খালেদার আদালত পরিবর্তনের নির্দেশ

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আদালত পরিবর্তনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে কোন আদালতে বিচারকার্য অনুষ্ঠিত হবে সে ব্যাপারে কিছু জানাতে পারেননি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আইনজীবী।
রোববার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. শওকত হোসেন ও বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী জাকির হোসেন ভূঁইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আদালতে খালেদার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী ও জয়নুল আবেদিন। অন্যদিকে দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান।
জানা যায়, মামলার বিচারক ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ কামরুল হোসেন মোল্লা এক সময় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইন শাখার পরিচালক ছিলেন। ওই সময় তিনি মামলার বিভিন্ন বিষয়ে দেখভাল করেছেন।
সে হিসেবে তার এ মামলায় বিচার করা ন্যায়বিচার পরিপন্থী হবে- এমন আর্জি জানিয়ে আদালতে আবেদন করেছিলেন খালেদা জিয়া। তাই ন্যায়বিচারের স্বার্থে মামলাটির পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণে হাইকোর্টে পাঠানোর আবেদন করা হয়।
তবে গত ১৩ এপ্রিল সেই আবেদন খারিজ করে দেন বিচারক কামরুল হোসেন মোল্লা।
এর আগে গত ৮ মার্চ এই মামলাটি বকশীবাজারে স্থাপিত আবু আহমেদ জমাদারের বিশেষ জজ আদালত থেকে ঢাকার সিনিয়র বিশেষ জজ-৩ (ঢাকা মহানগর দায়রা জজ) কামরুল হোসেন মোল্লার আদালতে স্থানান্তরের নির্দেশ দেয়া হয়। একইসঙ্গে মামলাটি ৬০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তিরও আদেশ দেন হাইকোর্ট।
এর আগে গত ২৬ এপ্রিল জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ফের আদালত পরিবর্তন চেয়ে খালেদা জিয়ার আইনজীবী হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই আবেদন করেছিলেন। গত ৭ মে শুনানির দিন ধার্য থাকলে সেই দিন হয়নি।
প্রসঙ্গত, ১৩ এপ্রিল জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আদালতের প্রতি ‘অনাস্থা’ জানান খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। ঢাকার বকশীবাজারের আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকা মহানগরের সিনিয়র স্পেশাল জজ কামরুল হোসেন মোল্লার আদালতে শুনানির সময় এ অনাস্থার কথা জানান সাবেক প্রধানমন্ত্রীর আইনজীবী জমির উদ্দিন সরকার।
আদালতে এ সংক্রান্ত এক আবেদনে খালেদা জিয়ার আইনজীবী উল্লেখ করেন, ‘এ মামলা যখন দায়ের এবং অভিযোগ গঠন হয় তখন আপনি (বিচারক) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ডিজি (মহাপরিচালক) ছিলেন। এ কারণে আমরা ন্যায় বিচার পাওয়া থেকে বঞ্চিত হব বলে আশঙ্কা করছি।
দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল এর বিরোধিতা করে আদালতকে বলেন, ‘আপনি এ মামলার কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারেন। কারণ, এ সংক্রান্ত ক্ষমতা উচ্চ আদালত আপনাকে দিয়েছে।’
বিচারক উভয়পক্ষের শুনানি শেষে খালেদা জিয়ার পক্ষে করা আবেদনটি গ্রহণ করে হাইকোর্ট থেকে এ বিষয়ে আদেশ আনার জন্য ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত সময় বেধে দিয়েছিলেন।

এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন