খাগড়াছড়ি নিজের স্বামীর বিরুদ্ধে জিডি করলেন কেএইচডি চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরা

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার নিজের স্বামীর বিরুদ্ধে জিডি করলেন কেএইচডি চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরা। স্বামী রেভিলিয়াম রোয়াজার বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরী(জিডি) করেছেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরা।

এতে স্বামীর বিরুদ্ধে নির্যাতন ও হত্যার হুমকির অভিযোগ দেয়া হয়েছে।

রোববার রাতে খাগড়াছড়ি সদর থানায় এ ডায়েরী করেন জিরুনা ত্রিপুরা। ডায়েরীতে তিনি স্বামীর বিরুদ্ধে তার উপর শাররীক ও মানসিকভাবে নির্যাতন, তাকে হত্যার হুমকি ও নিজে আত্মহত্যা করে তাকে বিপদ গ্রস্ত করতে পারে বলে আশংকা প্রকাশ করেছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন,খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মো: আব্দুল বাতেন মৃধা। তাহার ডায়েরী নং-৯৮৭, খাগড়াছড়ি সদর মডেল থানা, তারিখ: ২০/০৪/২০২৫।

ডায়েরীতে জিরুনা ত্রিপুরা অভিযোগ করেন, বিগত প্রায় ১৫ বছর আগে রেভিলিয়াম রোয়াজার সাথে তার বিয়ে হয়। বর্তমানে তাদের কাহাম রোয়াজা নামে এক পুত্র সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে স্বামী তার উপর শারীরীক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে আসছে।

তিনি খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হওয়ার পর অফিসিয়াল কার্যক্রমের বিষয় নিয়ে সাংসারিক জীবনকে অতিষ্ঠ করে তুলেছে। বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে উত্তেজিত হয়ে তাকে গালমন্দসহ হত্যার হুমকি দিচ্ছে এবং নিজে আত্মহত্যা করে তাকে(জিরুনা ত্রিপুরাকে) ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে।

সাধারণ ডায়েরীতে জিরুনা ত্রিপুরা আশংকা প্রকাশ করেছেন যে, তার স্বামী যে কোন সময় তাকে গুরুতর জখম বা হত্যা করতে পারে। এমনকি নিজে আত্মহত্যা করেও তাকে বিপদগ্রস্ত করতে পারে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে প্রবিদকের পক্ষ থেকে জিরুনা ত্রিপুরা ও তার স্বামীর মোবাইলে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।

উল্লেখ, গত বছরের ৭ই নভেম্বর রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব তাসলীমা বেগম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে জিরুনা ত্রিপুরা নামে এক অপরিচিত নারীকে চেয়ারম্যান এবং আরও ১৪জন সদস্য নিয়ে পুনর্গঠন করা হয় অন্তবরতীকালীন খাগড়াছড়ি পার্বত্য পার্বত্য জেলা পরিষদ।

এর তিনদন পর ১০ই নভেম্বর নব নিযুক্ত সদস্যদের নিয়ে দায়িত্ব গ্রহণ করেন চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরা। জিরুনা ত্রিপুরা চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত হওয়া এবং দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই তাকে নিয়ে জেলা জুড়ে বিস্তর নানা কৌতুহল ও সমালোচনা চলছে।

তার ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অনিয়ম, ক্ষমতা অপব্যবহার, স্বজনপ্রীতি ও স্থানীয়দের সাথে দুর্ব্যবহারের ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে।

এসব নিয়ে স্থানীয় সাংবাদিকগণ বিগত সরকারের প্রভাবশালী মহলের ঘনিষ্ঠ এ চেয়ারম্যানের সংবাদ বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।