খাগড়াছড়ির পাহাড়ে বৈসুর সুর আর বাদ্যের তালে তালে মত্ত ত্রিপুরা জনগোষ্ঠী

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় পুরাতন বছর’কে বিদায় আর নতুন বছরকে বরণে পাহাড়ে বৈসুর সুর আর বাদ্যের তালে তালে মত্ত ত্রিপুরা জনগোষ্ঠী। জেলাতে অনুষ্ঠিত হয়েছে ত্রিপুরাদের বৈসুর ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক ডিসপ্লে।

বর্ণিল আয়োজনে সামিল হয়েছে বিভিন্ন বয়সীর সাধারন মানুষ। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর পরিবেশন করা হয় ঐতিহ্যবাহী গরয়া নৃত্য। গত শুক্রবার(১১ই এপ্রিল) সকালে খাগড়াছড়ি পৌর টাউন হল প্রাঙ্গন থেকে সাংস্কৃতিক ডিসপ্লে শেষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার শুভ উদ্বোধন করেন খাগড়াছড়ি ২০৩পদাতিক ব্রিগেড কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ মো: আমান হাসান।

শোভাযাত্রায় ত্রিপুরাদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক আর অলংকার পরে ঢোল বাদ্যের তালে তালে নৃত্য পরিবেশনা করে খাগড়াছড়ি শহরকে মাতিয়ে তুলে। এতে অংশ নেয় হাজারো ত্রিপুরা জনগোষ্ঠী। টাউন হল থেকে শুরু হওয়া শোভা যাত্রাটি বাংলাদেশ ত্রিপুরা কল্যান সংসদ মাঠে গিয়ে শেষ হয়। দীর্ঘ এক বছরের অপেক্ষা শেষে নতুন বছর বরণে অংশ নিতে পেরে খুশি ত্রিপুরা জানাষ্ঠীর মানুষ।

ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক ডিসপ্লে অংশ নেওয়া সুষ্মিতা ত্রিপুরা জানান, মাত্র দুই দিন পর আমাদের ‘বৈসু’ উৎসব। তাই নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে পুরাতন বছরের সব দুঃখ গ্লানিকে বিদায় দিতে আমরা গরয়া নৃত্য পরিবেশনা করি। এই গরয়া নৃত্যের মাধ্যমে আমরা আমাদের ঐতিহ্য, কৃষ্টি ও সংস্কৃতিকে তুলে ধরি।

বাংলাদেশ ত্রিপুরা কল্যাণ সংসন এর সভাপতি কমন বিকাশ ত্রিপুরা বলেন, আমাদের হাজার বছরের নিজস্ব সংস্কৃতি, ঐতিহ্য’কে তুলে ধরার জন্য এমনই আয়োজন।
খাগড়াছড়ি ২০৩পদাতিক ব্রিগেড কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ মো: আমান হাসান বলেন, বর্ণিল এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পাহাড়ে বন্ধন রচিত হওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে স¤প্রীতির বন্ধন আরো সুদৃঢ় হবে বলে জানান তিনি।

১৩ই এপ্রিল নদীতে বা দেবতা পুকুরে গঙ্গা দেবী’র পূজার ও পাথাবলির মধ্য দিয়ে নতুন বছরকে বরণ করবে এবং নতুন বছর বরণ উপলক্ষ্যে ত্রিপুরাদের থাকবে মাসব্যাপী নানা আয়োজন।