খুলনার কয়রায় জমি নিয়ে বিরোধে প্রাণ গেল প্রধান শিক্ষকের

খুলনার কয়রা উপজেলার কয়রা মদিনাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে জমিজমা নিয়ে বিরোধে দিনের বেলা প্রকাশ্যে পিটিয়ে আহত করার চার দিন পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউ তে মারা গেছেন। নিহত এম.এম রেজাউল করিম (৫৩) কয়রা মদিনাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। প্রতিপক্ষের সঙ্গে পারিবারিক কলহ ও জমিজমার বিরোধ নিয়ে তাঁকে প্রচন্ড মারপিট করা হয়।

খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার দিবাগত রাতে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।শিক্ষক কে হত্যা করায় ফুঁসে উঠেছে শিক্ষার্থী, স্বজন ও এলাকাবাসী।

এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদশী সুত্রে জানা যায় , গত ৪ দিন আগে প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম কয়রা বাজার হতে বিকালে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে রশিদ মোল্লার মোড়ে পৌছালে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা কিছু সন্ত্রাসী পথ আটকিয়ে তাকে প্রচন্ড মারপিট করে।

নিহতের কন্যা খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফারজানা আক্তার কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, জমিজমা নিয়ে পারিবারিক শক্রতা বহু দিনের। আমার আব্বা শান্তি প্রিয় মানুষ ছিলেন। তিনি শিক্ষকতা নিয়েই পড়ে থাকতেন। জমির জন্য আমার আব্বাকে মেহেদী হাসান লিটন সহ পনের থেকে সতের জন প্রকাশ্য দিবালোকে পিটিয়ে হত্যা করে।

এ বিষয়ে কয়রা সুন্দরবন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খায়রুল আলম বলেন, রেজাউল করিম একজন মেধাবী শিক্ষক ছিলেন। তার অকাল মৃত্যুতে শিক্ষার্থী ও শিক্ষক সমাজের ক্ষতি হয়ে গেল। আমরা তার হত্যার বিচার চাই।

কয়রা থানার অফিসার ইনচার্জ মো.মিজানুর রহমান বলেন, শিক্ষক রেজাউল করিমের মারধরেন বিষয়টি শুনেছি, তার মৃত্যুর সংবাদ আপনার মাধ্যমে জানলাম। এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত থানায় কোন অভিযোগ দ্বায়ের হয়নি। অভিযোগ করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।