খালেদা জিয়ার মুক্তিতে রাজপথে রুখে দাড়াতে হবে : মির্জা আব্বাস

বিএনপির স্হায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, আমরা খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা দাবি নিয়ে আন্দোলন করছি না, মুক্তি দাবি নিয়ে আন্দোলন করছি। এখন সকলকে সকল কাজ বাদ দিয়ে দলের জন্য দেশের জন্য এবং খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য লড়াই করতে হবে। খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে সাহস করে রাজপথে রূখে দাঁড়াতে হবে। রাজপথে রুখে দাঁড়ালেই খালেদা জিয়ার মুক্তি মিলবে।

বেগম খালেদা জিয়াকে আবদ্ধ রাখা মানে হচ্ছে দেশকে শৃঙ্খলিত করে রাখা মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন,আজকে খালেদা জিয়া যদি মুক্ত থাকতেন তাহলে শেখ হাসিনা দেশটা নিয়ে যা ইচ্ছে তা করতে পারতেন না। খালেদা জিয়া গনতন্ত্রের প্রতীক। খালেদা জিয়া গনতন্ত্রের স্তম্ভ। এই দেশকে এবং দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা ছাড়া কোন পথ নেই।

বুধবার সন্ধ্যায় নয়াপল্টনের ভাসানী মিলনায়তনে ঢাকা মহানগর উত্তরের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির নেতৃবৃন্দের সাথে এক প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আগামী শনিবার বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে দলটির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আহুত সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ঢাকা মহানগর উত্তরের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

মির্জা আব্বাস বলেন, ১/১১ এর সময় জেলখানায় খালেদা জিয়াকে সেই সময়ের সরকার কয়েকটি প্রস্তাব দিয়েছিলো। সে প্রস্তাব মানলে তাকে মুক্তি দেওয়া হবে এবং রাজনীতি করতে কোনো বাধা দেওয়া হবে না। সে শর্ত মানলে দেশের সার্বভৌমত্ব হুমকির সম্মুখীন হতো। তাই সেদিন খালেদা জিয়া কোনো আপোষ করেননি। কিন্তু সেই একই প্রস্তাব মেনে নিয়ে শেখ হাসিনা আজ প্রধানমন্ত্রী।

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি সদ্য বিলুপ্ত কমিটির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক ডাঃ ফরহাদ হালিম ডোনার এর সভাপতিত্বে এবং বিএনপির ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদ্য সাবেক সদস্য সচিব আমিনুল হক এর সঞ্চালনায় প্রস্তুতি সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

এতে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহিদ চৌধুরী এ্যানী, অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু।

এসময় ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সায়েদুল হক বাবুল, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজির আহমেদ টিটু, নির্বাহী কমিটির সদস্য হাবিবুর রশিদ হাবিব, মহানগর উত্তর বিএনপির সদ্য বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, আতাউর রহমান চেয়ারম্যান, এজিএম শামসুল হক, আখতার হোসেন, হাজী মোস্তফা জামান, মহানগর উত্তরের সদ্য সাবেক সদস্য হাজী মোঃ ইউসুফ, এবিএমএ রাজ্জাক,কাউন্সিলর আলী আকবর, সোহেল রহমান, আলাউদ্দিন সরকার টিপু, তহিরুল ইসলাম তুহিন, জাহাঙ্গীর মোল্লা, আফতাব উদ্দিন জসিম, মিজানুর রহমান, মোজাম্মেল হোসেন, এ্যাড আখতারুজ্জামান,মাহাবুব আলম মন্টুসহ মহানগর,থানা এবং অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।