‘খালেদার কক্ষে ইঁদুর বেড়াল কি ফখরুল দেখে এসেছেন?’
বেগম খালেদা জিয়ার কক্ষে ইঁদুর, বেড়াল, বিছা, তেলাপোকা ঘুরে বেড়ায়-এমন তথ্য মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কোথায় পেয়েছেন তা জানতে চেয়েছেন ওবায়দুল কাদের।
এগুলো বিএনপি মহাসচিব গিয়ে দেখে এসেছেন কি না, তা জানতে চেয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
ঈদুল ফিতরের পরদিন রবিবার কুমিল্লার পদুয়ার বাজার এলাকায় কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়ক পরিদর্শনে যান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী। এ সময় সাংবাদিকদের সঙ্গেও তিনি কথা বলেন।
একই দিন দুপুরের আগে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপি মহাসচিব। তিনি এ সময় দাবি করেন, তার নেত্রীকে কারাগারে যে পরিবেশে রাখা হয়েছে, সেটির কারণে তিনি আরও অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।
ফখরুল বলেন, ‘ঢাকা সেন্ট্রাল জেল সত্যিকার অর্থে একটা ওয়ারস্ট। এখানে এতো বড় ইঁদুর দৌড়ায়, এতগুলো বেড়াল ওখানে যারা ইঁদুর ধরে। আপনারা শুনলে হতবাক হবেন যে, ম্যাডামের ঘরের মধ্যে ওই বেড়াল, বড় ইঁদুর ধরেছে।
‘তারপর ম্যাডার অসুস্থ হয়ে পড়েছেন মানসিক দিক থেকে। উনি তো এসব দেখতে অভ্যস্ত নন। তেলাপোকা, ছারপোকা-এটা কমন ব্যাপার। আরও আছে বড় বড় বিছা।’
বিএনপি মহাসচিবের এই দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘মির্জা ফখরুল কারাগার নিয়ে যেসব কথা বলছেন তা কি তিনি দেখেছেন? প্রমাণ ছাড়া এসব অভিযোগ গ্রহণযোগ্য নয়। তারা পারলে প্রমাণ দেখাক।’
কারাগারে বিএনপি চেয়ারপারসন প্রথম শ্রেণির বন্দীর চেয়ে বেশি সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন জানিয়ে কাদের বলেন, ‘কারগারে বেগম জিয়া ব্যক্তিগত গৃহপরিচারিকা পেয়েছেন যা পৃথিবীর কোনো কারাগারে নেই।’
গত ৮ ফেব্রুয়ারি পাঁচ বছরের কারাদ- হওয়ার পর থেকে খালেদা জিয়াকে ঢাকার পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে নেয়া হয়। গত ৭ এপ্রিল তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য। ১০ জুন আবার তাকে আনার উদ্যোগ নেয়া হয়। কিন্তু বেঁকে বসেছেন বিএনপি নেত্রী। বলেছেন, এই হাসপাতালে তিনি আসবেন না। নিতে হবে বেসরকারি ইউনাইটেড হাসপাতালে।
এরপর ১২ জুন খালেদা জিয়াকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল-সিএমএইচে যাওয়ার প্রস্তাব দেয়া হয়। কিন্তু এতেও রাজি নন তিনি।
ওবায়দুল কাদের প্রশ্ন তুলেছেন, কেন বিএনপি নেত্রী এমন করছেন। তিনি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলেন, ‘সিএমএইচএর চেয়ে ভালো চিকিৎসা দেশে আর কোথাও নেই। সেখানে বেগম জিয়া কেন যেতে চান না?’
‘যেতে চান না কারণ বেগম জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে বিএনপির মাথাব্যথা নেই, তাদের মাথাব্যথা হচ্ছে ঈদের পর সর্বাত্মক আন্দোলনের ঘোষণা কার্যকরের জন্য ইস্যু তৈরি করা।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদকে নোয়াখালীর বাড়িতে মতবিনিময় করতে না দেয়ার যে অভিযোগ তিনি করেছেন, তা নিয়েও কথা বলেন কাদের। বলেন, ‘তিনি আন্দোলনের ইস্যু খুঁজতে গিয়ে নাটক করেছেন।’
বিএনপির আন্দোলনের হুমকির বিষয়ে আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘নয় বছরে নয় মিনিটও আন্দোলনের মাঠে দেখা যায়নি, আগামী তিন মাসে বিএনপি কী করবে সেটা আমরা দেখব।’
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন