খালেদার বাসার আশপাশের সব সড়ক বন্ধ
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় ঘিরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বাসভবনের সামনে ও আশপাশের সড়কে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার ভোর থেকে গুলশানে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। খালেদা জিয়ার বাসভবন ‘ফিরোজা’য় প্রবেশের সব সড়ক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বন্ধ করে দিয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে বাড়তি পুলিশ।
বৃহস্পতিবার সকালে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজা’র সামনে গিয়ে দেখা যায়, আশপাশের সব সড়কে ব্যারিকেড দেয়া। বাসার সামনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিশেষ টহল চলছে। সড়ক বন্ধ করে দেয়ায় এখানে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
খালেদার বাসার সামনের ৭৮/৭৯ নম্বর রোড বন্ধ। সেখানে সংবাদমাধ্যম কর্মীরা অপেক্ষা করছেন। তবে বাসার আশপাশে সংবাদমাধ্যমের গাড়িও রাখতে দিচ্ছে না নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।
খালেদা জিয়ার বাসভবন এলাকায় বিএনপির কোনো নেতাকর্মী চোখে পড়েনি।
এ বিষয়ে গুলশান জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার আব্দুল আহাদ বলেন, ‘কোনো মহল যেন নাশকতা চালাতে না পারে, সেজন্য পুলিশ সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে।’
বিএনপির একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল বুধবার বিকেলে গুলশান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করতে আসার পর থেকে অনেক রাত পর্যান্ত কার্যালয়ে ছিলেন খালেদা জিয়া। সে সময় দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্যরাও তার সঙ্গে ছিলেন।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজা’ থেকে আদালতের উদ্দেশে রওনা হবেন খালেদা জিয়া।
বৃহস্পতিবার পুরান ঢাকার বকশীবাজারে স্থাপিত ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. আখতারুজ্জামান এই মামলার রায় ঘোষণা করবেন। তবে এ মামলার অন্যতম আসামি খালেদা জিয়া।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় রমনা থানায় একটি মামলা করে দুদক।
২০১০ সালের ৫ আগস্ট তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর-রশীদ। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান ছাড়া বাকি আসামিরা হলেন— মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।
রায় ঘিরে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে ‘গণগ্রেফতার’ চলছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। দলটির দাবি, গত কয়েক দিনে বিএনপির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতাসহ দল ও জোটের কয়েক হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নেতাকর্মীদের বাসায় চলছে দফায় দফায় তল্লাশি।
এর মধ্যে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে ৪৩ প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন করা হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাজধানী ঢাকায় ২০ প্লাটুন বিজিবি সদস্য টহল দিচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন জেলা শহরে ২৩ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন