খাবার ইচ্ছাই বলে দেবে আপনি কেমন আছেন?
কেন আমরা খিদে না থাকলেও খাই খাই করি বলুন তো? কখনও কখনও এমনটা হয় যে কোনও একটা বিশেষ খাবার খেতে খুব ইচ্ছে করছে। কোন খাবার খেতে ইচ্ছে করছে তা আসলে নির্ভর করে আমাদের শরীরের উপর। ব্যাপারটা মোটেও চোখের খিদে নয়। প্রতিটা বিশেষ স্বাদের সঙ্গেই যোগ রয়েছে আমাদের শরীরের কোনও না কোনও অঙ্গের। আর তাই কোনও বিশেষ অঙ্গে এনার্জির অভাব বা অতিরিক্ত এনার্জির কারণেই বিশেষ স্বাদ চায় জিভ।
১) তিতা
তিতা খাওয়ার ইচ্ছে সাধারণত কমই হয় আমাদের। তিতা খাবারের সঙ্গে হার্ট সুস্থ থাকার সরাসরি যোগ রয়েছে। শরীর যদি অতিরিক্ত গরম হয়ে ওঠে তা হলে আমাদের তিতা খাওয়ার ইচ্ছে হয়। সাধারণ ভাবে রাগ, অনিয়ন্ত্রিত আবেগ, উত্কণ্ঠা, অনিদ্রার কারণে শরীর গরম হতে পারে। তিতা খাবার শরীর ঠাণ্ডা করতে সাহায্য করে। শরীরে এনার্জির ফ্লো স্বাভাবিক করতে সাহায্য করে।
২) নোনতা
আমাদের কিডনির স্বাস্থ্য নির্ভর করে বংশগত জিনের উপর। কিডনিতে যদি এনার্জি ব্লকেজ তৈরি হয় তা হলে শরীরে ওয়াটার এনার্জির ভারসাম্য নষ্ট হয়। সেই কারণ আমাদের নোনতা খাবার দেখলেই খেতে ইচ্ছে হয়। অনেকে মনে করেন কিছু খেতে ইচ্ছে হচ্ছে মানে সেই খাবার আমাদের শরীরে প্রয়োজন। কিন্তু তা সব সময় সত্যি নয়। যদি নোনতা খাবার খেতে ইচ্ছে হলে বেশি করে নুন খেতে থাকেন তা হলে কিন্তু পরিস্থিতি আরও বিগড়ে যেতে পারে। কিডনির সমস্যা থেকে ক্লান্তি, গাঁটে ব্যথা, ক্রমাগত প্রস্রাব পাওয়া, অল্প বয়সে চুল পেকে যাওয়া, কম বয়সে মেনোপজ, যৌন সমস্যা দেখা দিতে পারে।
৩) টক
লিভারের কার্যকারিতার উপর আমাদের মন ভাল থাকা, খারাপ থাকা নির্ভর করে। যদি লিভারে এনার্জির ভারসাম্য নষ্ট হয় তা হলে টক খেতে ইচ্ছে হবে। লিভারে এনার্জি ফ্লো ঠিকঠাক না হলে ভাজা, তৈলাক্ত, ফ্যাটি খাবার খেতেও ইচ্ছে হয়। শরীর বলছে, এসেনশিয়াল ফ্যাটি অ্যাসিডের অভাব হয়েছে। লিভারে এনার্জি ফ্লো ঠিকঠাক না হলে অনিয়মিত মেনস্ট্রুয়াল সাইকেল, অবসাদ, মাইগ্রেন, পেশীর সমস্যা হতে পারে।
৪) ঝাল
আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধের জন্য সবচেয়ে জরুরি ফুসফুস। শরীরে প্যাথোজেন আক্রমণ করলে আমরা অসুস্থ হয়ে পড়ি। ফুসফুস প্যাথোজেনের আক্রমণ থেকে রক্ষা করে। ঝাল খাবার প্যাথোজেন রুখতে পারে। তাই ঝাল খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। যখনই ঝাল খেতে ইচ্ছে হবে বুঝবেন আপনার শরীর প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে চাইছে।
৫) মিষ্টি
শরীরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ স্প্লিন বা প্লীহা। রক্ত ফিল্টার করতে সাহায্য করে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বজায় রাখে প্লীহা। যদি মিষ্টি দেখলেই খেতে ইচ্ছে হয় তা হলে আপনার হজমের সমস্যা, ওজন বাড়়ার সমস্যা, ক্লান্তি, ঘুমের সমস্যা হতে পারে। এগুলো সবই প্লীহার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। নুনের মতোই মিষ্টি খেতে ইচ্ছে হলে মিষ্টি খেলেই পরিস্থিতি আরও বিগড়ে যাবে। সাধারণত, মেনস্ট্রুয়াল সাইকেল চলাকালীন ও কোনও কারণ স্ট্রেস হলেই বেশি মিষ্টি খেতে ইচ্ছে হয়।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন