খাগড়াছড়ির পার্বত্য অঞ্চলের কৃষিতে বিপ্লব আনতে বিজ্ঞানকে কাজে লাগানোর আহ্বান

খাগড়াছড়ি রাঙামাটি বান্দরবান পার্বত্য জেলা পার্বত্য অঞ্চলের কৃষিতে বিপ্লব আনতে বিজ্ঞানকে কাজে লাগানোর আহ্বান জানিয়েছেন। পার্বত্য চট্টগ্রামে কৃষিভিত্তিক টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে বিজ্ঞান ও গবেষণার যথাযথ প্রয়োগের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ও রাষ্ট্রদূত(অব.) সুপ্রদীপ চাকমা।
শুক্রবার (১৬ মে) বিকেলে রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়(রাবিপ্রবি) প্রাঙ্গণে আয়োজিত দেশের প্রথম আন্তর্জাতিক বায়োসায়েন্স সম্মেলন ও কার্নিভাল-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, “পার্বত্য অঞ্চলে রয়েছে বিশাল পরিমাণ পতিত ও আংশিক ব্যবহৃত ভূমি। এই জমি গুলোকে বিজ্ঞানভিত্তিক পদ্ধতিতে একাধিক ফসল উৎপাদনের উপযোগী করে তুলতে হবে। রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের উদ্ভাবনী চিন্তা ও বিজ্ঞান চর্চাকে কৃষি বিপ্লবের সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজে লাগাতে হবে।”
তিন দিনব্যাপী এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন দেশ-বিদেশের প্রখ্যাত বিজ্ঞানী, গবেষক ও শিক্ষাবিদরা। রাঙামাটি পর্যটন হলিডে কমপ্লেক্স ও রাবিপ্রবি প্রাঙ্গণে একযোগে অনুষ্ঠিত এই আয়োজন চলবে ১৮ই মে পর্যন্ত। এতে থাকছে কর্মশালা, পোস্টার প্রদর্শনী এবং বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক আলোচনাসভা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন রাবিপ্রবির উপাচার্য ও সম্মেলনের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো: আতিয়ার রহমান। এরপর তিনটি মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়, যেখানে বায়োসায়েন্স ও স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়ন, প্রাকৃতিক সম্পদ থেকে ওষুধ আবিষ্কারের সম্ভাবনা এবং পার্বত্য অঞ্চলের উন্নয়ন সম্ভাবনা তুলে ধরেন দেশের খ্যাতনামা বিজ্ঞানীরা।
সম্মেলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন(ইউজিসি) ও বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন উচ্চপর্যায়ের অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।
আয়োজকরা আশা করছেন, এই আন্তর্জাতিক আয়োজন নতুন প্রজন্মের বিজ্ঞানী ও গবেষকদের জন্য এক অনন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে উঠবে এবং দেশের বিজ্ঞান চর্চার ক্ষেত্রকে আরও সমৃদ্ধ করবে।

এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন