খালেদার রায়কে কেন্দ্র করে নৈরাজ্য বরদাশত করা হবে না
আগামী ৮ ফেব্রয়ারি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মামলার রায়কে কেন্দ্র করে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া।
তিনি বলেন, কোনো অবস্থাতেই ২০১৪-১৫ সালের নৈরাজ্য বরদাশত করা হবে না। দেশের কোনো নাগরিক আইনের ঊর্ধ্বে নয়। যদি কেউ আইন ভাঙার চেষ্টা করে তবে তা কঠোরভাবে দমন করা হবে।
মঙ্গলবার দুপুরে অমর একুশে গ্রন্থমেলা উপলক্ষে বাংলা একাডেমি এলাকা পরিদর্শনে এসব কথা বলেন তিনি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ৮ ফেব্রয়ারি খালেদার রায়কে কেন্দ্র করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা নেয়া হবে। শঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। কেউ আইনবহির্ভূত কাজ করলে কঠোর হাতে দমন করা হবে। কোনো অবস্থাতেই ২০১৪-১৫ সালের নৈরাজ্য বরদাশত করা হবে না।
অমর একুশে গ্রন্থমেলার নিরাপত্তার বিষয়ে তিনি বলেন, অমর একুশে গ্রন্থমেলাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। গ্রন্থমেলায় সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক বই প্রকাশ করা হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
লেখক প্রকাশকদের উদ্দেশ্যে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে এমন বই মেলায় না আনার অনুরোধ করছি। যদি কেউ এমন বই আনে তাহলে বাংলা একাডেমির গঠিত কমিটি এবং ডিএমপির সদস্যরা এগুলো শনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেবে। এছাড়াও গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা বইগুলো শনাক্তে নজরদারি করবে।
বইমেলার নিরাপত্তার বিষয়ে কমিশনার বলেন, মেলাকে কেন্দ্র করে বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভেতর ও চারপাশে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। মেলায় প্রবেশ ও বাহিরে আলাদা গেট থাকবে। এর উদ্দেশ্য দর্শনার্থী বের হওয়ার সময় শ্লীলতাহানি বা ধাক্কাধাক্কির ঘটনা না ঘটে। প্রবেশ গেটে আর্চওয়ে লাগানো হবে। পুলিশের সদস্যরা মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে আগতদের তল্লাশি করবেন। নিরাপত্তার স্বার্থে মেলায় দর্শনার্থীদের ভ্যানেটি ব্যাগ, ব্যাকপ্যাক, ধারালো অস্ত্র এবং দাহ্য পদার্থ নিয়ে না আসার অনুরোধ করছি।
গ্রন্থমেলার আশেপাশের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, দোয়েল চত্বর থেকে টিএসসি পর্যন্ত যানবাহনমুক্ত থাকবে। এই সড়কে শুধুমাত্র হাঁটা যাবে। সড়কের দুপাশের ভাসমান দোকানগুলো উচ্ছেদ করা হবে। নীলক্ষেত, শাহবাগ, বকশীবাজার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা ও মেলার ভেতরে পোশাক ও সাদা পোশাকের পুলিশ দায়িত্ব পালন করবেন। ডগ স্কোয়াড দিয়ে পুরো মেলা প্রাঙ্গণ সুইপিং করা হবে। যে কোনো ধরণের পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকবে সোয়াট ও বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট।
লেখকদের নিরাপত্তার প্রয়োজন হলে তা পুলিশকে জানালে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেযা হবে জানিয়ে কমিশনার বলেন, কোনো লেখক অথবা প্রকাশকের বাড়তি নিরাপত্তার প্রয়োজন হলে তাকে আগে থেকেই পুলিশকে জানালে তাকে অতিরিক্ত পুলিশ দেয়া হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন