খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলায় মশক নিধন কার্যক্রমের উদ্বোধন

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা মাটিরাঙ্গা উপজেলার অবশেষে পৌর এলাকায় ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে মশক নিধন কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে। মাটিরাঙ্গা পৌরসভার উদ্যোগে বিভিন্ন ওয়ার্ডে চলমান ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রনে মশক নিধনের জন্য ঔষধ ছিটানো বা স্প্রে কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।

বৃহস্পতিবার (১৩ই জুলাই) সকালে মাটিরাঙ্গায় মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে মশা নিধন কার্যক্রম উদ্বোধন করেন মাটিরাঙা জোন কমান্ডার লে. কর্নেল মো: কামরুল হাসান পিএসসি। এ সময় তিনি পরিস্থিতিকে ঝুঁকিপূর্ণ আখ্যা দিয়ে জনগণকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মাটিরাঙ্গা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো: রফিকুল ইসলাম, পৌর মেয়র মো: শামসুল হক, পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো: নুরুল ইসলাম, পৌর প্যানেল মেয়র-২ মোহাম্মদ আলী, ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো: এমরান হোসেন, ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলমগীর হোসেন, ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মিজানুর রহমান খোকনসহ পৌরসভার অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।

মাটিরাঙ্গা পৌর মেয়র মো: শামসুল হক বলেন, মশার ঔষধ ছিটানো আমাদের দৈনন্দিন কাজের একটা অংশ। বর্ষা মৌসুমে পৌর এলাকায় মশার উপদ্রব বেড়ে যায় মন্তব্য করে বলেন, একই সময় এডিস ডেঙ্গু মশার উপদ্রবও বেড়ে যায়। তাই পৌরসভার পক্ষ থেকে সতর্কতামুলক ও জনসচেতনতায় মশা নিধন ও ডেঙ্গু প্রতিরোধে প্রতিটি ওয়ার্ডে মশার ঔষধ ছিটানোর কার্যক্রম পর্যায়ক্রমে চলবে। পুরো বর্ষা মৌসুমে এ কার্যক্রম চলমান থাকবে বলেও তিনি জানান৷

মাটিরাঙ্গা জোন অধিনায়ক লে: কর্নেল মো: কামরুল হাসান বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি ডেঙ্গুর প্রকোপ মোকাবেলা করতে হলে প্রত্যেককে সচেতন হতে হবে। বাসা বাড়ির আঙ্গিনা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। তবেই আমরা ডেঙ্গু থেকে সুরক্ষায় থাকতে সক্ষম হবো।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, মাটিরাঙ্গা হাসপাতালে ক্রমাগত বাড়ছে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। রোগটি ইতোমধ্যে ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে।

মাটিরাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তথ্যমতে, গত জুন মাস থেকে মাটিরাঙায় ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়। জুলাই মাসে শনাক্ত বেড়ে হয় ৩২জন। ৫জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও ৯জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ডেঙ্গু আক্রান্তদের বেশির ভাগই মাটিরঙার চৌধুরী পাড়ার বাসিন্দা।

তাছাড়া ওই এলাকায় প্রায় সবার ঘরে ঘরে জ্বরসহ ডেঙ্গু রোগাক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ রয়েছে। অনেকেই ভয়ে রক্ত পরীক্ষা না করে ডেঙ্গু হবার সন্দেহে চিকিৎসা নিচ্ছে। এছাড়াও গুইমারা উপজেলার জালিয়াপাড়া এলাকায় ডেঙ্গু রোগ ছড়িয়ে পড়েছে।