খাদিজা আত্মসমর্পণ করেছেন
যশোর শহরের ঘোপ এলাকার জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে ঘিরে রাখা চারতলা বাড়ি থেকে জঙ্গি মারজানের বোন খাদিজা আক্তার আত্মসমর্পণ করেছেন।
সোমবার বিকেলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে তিনি আত্মসমর্পণ করেন। এ সময় তার সঙ্গে দুই মেয়ে ও এক ছেলে ছিল। এর আগে খাদিজার বাবা নিজাম উদ্দিন ও মাকে পুলিশ প্রহরায় ওই বাড়িতে ঢোকানো হয়। তারা ভেতরে ঢুকে খাদিজার সঙ্গে কথা বলেন। এরপর খাদিজা আত্মসমর্পণ করেন।
হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার অন্যতম হোতা নব্য জেএমবির নেতা নুরুল ইসলাম ওরফে মারজানের বোন খাদিজা আক্তার। গত ৫ জানুয়ারি ঢাকার মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ এলাকায় কাউন্টার টেররিজম পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মারজান নিহত হয়।
গত বছর জুলাই মাসে গুলশানের হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলা চালিয়ে ১৭ বিদেশিসহ ২২ জনকে হত্যার ঘটনার পর তদন্তের মধ্যে মারজানের নাম আসে। ওই সময় পুলিশ মারজানকে ওই হামলার ‘মাস্টারমাইন্ড’ হিসেবে বর্ণনা করে।
যশোর কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আজমল হুদা সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে খাদিজা আত্মসমর্পণ করেছেন। পাবনা থেকে তার বাবা-মা এসে তার সঙ্গে কথা বলার পর তিনি আত্মসমর্পণ করেন।’
এর আগে দুপুর ২টার দিকে খাদিজা ওই ভবনের দুইতলার বেলকনিতে এসে পুলিশকে শর্ত দেন তার বাবা-মাকে এনে দিলে তিনি আত্মসমর্পণ করবেন।
ঘটনাস্থলে থাকা কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ এ কে এম আজমল হুদা তখন জানিয়েছিলেন, যশোর পুলিশ সুপার বেলা ১১টা ১৫ মিনিটে খাদিজাকে আত্মসমর্পণের আহ্বান জানান। এরপর দুপুর ২টার দিকে খাদিজা ভবনের বেলকনিতে এসে পুলিশকে শর্ত দিয়েছেন। তিনি তার বাবা-মাকে এনে দেওয়ার কথা বলেছেন। পরে তিনি ভেতরে চলে যান। এরপর পাবনা থেকে খাদিজার বাবা-মাকে আনার উদ্যোগ নেয় পুলিশ।
বেলা ১১টা ১৫ মিনিটে যশোরের পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান হ্যান্ড মাইকে খাদিজা ও তার পরিবারের সদস্যদের আত্মসমর্পণের আহ্বান জানান।
হ্যান্ড মাইকে আনিসুর রহমান বলেন, ‘খাদিজা আপনি বেরিয়ে আসেন। আপনার সঙ্গে আমরা কথা বলতে চাই। আপনার সঙ্গে শিশুও রয়েছে। তাদের কথা চিন্তা করে আপনি বেরিয়ে আসেন। আপনি আত্মসমর্পণ করেন। আমরা আপনার সকল সহযোগিতা করব।’
শহরের ঘোপ এলাকার ওই বাড়িটি রোববার মধ্যরাত থেকে ঘিরে রাখা হয়। পুলিশের বিশেষায়িত বাহিনী সোয়াতের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বাড়িটি ঘিরে রাখে।
বাড়ির মালিক যশোর জিলা স্কুলের শিক্ষক হায়দার আলী জানান, বাড়ির দ্বিতীয় তলার ভাড়াটিয়া মশিউর রহমান। তার ফ্ল্যাটে জঙ্গি রয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। মশিউর রহমান একটি হারবাল কোম্পানিতে চাকরি করেন। তার বাড়ি কুষ্টিয়ায়।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন