খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে বিক্ষুব্ধদের হামলা-ভাঙচুর
মনোনয়ন না পেয়ে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে ভাঙচুর চালিয়েছে মনোনয়নবঞ্চিত নেতাদের সমর্থকরা।
সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আ ন ম এহছানুল হক মিলন, নারায়ণগঞ্জ বিএনপি নেতা তৈমুর আলম খন্দকার, গোপালগঞ্জের সেলিমুজ্জামান সেলিম, ঢাকা-১২ আসনের আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার ও শেরপুরের নলিতাবাড়ীর একটা আসনের মনোনয়নবঞ্চিত প্রার্থীর সমর্থকরা বিক্ষোভ ও ভাঙচুর চালান।
শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে কার্যালয়ের সামনে এসে ইট-পাটকেল নিক্ষেপের পাশাপাশি বিক্ষোভ করেন তারা। এ সময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও নজরুল ইসলাম খানসহ দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা কার্যালয়ে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন।
এ সময় ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের ক্যামেরাপারসন শাহ আলম ফারুক ইট-পাটকেলের আঘাতে আহত হন। তার পা কেটে যায়।
সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী এহছানুল হক মিলন চাঁদপুর-১, তৈমুর আলম নারায়ণঞ্জ-১ এবং সেলিমুজ্জামান গোপালগঞ্জ-১ আসনে ধানের শীষের মনোনয়ন চেয়েছিলেন।
এর আগে দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এহসানুল হক মিলনের পক্ষে স্লোগান এবং বিক্ষোভ করেন তার সমর্থকরা। পরে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের কলাপসিবল গেটে তালা দিয়ে বন্ধ করে দেন। প্রায় দেড় ঘণ্টা পর গেট খুলে দিয়ে জাতীয় প্রেস ক্লাবে তাৎক্ষণিক সংবাদ সম্মেলন করে ১২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেয়া হয়। সংবাদ সম্মেলন শেষে তার সমর্থকরা গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে যায়।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় দলের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পরপরই কুষ্টিয়া-৩ আসনে মনোনয়নবঞ্চিত অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিনের সমর্থকরা বিক্ষোভ শুরু করেন। বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ের সামনে মনোনয়নবঞ্চিত সমর্থকদের বিক্ষোভ এখনও অব্যাহত আছে।
গুলশান কার্যালয় থেকে বার বার মাইকে মিছিল স্লোগান না করার ঘোষণা দিলেও সেদিকে ভ্রুক্ষেপ করছে না মনোনয়নবঞ্চিত প্রার্থীদের সমর্থকরা।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন