়ির পর্যটন স্পটগুলোগুলোতে ছিল পর্যটকের ভিড়। কিন্তু সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে বাহিরের পর্যটকের চেয়ে স্থানীয় পর্যটকের সংখ্যা একটু বেশি । তবে হোটেল, মোটেল ও পর্যটন কেন্দে্রর দায়িত্ব প্রাপ্ত প্রতিনিধিরা আগামীর ছুটির দিনগুলোতে জেলার বাইরের পর্যটকদের সংখ্যা বাড়তে পারে আশা করছেন।
খাগড়াছড়ি জেলায় ৯টি উপজেলার অনেকগুলো পর্যটন কেন্দ্র থাকলেও সবকিছুকে ছাপিয়ে পর্যটকদের অপার আকর্ষণে টানে বদলে যাওয়া আলুটিলার পর্যটন,পর্যটনে এ্যম্ফি থিয়েটার, কুঞ্জ ছায়া, ব্যতিক্রমী ব্রিজ। এছাড়াও রহস্যময় গুহা ও রিছাং ঝর্ণায় প্রাণ জুড়ে যায় পর্যটকদের।

পার্বত্য যানবাহন মালিক সমিতির সভাপতি নির্নিমেষ দেওয়ান বলেন, প্রতি বছর ঈদের ছুটিতে আমাদের লাইনের গাড়ি দুইশ থেকে তিনশটি পর্যটক নিয়ে যায়বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে। আর এ বছর সমিতির আওতাধীন ৫০টির বেশি গাড়ি চলাচল করছে না। এভাবে পর্যটক না আসলে গাড়ির মালিক এবং চালকেরা না খেয়ে থাকবে।

হোটেল ব্যবসায়ী সমিতি’র সভাপতি কল্যাণ মিত্র বড়ুয়া বলেন, অন্যান্য ঈদের চেয়ে এবারের ঈদে বাইরের পর্যটকের সংখ্যা তেমন নেই। আমরা আশা করছি ঈদের বাকি ছুটির দিন গুলোতে পর্যটকের সংখ্যা কিছুটা হলেও বাড়বে।

শহরের অদূরে পার্বত্য জেলা পরিষদ পরিচালিত জেলা পরিষদ হটিকালচার পার্ক, ঝুলন্ত সেতু, নয়ানাভিরাম লেক পর্যটকদের আকৃষ্ট করে। এছাড়া খাগড়াছড়িতে দেখার মতো রয়েছে মায়াবিনী লেক, হাতি মাথা পাহাড়, দেবতা পুকুর, তৈদু ছড়া ঝর্ণা, পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্র ও পানছড়ির অরণ্য কুঠির। ঘুরতে আসা পর্যটরকরা জানান তারা পাহাড়ের অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে পরিবার পরিজন নিয়ে ঘুরতে আসেন খাগড়াছড়িতে।

খাগড়াছড়ি হোটেল গাইরিং এর ম্যানেজার সীমা ত্রিপুরা জানান, তাদের হোটেলের রুম বুকিং রয়েছে। ঈদের পর দিন থেকে পর্যটকেরা আসতে শুরু করেছে।
এদিকে খাগড়াছড়ি টুরিস্ট পুলিশের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শরণ বড়ুয়া জানান, বাইরের পর্যটক ও স্থানীয় পর্যটকরা যেন নিরাপদে ঘুরতে পারেন, সেই তারা যেন সুস্থভাবে ও নিরাপদে ফিরে যেতে পারেন সে ব্যবস্থা জেলা পুলিশ ও ট্যুরিস্ট পুলিশ।

বর্তমানে খাগড়াছড়ি এখন একটি পর্যটন নগরী শহর, ভবিষ্যতে খাগড়াছড়িতে যেন আরো বহু পর্যটকের আগমন ঘটে এর সৌন্দর্য বর্ধনের প্রশাসন আরো কাজ করবে এমনটাই প্রত্যাশা পর্যটকদের।