‘খালেদা জিয়া বাংলাদেশকে মিনি পাকিস্তান বানিয়েছিলো’
আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী দুইজন কোথায় আছেন তা আমরা জানি। চারজনের ব্যাপারে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। দুইজনের একজন আছেন কানাডায়, আরেকজন আমেরিকায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমেরিকায় যিনি আছেন তাকে আমরা ফিরিয়ে আনবো। কানাডায় যিনি আছেন কূটনৈতিক ও আইনি লড়াই করছি ইনশাল্লাহ আমরা সফল হবো। আখাউড়ার মাটিতে দাড়িয়ে বলতে চাই, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীরা যে যেখানে আছেন সেখান থেকে ফিরিয়ে এনে এই রায় কার্যকর করা হবে।’
শুক্রবার দুপুরে আখাউড়া রেলস্টেশন চত্বরে আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে কুলখানি, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ মো. জয়নাল আবেদীনের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন, আইন সচিব গোলাম সারোয়ার, আখাউড়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আবুল কাশেম ভূইয়া, কসবা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রাশেদুল কাওসার ভূইয়া জীবন, আখাউড়া পৌরসভার মেয়র মো. তাকজিল খলিফা কাজল, সাবেক পৌর মেয়র নূরুল হক ভূইয়া,উপজেলা যুবলীগ নেতা মো.আল আমিন মোল্লা, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাবুদ্দিন বেগ সাপলু, সাধারণ সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন নয়নসহ দলীয় নেতাকর্মীরা।
খালেদা জিয়া ১৫ আগস্ট থেকে সরে এসে ১৬ আগস্ট তার ৭৫তম জন্মদিন পালন করা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘খালেদা জিয়া প্রত্যেকদিন জন্মদিন বদলায়। ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস থেকে সরে এসে আজ ১৬ আগস্ট খালেদা জিয়া তার ৭৫তম জন্মদিন পালন করছে। এই জন্মদিন প্রত্যেকদিন বদলায়। আজকে যদি তার জন্মদিন পালন করে তাহলে তো ৭৫তম জন্মদিন হবে না। তা হবে খালেদা জিয়া প্রথম জন্মদিন।’
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘ষড়যন্ত্রকারীরা বসে নাই। তারা ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।’ ষড়যন্ত্রকারীদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, ‘আর বাংলাদেশকে নিয়ে যদি ষড়যন্ত্র ও ছিনিমিনি খেলার চেষ্টা করেন, আর যদি গণতন্ত্র ব্যাহত করার চেষ্টা করেন তাহলে আইনিভাবে উচিৎ শিক্ষা দেওয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশকে হত্যা করার ষড়যন্ত্র শুরু হয়। বাংলাদেশকে হত্যা করার জন্য যারা ১৯৭১ সালে দেশের স্বাধীনতা চাই না যারা আওয়ামী লীগের পতাকা তলে থেকে ১৯৭১ সালে ষড়যন্ত্র করেছিল যাতে বাংলাদেশ না হয় পাকিস্তান থেকে যায়, সেই খুনি মোস্তাককেরা আবার রাজাকার আলবদর নিয়ে বাংলাদেশকে পাকিস্তানে পরিণত করেছিলো। শুধু চেষ্টাই করে নাই, বাংলাদেশকে ২১ বছর প্রায় একটা মিনি পাকিস্তানে তৈরি করেছিলো।’
তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের পর তার স্ত্রী খালেদা জিয়া মুজাহিদ ও নিজামীকে মন্ত্রী বানিয়ে বাংলাদেশকে মিনি পাকিস্তান বানিয়েছিলো। ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশের ভাগ্য পরিবর্তন হতে শুরু করে। যা আজ উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বিশ্বের বুকে প্রমাণিত হয়েছে। ‘
আইনমন্ত্রী আরও বলেন, ‘২১ বছর পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুকে হত্যাকাণ্ডের বিচার তার পরিবার ও বাংলাদেশের জনগণ পায়নি। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার বিচার কার্য শুরু করে। ২০০১ সালে পর্যন্ত এ বিচার কার্য করতে পেরেছি। আবার ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এসে সেই বিচার কাজ বন্ধ করে দিয়েছিলো। ২০০৭ সালে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বঙ্গবন্ধুর এক খুনিকে ফেরত পাঠানোর পর আবার বিচার কার্য শুরু হয়। ২০০৯ সালে বঙ্গবন্ধু কন্যা ক্ষমতায় আসাতে এই বিচার কার্য সমাপ্ত করা সম্ভব হয়েছে। আপনাদের প্রতি আহবান থাকবে বাংলাদেশে যেন এ রকম কালো রাত্রি আর না আসে।’
পরে ১৫ আগস্ট যারা শহীদ হয়েছেন তাদের রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন