খাদ্য আমদানির প্রয়োজন হবে না, রপ্তানির সম্ভাবনা দেখছি : খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, দেশে প্রচুর ফসল ফলেছে। বিদেশ থেকে খাদ্য আমদানির প্রয়োজন হবে না। প্রয়োজন মিটিয়ে আমরা বিদেশে রপ্তানির সম্ভাবনা দেখছি।
মন্ত্রী শনিবার (৩ জুন) বগুড়ার সান্তাহারে সান্তাহার সেন্ট্রাল স্টোরেজ ডিপোতে (সিএসডি) ব্যাবস্থাপকের কার্যালয় ও আনসার ব্যারাক উদ্বোধন শেষে গণমাধ্যম কর্মীদের এসব কথা বলেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, কৃষকবান্ধব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার কৃষকের ফসলের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে ধানের দাম ২৮ টাকার পরিবর্তে ৩০ টাকা নির্ধারণ করেছে। চালের দাম ৪৪ টাকা করেছে। প্রতি বিঘায় এবার ২০-৩০ মণ ফসল ফলেছে। সার বিদ্যুতের দাম বাড়ার পরও কৃষক লাভবান হয়েছে। এতে কৃষক ও ভোক্তা সবাই খুশি।
গণমাধ্যম কর্মীদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, সরকার সাড়ে বারো লাখ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। শতভাগ চুক্তি হয়েছে। ইতোমধ্যে তিন লাখ পঁচিশ হাজার মেট্রিক টন চাল সংগ্রহ হয়েছে। আশাকরি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শতভাগ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হবে।
মন্ত্রী আরো বলেন, বিগত সাড়ে চার বছর ধরে করোনা মহামারি, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ খাদ্য নিরাপত্তায় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। বিরোধী পক্ষগুলো লাখ লাখ মানুষ মারা যাবে বলে অপপ্রচার করেছিল। কিন্তু শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশে একজন মানুষও না খেয়ে মারা যায়নি।
এসময় খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ সাখাওয়াত হোসেন; আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক, রাজশাহী জহিরুল ইসলাম; জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, নওগাঁ মোঃ তানভির রহমান; জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, বগুড়া কাজী সাইফুদ্দিন অভি ও সান্তাহার সিএসডির ব্যবস্থাপক মোঃ হারুন উর রশীদ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে মন্ত্রী সান্তাহার সিএসডির ব্যবস্থাপকের নবনির্মিত কার্যালয় ও আনসার ব্যারাক উদ্বোধন করেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন