খালেদাকে বিদেশে নেয়ার অনুমতি না দেয়ায় হতাশ বিএনপি
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি না মেলায় হতাশা প্রকাশ করেছে বিএনপি।
রোববার (৯ মে) রাতে হাসপাতালে খালেদা জিয়ার খোঁজ-খবর নেয়ার পর সাংবাদিকদের কাছে এ কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, সরকারের এই সিদ্ধান্তে আমরা নিঃসন্দেহে হতাশ। তার (খালেদি জিয়া) এই চিকিৎসা যথেষ্ট নয়। ওয়ান-ইলেভেনের ধারাবাহিকতায় সরকার খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে চায়, এই জন্যই এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। প্রতিহিংসামূলক রাজনীতি চরিতার্থ করার জন্যই এ সিদ্ধান্ত।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আইনের মধ্যেই যথেষ্ট পরিমাণ দণ্ড মওকুফের সুযোগ রয়েছে। খালেদা জিয়ার জন্য তাদের মানবতা কাজ করেনি, শিষ্টাচার কাজ করেনি। রাজনীতির শিকার হয়েছেন তিনি।
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, আমার কাছে বেটার (ভালো) মনে হলো। অক্সিজেন ছাড়াই শ্বাস-প্রশ্বাস নিচ্ছেন তিনি; সাইন অব ইমপ্রুভমেন্ট (উন্নতির লক্ষণ)।
খালেদার জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করা হবে কি-না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা তো আবেদন করিনি। এটা তার পরিবার সিদ্ধান্ত নেবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, এর আগে ফাসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে বিদেশে চলে যাওয়ার সুযোগে দিয়েছে সরকার। অথচ তিনবারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রে তাদের কোনো মানবিকতা, সৌজন্যতা, শিষ্টাচার কাজ করেনি। এই ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক।
এ সময় বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শামসুদ্দিন দিদার ও শায়রুল কবির খান উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, রোববার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দফতরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে পারবেন না।
এর আগে সকালে খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ পাঠানোর আবেদনের বিষয়ে মতামত দিয়ে ফাইল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ফেরত পাঠিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়।
আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত অনুযায়ী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আবেদনটি মঞ্জুর করেনি বলেও জানিয়েছেন মন্ত্রী।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন