খালুর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীর
টাঙ্গাইলের সখীপুরে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রী তার খালুর দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার রাতে ওই ছাত্রী বাদী হয়ে তার খালুর বিরুদ্ধে সখীপুর থানায় ধর্ষণের মামলা করেছে।
মামলাটি আমলে নিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে ওই ছাত্রীকে (১৪) ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ।
মামলার আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশ তৎপরতা শুরু করেছে।
গতকাল রাতে সখীপুর থানায় প্রথমে আলোকে দেওয়া ওই ছাত্রীর ভাষ্য, মাস দুয়েক আগে বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে নির্জন বনের ভেতরে নিয়ে তাকে প্রথমবার ধর্ষণ করেন তার খালু। গত ৭ জুলাই বাড়িতে একা পেয়ে ঘরের ভেতর ঢুকে দ্বিতীয় দফায় তাকে তার খালু ধর্ষণ করেন। ধর্ষণের কথা প্রকাশ করলে তাকে (ছাত্রী) মেরে ফেলা হবে বলে হুমকি দেন খালু। পরে সে তার মা-বাবার কাছে ঘটনাটি খুলে বলে। তার মা-বাবা বিষয়টি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য আবদুর রউফ তালুকদারকে জানান। ঘটনাটি মীমাংসার করার চেষ্টা হয়। পরে ছাত্রীর পরিবার আইনের আশ্রয় নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
ছাত্রীর মা বলেন, বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে প্রথমবার ধর্ষণের শিকার হয় তাঁর মেয়ে। এরপর থেকে তাঁর মেয়ে আর বিদ্যালয়ে যেতে চায়নি।
ইউপির সদস্য আবদুর রউফ তালুকদার বলেন, যে ব্যক্তির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়েছে, তিনি একজন মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে এলাকায় পরিচিত। দাদনের ব্যবসাও করেন। অভিযোগ পাওয়ার পর তাঁকে কয়েকবার ডাকা হয়েছে। কিন্তু তিনি আসেননি।
অভিযোগ ওঠা ব্যক্তির বক্তব্য জানতে তাঁর মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা চালানো হয়। তাঁর স্ত্রী মুঠোফোন ধরে বলেন, ‘ঘটনাটি শুনছি। এটা খুবই লজ্জার। ঘটনাটি সত্য না মিথ্যা, তা বুঝতে পারছি না। তবে আমার স্বামী অপরাধ করলে আমি তাঁর বিচার চাই।’
সখীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাহিদুল ইসলাম বলেন, আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। ডাক্তারি পরীক্ষা করতে মেয়েটিকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন