খুবি শিক্ষকের জন্য ন্যায় পেতে রাস্তায় সাতক্ষীরায় গ্রামের নারী-পুরুষ

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের জন্য সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার তেতুলিয়া পল্লীগ্রামের সর্বস্তরের নারী-পুরুষের আকুতি তদন্ত করে দোষী হলে ব্যবস্থা নিন, নির্দোষ হলে মামলা থেকে রেহাই দিন দয়াকরে হয়রাণী করবেন না। আমরা ন্যায় পেতে রাস্তায় নেমেছি।

তদন্ত করে দোষী হলে ব্যবস্থা নিন, নির্দোষ হলে মামলা থেকে রেহাই দিন

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সাধন চন্দ্র স্বর্ণকারের বিরুদ্ধে হয়রাণীমুলক মামলা প্রদান করে হয়রাণীর প্রতিবাদে কালিগঞ্জ-আশাশুনি সড়কে মানববন্ধন ও জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার দুপুরে তেতুলিয়া বাজার মোড়ে গ্রামের শত শত নারী পুরুষ শিশু বৃদ্ধ ও বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ এ কর্মসূচিতে অংশ নেন।

স্থানীয় বিটিজিআর হাইস্কুলের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মোস্তফা কামাল লাচ্চু’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মসূচিতে স্থানীয় সব রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও শিক্ষকের দরিদ্র বাবা মা বক্তব্য রাখেন।

বক্তারা বলেন, পেশাগত জীবনে ক্ষতি করতে এবং সাধনকে গরীব বাবা মায়ের পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন করতে স্ত্রী হয়রাণীমুলক মামলা দিয়েছে। এ বিষয়ে সুষ্ঠু ও ন্যায়সঙ্গত তদন্ত বিচার দাবি করেন এলাকার সর্বসাধারণ।

সমাবেশে মোস্তফা কামাল বলেন, সাধন চন্দ্র স্বর্ণকার সাতক্ষীরার প্রত্যন্ত তেতুলিয়া গ্রামের দিনমজুর যুগল কৃষ্ণ ও নীলা রাণীর সন্তান। স্থানীয় স্কুল কলেজের শিক্ষক ও মানুষের সহযোগিতা ও ভালবাসায় শিক্ষাজীবন চালিয়েছেন। শিক্ষাজীবনে কৃতিত্বের জন্য রাষ্ট্রপতি পুরস্কারও পেয়েছেন। কিন্তু মেধাবী ও বিনয়ী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সাধনকে গরীব দিনমজুর বাবা মায়ের কাছ থেকে দুরে রাখার জন্য স্বার্থবাদী তৎপরতা চালায় তার স্ত্রী। তাতে সম্মত না হওয়ায় সাধনের পেশাগত জীবন ক্ষতিগ্রস্থ করতে স্ত্রী পূজা যৌতুক মামলা প্রদান করে। এঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে এলাকার সর্বস্তরের মানুষ প্রতিবাদে নেমেছে। এলাকাবাসী প্রশাসনের কাছে এবিষয়ে সঠিক তদন্ত চায়। দোষী হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিক না হলে মামলা থেকে মুক্তি দিয়ে হয়রাণীসৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করেন।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সাবেক ইউপি সদস্য শহীদুল ইসলাম, শিক্ষক সমিতির নেতা বিধান সরকার, আওয়ামীলীগ নেতা কামরুল ইসলাম বাবলু, আজিবর রহমান, সমাজসেবক আব্দুল জব্বার গাজী, ডা. শংকর সরকার, ছাত্রনেতা এস এম সেলিম প্রমুখ।