খালেদার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডে যাঁরা আছেন

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক আবদুল জলিল চৌধুরীর নেতৃত্বে এই বোর্ডে আছেন আরও চারজন চিকিৎসক।

বিএসএমএমইউ সূত্র জানায়, খালেদার চিকিৎসায় অধ্যাপক আবদুল জলিল চৌধুরীর নেতৃত্বে ওই বোর্ডে আছেন ফিজিক্যাল মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক বদরুন্নেসা আহমেদ, হৃদরোগ বিভাগের অধ্যাপক সজল ব্যানার্জি, রিউমোটলজির অধ্যাপক সৈয়দ আতিকুল হক, অর্থোপেডিকের অধ্যাপক নকুল কুমার দত্ত।

শনিবার বিকেল পৌনে চারটার দিকে বিএসএমএমইউতে আনা হয় খালেদা জিয়াকে। ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা জোনের একটি টহল গাড়িতে করে তাঁকে বিএসএমএমইউতে আনা হয়।

বিএসএমএমইউর পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহ আল হারুন বলেন, ‘খালেদা জিয়া আমাদের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তিনি কেবিন ব্লকের ছয় তলায় অবস্থান করছেন। আমরা হাইকোর্টের একটি নির্দেশনা পেয়েছি। সেই অনুযায়ী মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। তাঁর সঙ্গে আমাদের দেখা হয়েছে ও কুশল বিনিময় হয়েছে। তাঁর চিকিৎসার ব্যাপারে যে বোর্ড গঠন করা হয়েছে, সেই বোর্ড তাঁকে দেখবে।’

গত বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের দেওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য মোট পাঁচ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করতে হবে। বিএসএমএমইউর ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক আবদুল জলিল চৌধুরী ও ফিজিক্যাল মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক বদরুন্নেসা আহমেদ ওই বোর্ডে থাকবেন। অন্যদিকে কার্ডিওলজি বিভাগের অধ্যাপক হারিসুল হক, অর্থোপেডিক বিভাগের অধ্যাপক আবু জাফর চৌধুরী এবং চক্ষু বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তারেক রেজা আলীর পরিবর্তে তিনজন নতুন চিকিৎসক মনোনীত করে দেবে সরকার। নতুন এই তিনজনের কেউ কেন্দ্রীয় বা জেলা পর্যায়ে সরকার সমর্থক স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) বা বিএনপি সমর্থক ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) বর্তমান বা সাবেক সদস্য কিংবা সমর্থক হতে পারবেন না।

ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় সাংবাদিকদের বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন কারাবন্দী খালেদা জিয়াকে বিএসএমএমইউতে ভর্তি করা হয়েছে। খালেদা জিয়ার নিরাপত্তার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।