খাগড়াছড়ির মানিকছড়িতে বিএনপির অফিস ভাংচুর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলার অভিযোগ
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার মানিকছড়ি উপজেলা বিএনপির অফিস ভাংচুর করা হয়েছে। এ সময় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও হামলা চালানো অভিযোগ করা হয়েছে।
উক্ত হামলায় অন্ততঃ ৫জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে। বিএনপি হামলার জন্য আওয়ামীলীগকে দায়ী করেছে। উপজেলা বিএনপির আহবায়ক এনামুল হক এনামের অভিযোগ করে বলেন কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে জ্বালানি তেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, বিদ্যুতের নজিরবিহীন লোডশেডিং, গণপরিবহনের ভাড়া, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধিসহ ভোলায় পুলিশের গুলিতে নূরে-আলম ও আব্দুর রহিমকে হত্যা এবং শতশত গুম-খুন ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে পুলিশের বাঁধা উপেক্ষা করে বিক্ষোভ-সমাবেশ পালন করে।
কর্মসূচি শেষে নেতাকমীরা বাড়ী-ঘরে যাওয়ার প্রাক্কালে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মাঈন উদ্দীনের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা উপজেলা বিএনপি কার্যালয়ের তালা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে ব্যাপক ভাংচুর চালায়।
এসময় মানিকছড়ি উপজেলা সেচ্ছসেবক দলের সভাপতি জাহিদের দোকানে হামলা ও তাকে মারধর করে আহত করে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মোটরসাইকেলে লাঠি-সোঠা নিয়ে পুরো মানিকছড়ি মহড়া দেয়।
খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ওয়াদুদ ভূইয়া ও সাধারণ সম্পাদক এমএন আবছার এক যুক্ত বিবৃতিতে অভিযোগ করেন। পুরো জেলায় আওয়ামীলীগের হামলা, ভাংচুর ও নেতাকর্মীদের বাড়ী-ঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলার বিষয়ে প্রশাসনকে বারবার অবগত করার পরও ওদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড বন্ধ হচ্ছে না।
নেতৃবৃন্দ সন্ত্রাসী কর্মকান্ড বন্ধ না করা হলে জেলা বিএনপি হরতাল অবরোধসহ কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে বলে হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন।
তবে মানিকছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাঈন উদ্দীন বিএনপির অফিস ভাংচুরের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, যদি এমন ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে তাদের নিজেদের দলীয় কোন্দলে হতে পারে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন